।। প্রথম কলকাতা ।।
বর্ডারে ঘাপটি মেরে বসে থাকবে এই খতরনাক পাহারাদার। চীন কিন্তু ভারতের টার্গেট রেঞ্জে চলে এসেছে। সিচুয়েশন একটু এদিক ওদিক হলেই আকাশ-পাতাল এক করে খবর যাবে কেন্দ্রে। বর্ডারে চীন ও বসে নেই। সুড়ঙ্গ কাটছে, মাটির নীচে বানাচ্ছে বাঙ্কার। স্যাটেলাইট ইমেজ আছে ভারতের হাতে। গ্রাম নাকি ভারতের গোপন ডেরা? মাগোতে নজর লাল ফৌজের? চোখে চোখ রেখে অ্যাকশন শুরু ভারতের। মোদির মাস্টারস্ট্রোক, কাঁপবে বর্ডার। ভারত চীন সীমান্তের গ্রামে বসছে বর্ডার ইনটেলিজেন্স পোস্ট। বিআইপির অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বেইজিং-ই টার্গেট?
LOC-তে চীনের গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখতে হবে। চোখ সরালেই বিপদ। আর এইজন্যই তৈরি করা হচ্ছে বিআইপি। বিআইপিতে মূলত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা থাকবে। আর্মি ও ইন্দো তিবেতান সীমান্ত পুলিশের সঙ্গে যারা সমণ্বয় রেখে কাজ করবে। ন্যাশানাল টেকনিকাল রিসার্চ অর্গানাইজেশন, ইনটেলিজেন্স ব্যুরো, রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানিলিসিস উইং মানে ‘র’ সহ বিভিন্ন এজেন্সির সঙ্গে জোট বেঁধে করা হবে এই কাজ। বিআইপি দিয়েই এবার চাইনিজ পিপলস লিবারেশন আর্মির উপর নজর রাখবে ভারত। আইটিবিপির বর্ডার আউটপোস্টের কাছেই থাকবে এই বিআইপি। ভারত আঁটঘাট বাঁধছে।
সীমান্ত এলাকায় পরিকাঠামো উন্নয়নের উপর জোর দিচ্ছে চীন ও। আকসাই চীন এলাকায় চীনা পিললস লিবারেশন আর্মি স্থায়ী বাঙ্কার বানাচ্ছে, বড় সুড়ঙ্গ কাটছে। স্থায়ী ভাবে সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের একাংশ।
ম্যাক্সার টেকনোলজির স্যাটেলাইট ইমেজে চীনের তোড়জোড় স্পষ্ট। সেই নিরিখে এবার পালটা দিল ভারতও। বসিয়ে দিল কড়া পাহারা। বর্ডার ইন্টেলিজেন্স পোস্ট সেখানে প্রশিক্ষিত গোয়েন্দাদের মোতায়েন করা হবে। ৪-৫জন গোয়েন্দা আধিকারিক থাকবেন কোথাও কোনও অস্বাভাবিক কিছু হলে, পরিস্থিতি বেগতিক দেখলে সেই রিপোর্ট তারা সরাসরি পাঠিয়ে দেবেন সরকারের কাছে। বর্তমানে লাদাখ থেকে অরুণাচল পর্যন্ত ইন্দো চীন সীমান্তে ১৮০টি বিওপি আছে। তবে বিআইপি কতগুলো হবে তা নিয়ে এখনও কিছু বলা হয়নি। শুধু বিআইপি নয়। ভারত সীমান্ত এলাকার উন্নয়ন। পরিকাঠামো বৃদ্ধির উপর জোর দিয়েছে।
পশ্চিম অরুণাচলে চীনের সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় প্রথম গ্রাম হল মাগো। ২০২০ সাল পর্যন্ত ওই গ্রামে কোনও রাস্তা ছিল না। আগে হেলিকপ্টারে আর্মি ও আইটিবিপির সরঞ্জাম দেওয়া হত। এখন সেখানে ঝকঝকে রাস্তা। মোবাইলে যোগাযোগ, জলবিদ্যুৎ এসেছে। সেনা আর আইটিবিপি এই সীমান্ত গ্রামের উন্নতিতে কাজ করেছে। এখানে পর্যটনের বিকাশেও কাজ করা হচ্ছে। এখানে এখন শান্তির পরিস্থিতি রয়েছে। কিন্তু চীনের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি পড়ে গেছে। পরিস্থিতি কন্ট্রোলে রাখার চেষ্টা করছে ভারত। বসাচ্ছে খতরনাক সব অস্ত্র মোতায়েন করছে ট্যাংক ড্রোন। খাঁটি গাড়ছে বিআইপি। এবার শুধু অ্যাকশনের অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম