।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের ওল্ড স্ট্র্যটেজি ডি-কোড করে ফেলল ইন্ডিয়ান আর্মি। আর এ জাল বিছিয়ে ফাঁদে ফেলা যাবে না লাদাখ সীমান্তে স্পেশাল জওয়ানদের মোতায়েন করা হল কেন?পিএলএকে বড় ধাক্কা কোনও স্টেপ নিলে ভাবতে হবে একশবার চীন একটা জায়গায় এতদিন ধরে ভারতকে চাপে ফেলছিল একবার নয় বারবার একই কৌশলে খেলা কিন্তু এভাবে আর কতদিন? ইন্ডিয়ান আর্মি দেখিয়ে দিল তারা পারে না এমন কিছুর অস্তিত্ব নেই। পূর্ব লাদাখে চীনা সীমান্তের কাছে মোতায়েন করা হল ম্যান্ডারিন ভাষা জানা টেরিটোরিয়াল আর্মির টিম। চীনা নাগরিকদের ভাষা মান্ডারিনের ফাঁদে ফেলে এতদিন সীমান্তে নানা ধরণের উস্কানি দিত পিএলএ আর্মি। এই ভাষা না জানায় পিএলএ বাহিনীর সঙ্গে কমিউনিকেট করতে পারতেন না ভারতীয় সেনার জওয়ানেরা। যার ১০০ শতাংশ ফায়দা তুলত লালফৌজ কিন্তু এবার সেসব দিন অতীত। এই ভাষা জানার ফলে আসলে লাভের লাভটা কী হল? উত্তর জানতে ইচ্ছে করছে তো?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন ম্যান্ডারিন এমন একটা ভাষা যা আয়ত্ত করা খুব সহজ কাজ নয়। এই ভাষা অক্ষর বিশিষ্ট নয় ছবিবিশিষ্ট এই ভাষা আয়ত্ত করতে গেলে কয়েক হাজার ছবি মনে রাখতে হয়। কোনওসময় ভারতের সীমান্তে লালফৌজ ঢোকার ছক কষলে তাদের সঙ্গে বাক্য বিনিময় করাটাই সমস্যার হয়ে যেত। তবে এবার সেটা হবে না। ইতিমধ্যেই ভারতীয় সেনার জুনিয়র কমিশনড অফিসার থেকে সিনিয়র অফিসারদের অনেকেই ম্যান্ডারিন ভাষা। ভাল মতো আয়ত্ত করে ফেলেছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রটির দাবি সেনার নর্দার্ন, ইস্টার্ন এবং সেন্ট্রাল কমান্ডের ভাষা-শিক্ষার স্কুলগুলিতে মান্ডারিনের নানা রকম কোর্স চলছে। লাদাখের এলএসি সীমান্তে টেরিটোরিয়াল আর্মির ফার্স্ট ব্যাচ মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছে এমনটাই সেনাসূত্রে খবর।
সূত্রের মতে, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখেই চীনা ভাষা শিখে নেওয়ার বিষয়টির কৌশলগত ভাবে যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে। এর ফলে দু’দেশের বাহিনীর কোর কমান্ডার পর্যায়ে আলোচনা ফ্ল্যাগ মিটিং, বর্ডার পার্সোনেল মিটিং বা যৌথ সামরিক মহড়ার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে। সবথেকে বড় কথা ভাষা জানা থাকলে মতের আদান-প্রদান সহজ তো হবে উপরন্তু চীনের লাল ফৌজ যখন তাদের গতিবিধি নিয়ে কিছু জানাবে বা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। তখন ভারতীয় অফিসারদের পক্ষে তার মর্মার্থ আরও ভাল করে বোঝা সম্ভব হবে। এছাড়াও ভারতের অফিসারেরাও চীনা পক্ষকে তাঁদের বক্তব্য স্পষ্ট ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ রণকৌশল তৈরি সহজতর হবে। এর মানে ভাষার ফাঁদে ফেলে আর ইন্ডিয়ান আর্মিকে জব্দ করতে পারবে না চীন৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম