।। প্রথম কলকাতা ।।
হামাসকে আর্মি ট্রেনিং দিয়েছিল ইরান চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। ইরানকে চরম বার্তা আমেরিকার সাবধান করে দেওয়া হল। সৌদি আরব যুদ্ধে কাকে সাপোর্ট করছে জানেন? চীন তো ইজরায়েলের সঙ্গে বন্ধুত্ব করিয়ে দিয়েছিল। এবার কি ইরানের ওপর হামলা করবে যুক্তরাষ্ট্র? ইজরায়েল- প্যালেস্টাইন যুদ্ধে বড় হাত ইরানের। হামাসের ইজরায়েলের ওপর হামলাকে বিজয় হিসেবে দেখছে ইরান। কীভাবে হামাসকে এক বছর ধরে লাগাতার ট্রেনিং দেওয়া হয়েছিল এবার ফাঁস হয়ে গেল সেই রিপোর্ট? সমর বিশেষজ্ঞরা প্রথমেই বলেছিলেন যে কায়দায় হামাস এবার হামলা চালিয়েছিল ইজরায়েলে সেটা করার জন্য যথেষ্ট প্ল্যানিং প্লটিংয়ের দরকার হয় মোসাদের চোখে ধুলো দেওয়াটা এত সহজ ছিল না।
এরই মধ্যে সৌদি আরবের এন্ট্রি। এই সৌদি আরবের সঙ্গেই ইজরায়েলের বন্ধুত্ব করিয়ে দিয়েছিল না চীন। তাহলে কি এবার ইজরায়েলের হয়েই কথা বললেন সৌদির যুবরাজ? না তেমনটাই একেবারেই হয়নি সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান জানিয়েছেন তিনি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল সংঘাত যাতে না বাড়ে সেই কাজ করছেন কিন্তু ফিলিস্তিনি জনগণের একটি যথোপযুক্ত জীবনযাপনের বৈধ অধিকার অর্জন তাঁদের আশা-আকাঙ্ক্ষার অর্জন ও ন্যায়সংগত স্থায়ী শান্তি অর্জনের জন্য তাঁদের পাশে থাকবে রিয়াদ। এর মানে প্যালেস্টাইনের হাত একেবারেই ছাড়ল না সৌদি আরব। ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে পশ্চিমা ও মধ্যপ্রাচ্যের ইন্টালিজেন্সের থেকে খবর পাওয়া গিয়েছে ইরান নিজেদের সেনাবাহিনীর সঙ্গেই ট্রেনিং দিত হামাসকে। প্রায় ১ বছর ধরে চলেছিল সেই প্রশিক্ষণ। হামাস গোষ্ঠীর পিছনে ইরান সরকারের হাত আছে বলে আগেই সন্দেহ প্রকাশ করেছিল ইজরায়েল। শুধু তাই নয় ১০ মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সাহায্যও হামাসকে করা হয়েছিল। ইরানের তরফ থেকে তার মধ্যে ছিল ইরানের দেওয়া রকেট সিস্টেমও।
এদিকে ইসরায়েল-হামাসের চলমান সংঘাতে না জড়াতে ইরানকে সতর্ক করে দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক মার্কিন শীর্ষ জেনারেল বলেছেন যুক্তরাষ্ট্র কোনভাবেই চায় না এই লড়াই আরও বিস্তৃত হোক ইরান যাতে কোনওভাবেই এই যুদ্ধে না জড়ায়। অবশ্য ইসরায়েলে হামাসের হামলার পরিকল্পনায় ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী যে সাহায্য করেছে তা স্বীকার করতে একেবারেই রাজী নয় তেহরান। এদিকে যুদ্ধের আবহেই ্অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন বা ওআইসি (OIC)-র জরুরি বৈঠক ডেকেছে ইরান। সেখানে রয়েছে বিশ্বের সব মুসলিম দেশগুলো। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি শুধু হামাস নয়, লেবানন, সিরিয়া, ইরাক, ইয়েমেন মধ্যপ্রাচ্যের একটা বড় অংশ জুড়ে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে প্রকাশ্যেই সমর্থন করে ইরান। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির মাধ্যমেই এই ষ দেশগুলিতেও প্রভাব বিস্তার করেছে তেহরান। গাজা ভূখণ্ডেও ইরানের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে তাতে কতটা লাভ হবে সেটা এখনই বলা সম্ভব নয়। এই পরিস্থিতিতে তেহরানের ডাকা ওআইসির বৈঠকে আরব দেশগুলি কী সিদ্ধান্ত নেয় সেদিকে নজর থাকবে গোটা বিশ্বের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম