।। প্রথম কলকাতা ।।
দীর্ঘদিন ঘরে বসে? কোনও চাকরি পাচ্ছেন না? বেকার যুবকদের রোজগারের ব্যবস্থা করছে রাজ্য সরকার। চাকরি না করেও আপনি আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারেন! কীভাবে? রাজ্য সরকারের এই প্রকল্পের কথা শুনেছেন? আপনার উপার্জনের সব চিন্তা দূর হবে আজই অ্যাপ্লাই করুন। কত চেষ্টা করছেন কিন্তু কোন চাকরি পাচ্ছেন না? এভাবে আর কদিন চলবে? এদিকে বাড়িতে রোজ অশান্তি। সংসারে অভাব। যারা নিজেদের চেষ্টায় নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে চায় তাদের পাশে আছে রাজ্য সরকার।
২০২০ সালে কর্মসাথী প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বেকার যুবকদের ক্ষুদ্র শিল্প বা ব্যবসার মাধ্যমে স্বাবলম্বী করাই লক্ষ। এই প্রকল্পের সহজ শর্তে ঋণ দেয় রাজ্য সরকার। সেই সঙ্গে আরও কিছু সুবিধা দেওয়া হয়। যারা চাকরি পাননি তাদের জন্য এটাই বড় সুযোগ কর্মসাথী প্রকল্পে একজন ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। তাতে যুবকরা নিজেদের ইচ্ছা এবং পছন্দ মতন ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। তারা ব্যবসা করলে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরের সাহায্য পাবেন।
কিভাবে এপ্লাই করবেন?
এই প্রকল্পে আবেদন করার জন্য আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছর এর মধ্যে থাকতে হবে। কমপক্ষে ক্লাস এইট পাস হতে হবে। মনে রাখতে হবে যে এপ্লাই করবে তাকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। এই ঋণ পাওয়ার জন্য আবেদনকারীকে ভোটার কার্ড আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ছবি, বসবাসের বা ঠিকানার প্রমাণ ও শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট দিতে হবে। এই আর্থিক সুবিধা পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট ফর্ম ফিল আপ করে আবেদন করতে হয়। প্রতি বছর ১ লাখ যুবককে ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। এই ঋণ দেওয়া হবে রাজ্যের সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে। একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে আবেদন করতে হবে এই ঋণ পাওয়ার জন্য। তারপরে কারা এই সুবিধা পাবেন তা বেছে নেওয়া হবে ।কর্মসংস্থান হয়নি তাদের জন্যই এই সুযোগ দিচ্ছে রাজ্য সরকার।
প্রথমে অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যেতে হবে। সেখানে হোম পেজে গিয়ে স্কিম-এর ওপর ক্লিক করতে হবে। সেখানে গিয়ে Karma Sathi prakalpa scheme খুলতে হব। সেটা খোলার পরে আবেদন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট ফর্ম আসবে, ওই ফর্মে যে সব তথ্য চাওয়া হয়েছে তা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে। প্রতিটি জিনিস ভালো করে দেখে নিয়ে পূরণ করতে হবে যাতে তথ্যে কোন ভুল না থাকে। তারপরে প্রয়োজনীয় নথিগুলি আপলোড করে সাবমিট করতে হবে।
সরকার যুবকদের আত্মনির্ভর করতে, পাশাপাশি উদ্যোগপতি তৈরি করতে এই প্রকল্প চালু করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যে বেকারত্বের হার আরও কমানো, পাশাপাশি তাদের আর্থিক অবস্থার উন্নতি হবে। এমনটা মনে করেন রাজ্যবাসী।রাজ্যের গ্রাম থেকে শহর সব জায়গাতেই রয়েছে এই সুযোগ ।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রকল্পের সাহায্যে বেকার যুবক-যুবতীরা ছোট উৎপাদন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে নিজেরা স্বাবলম্বী হতে পারেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম