।। প্রথম কলকাতা ।।
বড় রহস্যে ভরা ভারতের এই হাইড্রোজেন বাস। ৬০০ সেকেন্ডে ছুটবে ৪০০ কিমি। ভারত বেঞ্জ আর রিলায়েন্সের এই নতুন টেকনিক কিন্তু দেখার মতো। ১২ মাসের চোখের মণি, এই বাসেই আটকে থাকবে ১৪০ কোটি ভারতীয়র নজর। তেল নয়, জলে চলে এই বাস? কী আছে এতে? কারা চড়তে পারছেন এই বাসে? জানেন? কম্পিটিশনে নেমেছে আরও দুই মহারথী। একেই বলে ইকো ফ্রেন্ডলি। গ্রীন হাইড্রোজেনেই ভবিষ্যৎ দেখছে ভারত। বলে বলে দূষণ কমাবে মোদী সরকার, তাকিয়ে দেখবে প্রতিবেশী দেশগুলো। ভারত হবে পলিউশন লেশ। দূষণ হবে জিরো।
জল আর হাওয়ায় ছোটে বাস। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব। ভারত বেঞ্জ আর রিলায়েন্স গোষ্ঠীর বড় চমক। চালু হলো ভারতের প্রথম ইন্টারসিটি লাক্সারিয়াস কোচ স্টাইলের হাইড্রোজেন বাস। জল থেকে হাইড্রোজেন আর অক্সিজেন কে আলাদা করে, হাইড্রোজেন গ্যাস সংকুচিত করার পর ৩৫০ বারের চাপে সিলিন্ডারে স্টোর করা হয়। তাতেই চলে হাইড্রোজেন বাস। কেন্দ্রীয় সরকারের ৩০ কেজি হাইড্রোজেন স্টোরেজ ফেসিলিটির এই বাসের ক্ষমতা মারাত্মক। সিঙ্গেল হাইড্রোজেন ফিল মানে একবার হাইড্রোজেন ভর্তি করা হলেই টানা ৪০০ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে পারে এই বাস। ব্যাটারি গাড়ির তুলনায়, ফুয়েল সেলের যানবাহনের- লং রেঞ্জ এবং লোয়ার রিফুয়েলিং টাইমের ব্যপক সুবিধা রয়েছে এতে।
কাস্টোমাইজ চেসিসের উপর ভিত্তি করে তৈরি হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাসটি সর্বোচ্চ ৩০০ হর্সপাওয়ার শক্তি তুলতে পারে। আগামী ১২ মাস এই বাসটিকে নজরে রাখা হবে।
পরিবেশ দূষণ কমাতে বিশুদ্ধ জ্বালানি চালিত যানবাহনের উপর যখন জোর দিচ্ছে মোদী সরকার। তখনই ভারতের প্রথম ইন্টারসিটি হাইড্রোজেন ফুয়েল বাস সামনে আনলো রিলায়েন্স ও ভারত বেঞ্জ। ২৫ সেপ্টেম্বর, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস এবং আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি, দিল্লিতে ভারতের প্রথম গ্রীন হাইড্রোজেন ফুয়েল সেল বাসের ফ্ল্যাগ অফ করেছেন। অলরেডি সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগে হাইড্রোজেন চালিত বাসে পরীক্ষামূলক যাত্রা করেন। তবে, এখানেই শেষ নয়। এই বাসেই থেমে থাকবে না গ্রীন ইন্ডিয়ার জার্নি। জানা গিয়েছে, রিলায়েন্স এবং ভারত বেঞ্জ ভবিষ্যতে এই ক্ষেত্রে আরও ইনোভেটিভ কাজ করতে চায়। হাইড্রোজেন চালিত ইঞ্জিনের ক্ষেত্রে আর কী কী গবেষণা বা প্রযুক্তি নির্মাণের দরকার তার উপর কাজ করবে এই দুই সংস্থা। অন্যদিকে এই দৌড়ে নেমে পরেছে টাটাও। অলরেডি, হাইড্রোজেন চালিত বাস চালানোর জন্য কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের কাছ থেকে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট পেয়েছে টাটা গ্রুপও। এবার শুধু মোদী সরকার এর মিশন ফুলফিল হওয়ার পালা। দূষণ কমাতে কোমর বেধে নেমে পড়েছে ভারতের সব বড় বড় সংস্থাগুলো।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারিতে ভারতকে গ্রীন হাইড্রোজেন তৈরির জন্য একটা বৈশ্বিক কেন্দ্রে পরিণত করার লক্ষ্যে মোদি সরকার ১৯ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা ইনভেস্ট করার পাশাপাশি ন্যাশনাল গ্রিন হাইড্রোজেন মিশনের পথে যাত্রা শুরু করেছে। যে মিশনটি ২০৩০ সালের মধ্যে বার্ষিক ৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতায় পৌঁছতে চায়। তারই পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে হাইড্রোজেন চালিত বাস চালানো শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বলতেই হচ্ছে, ইথানল, ব্যাটারির পাশাপাশি এই হাইড্রোজেন ফুয়েল প্রযুক্তি দূষণ কমাতে, কেন্দ্রকে কার্বন মুক্ত ভারত গড়তে যে সাহায্য করবে তা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম