।। প্রথম কলকাতা ।।
মাত্র ১৪ মিনিটেই ঝাঁ চকচকে পুরো বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। না কোনও কর্মী সংখ্যা বাড়ানো, না কোনও যন্ত্রের সাহায্য! তাহলে কোন জাদুতে ঘটলো এমন কান্ড?ভারতীয় রেলওয়ের আবারো এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। তাক লাগিয়ে দিচ্ছে সকলকে। কিভাবে সম্ভব? যে জায়গায় একটা ট্রেন পরিষ্কার করতে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা সময় লাগে। সেখানে মাত্র ১৪ মিনিট? তাও আবার এত সুন্দর পরিষ্কার? এও সম্ভব? মনে এখন প্রশ্ন জাগছে নিশ্চয়! কিভাবে সম্ভব হলো এই কাজ? কত জন কর্মীই বা করেছে কাজটি? আদেও কর্মী নাকি জাদুকরি কোনও মেশিন?
সোমবার অর্থাৎ ১ লা অক্টবর, বলা যেতে পারে এক ‘অলৌকিক’ কাজ করে দেখালেন ভারতীয় রেলের কর্মীরা। ভারত সরকারের ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ভারতীয় রেলওয়ে। আর এই উদ্যোগের প্রথম নিদর্শন হিসেবে, এদিন মাত্র ১৪ মিনিটের মধ্যে রেলের কর্মীরা পরিষ্কার করে দেখালেন বন্দে ভারত ট্রেন। এদিন বন্দে ভারত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছানোর পর সমস্ত যাত্রীরা নেমে পড়লে তৎক্ষণাৎ শুরু হয় বন্দে ভারত পরিষ্কারের কাজ।
দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই উদ্যোগের সূচনা করেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। একইসঙ্গে এদিন, হাওড়া, শিরডি, সোলাপুর, আহমেদাবাদ, কাসারগড়, পুরি, গুয়াহাটি, রাঁচি এবং চেন্নাই-সহ দেশের বিভিন্ন স্টেশনে ২৯টিরও বেশি বন্দে ভারত ট্রেন ওই ১৪ মিনিটের ভিতরেই পরিষ্কার করা হয়েছে। আর এটা শুধুমাত্র একদিনের বিষয় নয়। এবার থেকে প্রতিদিনই ১৪ মিনিটের ভিতরই ঝাঁ চকচকে হয়ে যাবে বন্দে ভারত ট্রেনগুলি।
প্রত্যেক কর্মীকেই ১৪ মিনিট করে সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ঠিক হয়, এক একটি কামরায় তিন জন করে কর্মী কাজ করবেন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের মোট আটটি কামরায় কাজ করেন ২৪ জন কর্মী ও বন্দে ভারতের প্রত্যেকটি কামরা সাফাই হয় মাত্র ১৪মিনিটে। পড়ে থাকা জঞ্জাল সংগ্রহের জন্য ৬ মিনিট, বাইরে থেকে জানলা সাফাইয়ের জন্য চার মিনিট এবং কামরার মেঝে মোছার জন্য চার মিনিট সময় ছিল। এর আগে পর্যন্ত এই আধা হাই-স্পিড ট্রেনগুলি পরিষ্কার করতে তিন থেকে চার ঘণ্টা সময় লাগত।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, এর জন্য কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। পরিবর্তে, কর্মীদের দক্ষতা, ক্ষমতা এবং কাজের মনোভাব উন্নত করেই এই নয়া উদ্যোগকে সফল করা গিয়েছে। এই কর্মীদের এর আগে মাত্র এক মাসের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আগামী দিনে দেশের সকল ট্রেনই ১৪ মিনিটের মধ্যে পরিষ্কার করা হবে। আপাতত বন্দে ভারত দিয়ে এর সূচনা হলো।রেলমন্ত্রী, দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে এই উদ্যোগের সূচনার একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি একে ভারতীয় রেলের জন্য একটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ বলেছেন। রেল মন্ত্রকের পক্ষ থেকেও সোশ্যাল মিডিয়ায় রেল কর্মীদের বন্দে ভারত ট্রেন পরিষ্কার করার বেশ কয়েকটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম