।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতকে চাপে ফেলার জন্য ফের ছক কানাডার। জাস্টিন ট্রুডো আমেরিকার সমর্থন হারিয়ে দিশেহারা। এবার আরব আমিরাতকে দলে টানার চেষ্টা। ব্রিটেনের ঋষি সুনক মুখ খুললেন ভারত-কানাডা ইস্যুতে। আমেরিকা যেন আর কোনওভাবে আগ্রহই দেখাচ্ছে না। ভারতের বিরুদ্ধে ষ কানাডার অভিযোগে। এই মূহুর্তের বিচারে যেন অনেকটাই উদাসীন যুক্তরাষ্ট্র। তাই উপায় না দেখে এবার মধ্যপ্রাচ্যের দিকে হাত বাড়ালেন ট্রুডো। ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনককেও দলে টানার চেষ্টা? কিন্তু আরব আমিরাত কি কোনওদিনও ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে কানাডার পাতা ফাঁদে পা দেবে? অটোয়া-নয়াদিল্লি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী কথা বললেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট মহম্মদ বিন জায়েদের সঙ্গে। এমনকি জায়েদের সঙ্গে ঠিক কী নিয়ে কথা হয়েছে তা-ও ট্রুডো তুলে ধরলেন নিজের এক্স হ্যান্ডলে।
প্রশ্ন উঠছে হঠাৎ করে আরব আমিরাতের সঙ্গে কেন কথা বলতে গেলেন ট্রুডো? তিনি আন্তর্জাতিক স্তরে ভারত-কানাডা ইস্যুতে একা হয়ে পড়ছেন? আমরিকা সহ বাকি পশ্চিমা দেশগুলো কি জানিয়ে দিয়েছে কোনওভাবেই এই ইস্যুতে আর মুখ খুলবে না তারা? কয়েকদিন আগেই ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ট্রুডো। সুনককে ভারতে ক্যানাডার কুটনীতিকদের অবস্থা নিয়ে জানানো হয়। তারপর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল কূটনীতিক সম্পর্কে ভিয়েনা কনভেনশনে গৃহীত নীতিগুলো-সহ সব ক’টি দেশের অবশ্যই সার্বভৌমত্বকে সম্মান দেওয়া এবং আইনের শাসন মেনে চলা উচিত। কানাডা ও ভারতের কূটনীতিক উত্তেজনা প্রশমন নিয়েও সুনক আশা প্রকাশ করেন। কিন্তু ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট কী বলেছেন? তিনি ভারতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনও কথা বললেন? এদিকে জানা গিয়েছে ভারতের দেওয়া টাইমলাইনের আগেই নয়াদিল্লির বাইরে ভারতে কর্মরত বেশিরভাগ কানাডার কূটনীতিককে কুয়ালালামপুর বা সিঙ্গাপুরে সরিয়ে নিয়েছে কানাডা।
দেখুন আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ট্রুডো কথা বলেছেন দুনিয়ার সামনে এই খবর ট্রুডোই প্রথম এনেছেন। এক্ষেত্রে তাঁর কূটনৈতিক রীতিনীতি সম্পর্কে প্রশ্ন তুলছেন, অনেকে ট্রুডোর পোস্টে ভারতের বিরুদ্ধে নয়া প্ররোচনা সৃষ্টি করারও ইঙ্গিত পাচ্ছেন কেউ কেউ। এক্স হ্যান্ডলে ট্রুডো জানান ভারত-কানাডা সম্পর্ক নিয়ে তাঁর সঙ্গে আমিরশাহির প্রেসিডেন্টের ফোনে কথা হয়েছে। তার পরই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিনি লেখেন, “আইনের শাসনকে শ্রদ্ধা করা এবং তাকে গুরুত্বের সঙ্গে ধরে রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে”। কানাডায় খলিস্তানি জঙ্গিদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার আর্জির প্রেক্ষিতে বার বার এই ‘আইনের শাসন’, ‘মতপ্রকাশের স্বাধীনতা’র এধণের মতো শব্দ শোনা গিয়েছে ট্রুডোর গলায়। তবে পাল্টা এ নিয়ে আরব আমিরশাহির কী মতামতা তা জানা যায়নি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে যেভাবে ঢাকঢোল পিটিয়ে কানাডা প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশের অবস্থানের কথা জানান সেভাবেই যদি তিনি নিজ্জর হত্যার তদন্তের রিপোর্ট দুনিয়ার সামনে তুলে ধরতে পারতেন তাহলে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যেত, কিন্তু সেটা তিনি কবে করতে পারবেন কেউ জানে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম