।। প্রথম কলকাতা ।।
LAC-তে থরে থরে অস্ত্র-গোলাবারুদ বিছিয়ে দিচ্ছে ভারত? সুড়ঙ্গেই আসল রহস্য, ইমারজেন্সি সিচুয়েশন তাওয়াংয়ে? চরম ডিপ্রেশনে চলে যাচ্ছে চীন। বর্ডারে আন্ডারগ্রাউন্ড শেল্টার নিয়ে বড় কোনো ছক নয়াদিল্লির? সেলা পাস টানেল দেখেছেন? গায়ে কাঁটা দেবে! জাল কাটার আর উপায় নেই। সীমান্তে চীন যা করেছে, কড়ায় গন্ডায় মিটিয়ে দেবে ভারত। সুড়ঙ্গ কৌশলে দেবে যোগ্য জবাব। তাবড় প্ল্যান ভারতের। ব্যাপক চাপে পড়ে গেল চীন। লাদাখের পর অরুণাচল সীমান্তে চীনা পিপলস লিবারেশন আর্মির তৎপরতা বাড়ছে। অরুণাচলের তাওয়াংয়ে বাড়ছে রিস্ক। তাই, তাওয়াংকে সুড়ঙ্গপথের সঙ্গে জোড়ার তোড়জোড় শুরু। মারাত্মক অ্যাক্টিভ মোদী সরকার। ১৩ হাজার ফুটের সেলা পাস টানেল তৈরি হচ্ছে। বিশ্বের দীর্ঘতম সুড়ঙ্গপথ। আড়াই কিলোমিটার লম্বা ওই দু’লেনের টানেলে মূল সুড়ঙ্গের পাশাপাশি থাকছে ইমারজেন্সি সিচুয়েশনে ব্যবহারের সুড়ঙ্গপথও।
এই প্রথম নয়, চীনকে শায়েস্তা করতে বর্ডারে ভারত কিন্তু অলরেডি কয়েকটা সুড়ঙ্গ কেটে ফেলেছে, বর্তমানে আরও কয়েকটার কাজ চলছে, কয়েকটা রয়েছে পরিকল্পনার পর্যায়ে। কিন্তু কেন সুড়ঙ্গ কৌশলে জোর দিচ্ছে ভারত? তাহলে ভারত-চিন সীমান্তে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করাই কী ভারতের মেইন টার্গেট ? নাকি আত্মরক্ষার প্রস্তুতি? সীমান্তে চিনা ফৌজের আগ্রাসনের আশঙ্কায় কি পুরোদস্তুর যুদ্ধের জন্য তৈরি হচ্ছে ভারত? ২০২২ সালের শেষ দিকে শোনা যাচ্ছিল, সীমান্তের রাজ্যগুলোতে ভারত এমন কিছু সুড়ঙ্গ তৈরির প্ল্যান করছে, যে সুড়ঙ্গে ভারত শর্ট রেঞ্জ ট্যাকটিক্যাল মিসাইল সমেত বিভিন্ন অস্ত্র মজুত করতে পারে তাছাড়া যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সর়ঞ্জাম চীন সীমান্তে পাঠানোর জন্য সড়ক, সুড়ঙ্গ, রেলপথ নির্মাণে গুরুত্ব দিতে চাইছে নয়াদিল্লি। এরজন্য প্রচুর টাকাও ইনভেস্ট করছে ভারত।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে চীনা ফৌজের বিমান ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে সামরিক সরঞ্জাম রক্ষা করার জন্য এলএসি-র কাছে নির্মীয়মাণ সড়ক-সুড়ঙ্গগুলোকে ক্ষেপণাস্ত্র এবং গোলাবারুদ মজুত করার কাজে ব্যবহারেরও পরিকল্পনা করা হয়েছে। আগামী দিনেও যে সুড়ঙ্গগুলি তৈরি হবে, সেখানে অস্ত্র ও গোলাবারুদ রাখার বিশেষ পরিকাঠামো গড়া হবে। চীনকে টেক্কা দেওয়ার ছক কষছে ভারত। কিন্তু, বেইজিং কী করে ফেলেছে? জানেন চীন বানিয়ে ফেলেছে একটা আন্ডারগরাউন্ড শেল্টার। যা অবশ্যই বম্ব-রোধক! লাসার কাছে গোঙ্গার এয়ারবেসের কাছে চীন এই শেল্টার তৈরি করেছে। এছাড়াও অরুণাচলে নিমচি এয়ারপোর্টের কাছেও এরকম একটি বেস বানিয়েছে। চিন সীমান্তে অস্ত্র সজ্জা, ফাইবার নেটওয়ার্ক, ইলেকট্রিসিটি সমেত পরিকাঠামো উন্নয়নের বহর দেখে যে ভারত বসে থাকবে না এটাই তো স্বাভাবিক। তাই, পাল্টা এদেশেও সীমান্ত এলাকা ঘিরে পরিকাঠামো মজবুতির তোরজোড় চলছে। ভারতীয় সেনা কৌশলগতভাবে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম