।। প্রথম কলকাতা ।।
আর খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে হবে না ফুটপাথবাসীদের। তাঁদের জন্য মানবিক উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। তাঁদের জন্য তৈরি করা হবে আশ্রয়স্হল। কি কি সুবিধা থাকবে সেখানে? কিভাবে চিহ্নিত করা হবে তাঁদের? রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন শহরাঞ্চলে প্রচুর গৃহহীন মানুষ রয়েছেন। তাঁদের নির্দিষ্ট কোনও মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই।বৃষ্টিতে ভিজে খোলা আকাশের নিচেই রাত কাটাতে হয় তাঁদের। তার ফলে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁরা অনেক সময় পরিশ্রুত পানীয় জল পান না। শৌচালয়ও নেই তাঁদের জন্য। তাঁদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্র তৈরির ভাবনা চিন্তা করার উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। এ বছরই সারা রাজ্যে ফুটপাথবাসীদের জন্য আশ্রয়স্থল তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মোট ১০৯ টি আশ্রয় স্থল চালু করা হবে। জাতীয় শহর জীবিকা মিশনের আওতায় এই কাজ হবে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর এই কাজ করবে।
কলকাতা শহরাঞ্চলে গৃহহীন প্রচুর মানুষ রয়েছেন। শহরের ফুটপাথ তাঁদের আশ্রয়স্থল। এইরকম ভবঘুরে, গৃহহীনদের মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়ার কথা ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য সরকার। গোটা রাজ্যে এই ধরনের ৫৫ টি আশ্রয়স্থল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আরও ৪৪টি আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে শহরাঞ্চলে।কলকাতা শহরে মোট ৭০টি এইরকম কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে। প্রতিটি কেন্দ্রে মোট ৫০ টি শয্যার ব্যবস্থা করা হবে।আগামী দিনে শয্যার সংখ্যা বাড়ানো হবে। পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর ইতিমধ্যে এ ব্যাপারে তৎপরতা শুরু করেছে।
বর্তমানে কিছু নাইট শেল্টার রয়েছে কলকাতা শহরে। তবে সেগুলির সর্বসাকুল্যে শয্যা সংখ্যা ৬৫০ কাছাকাছি। কিন্তু শহরে ফুটপাথবাসী বা ভবঘুরেদের তুলনায় এই শয্যা সংখ্যা অনেকটাই কম। জানা গিয়েছে, প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকবে। রাখা হবে শৌচালয়ের ব্যবস্থা। থাকবে পানীয় জলের ব্যবস্থাও। এক একটি এই ধরনের আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তুলতে দেড় কোটি টাকার কাছাকাছি খরচা হতে পারে। পুরসভাগুলি রাতে অভিযান চালিয়ে ফুটপাথবাসীদের চিহ্নিতকরণের কাজ করবে। তাঁদেরকে এই আশ্রয় কেন্দ্রে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। গোটা রাজ্যে জুড়েই বিভিন্ন জায়গায় বাস ডিপো, রেল স্টেশন বা ফুটপাথ জুড়ে অনেকেই রাত্রিবাস করেন।
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী কলকাতায় ভবঘুরে বা আশ্রয়হীনের সংখ্যা ছিল প্রায় ৩০ হাজার। সেই সংখ্যাটা বর্তমানে অনেকটাই কম বলে মনে করা হচ্ছে। সম্প্রতি কলকাতা শহরে একটি সমীক্ষা করেছে কলকাতা পুলিশ।সেখানে দেখা গিয়েছে, এখন ১০ হাজারের কাছাকাছি ফুটপাথবাসী রয়েছে এই শহরে। আগামী দিনে রাজ্য জুড়ে এই ধরনের আশ্রয় কেন্দ্রের সংখ্যা যাতে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম