।। প্রথম কলকাতা ।।
হাতে মাত্র কয়েকটা দিন তারপরেই বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আনন্দে মাতোয়ারা হবে আপামর বঙ্গবাসী কিন্তু তার মধ্যে কলকাতার দুর্গাপুজোর এক আলাদা উন্মাদনা রয়েছে মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ। কেষ্টপুরে সব থেকে পুরনো দুর্গাপুজোর মধ্যে একটা। জানেন এবছর তাদের থিম কী? এদের থিম এ বার ‘বৃত্তাকার’! এই থিমের মাধ্যমে একটি সামাজিক বার্তা দিতে চাইছেন পুজো কমিটির সদস্যরা! কী সেই বার্তা?
আমরা প্রত্যেকে একটা বৃত্তাকার পথে ঘুরে চলেছি। এ ঘোরা পৃথিবীর মতো সূর্যের চারপাশে পাক খাওয়া না। আমাদের সবার একটা বৃত্ত আছে। সাধারণত আমরা এই গোলের মধ্যেই থাকি। এই গোল নিয়েই সব কিছু। আমরা সেই গণ্ডি পার করলেই একটা দুষ্ট প্রভাব কাজ করে। এই নিয়েই নিজেদের পুজোর থিম ভেবেছে রাজারহাটের মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘ। থিমের নাম ‘বৃত্তাকার’। ৭১ বছরে পদার্পণ করেছে এই পুজো। মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘের দুর্গাপুজো রাজারহাটের সব থেকে পুরনো দুর্গাপুজোর মধ্যে একটি। অনেকগুলি কাঠের বৃত্ত তৈরি করে বানানো হচ্ছে পুজো মণ্ডপ। দু’টি দিক তুলে ধরা হচ্ছে এই বৃত্তগুলির সাহায্যে। একটা শৈল্পিক দিক।
অন্যটি দার্শনিক দিক। শৈল্পিক দিকে দেখা যাবে অনেকগুলি বৃত্ত একটা বিন্দুতে মিলিত হচ্ছে। সেটিও একটা বৃত্ত তৈরি করবে। দার্শনিক দিক থেকে একটা বিশেষ বার্তা দেওয়া হবে। পুজো কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, ‘‘এই থিমের মাধ্যমে আমরা সমাজকে একটা বার্তা দিতে চাই। আমাদের যে বৃত্ত তার বাইরে গেলে আমাদের ভিতরে একটা বাজে শক্তি কাজ করে। মা দুর্গা তা দেখছেন। এ ছাড়াও আগে এই রকম কাজ হয়নি। একটা বিশেষ কিছু করার লক্ষ্যে এই ব্যাপারটিকে বেছে নিয়েছি। প্রতিমাতেও চমক থাকছে।’’
অনেকেই ভাবছেন কীকরে যাবেন উল্টোডাঙা থেকে! ভিআইপি রোড ধরে কেষ্টপুর বাস স্ট্যান্ডে নেমে বাঁ দিকে গেলে খালের উপর ব্রিজ। তা পার করলে মাস্টারদা স্মৃতি সঙ্ঘের ক্লাব। একটু এগোলেই পুজোর মাঠ। কেষ্টপুরে বাস স্ট্যান্ড থেকে ১ মিনিটের রাস্তা।তবে প্রত্যেকটি পুজো কমিটির সদস্যদের মতো তারাও মনে করছেন পুজোর দিনগুলিতে মন্ডপে উপচে পড়বে ভিড়। তাদের ভাবনা মন জয় করবে দর্শনার্থীদের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম