।। প্রথম কলকাতা ।।
যুদ্ধে গোহারা হারছে রাশিয়া? জেলেনেস্কির হাতে যুদ্ধ জয়ের ফর্মুলা। ইউক্রেনেই তৈরি হবে অস্ত্রের পাহাড়। অস্ত্র শিল্পের কেন্দ্র হবে কিয়েভ। ইউক্রেনের মাটিতেই মিসাইল, ড্রোন- গোলা বারুদের স্তূপ। কিভাবে দিনে দিনে পশ্চিমা শক্তির ঘাঁটিতে বদলে যাচ্ছে কিয়েভ? যুদ্ধে বড়সড় এফেক্ট পড়ার চান্স বাড়ছে কয়েক ঘন্টাতেই কিস্তিমাত জেলেনেস্কির। চমক এখনও অনেক বাকি। রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে কতটা এগোলো ইউক্রেন? ইউক্রেন বলেছে তাদের সেনা দক্ষিণে রাশিয়ার প্রথম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘গুঁড়িয়ে দিয়েছে’ আর, এবার জেলেনেস্কির ভোকাল টনিকে নড়ে গেল রাশিয়ার ভীত। শুধু পশ্চিমা বিশ্বের ভরসায় নয়, ইউক্রেন এবার যুদ্ধ করবে নিজের জোরে।
ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা শিল্প খাতকে ‘বৃহৎ যুদ্ধাস্ত্র শিল্প কেন্দ্রে’ পরিণত করার প্ল্যান জেলেনেস্কির। যেখানে পার্টিসিপেট করবে পশ্চিমা কোম্পানিগুলো। আকাশ প্রতিরক্ষা, মাইন নিষ্ক্রিয় করার সরঞ্জাম রয়েছে প্রায়োরিটি লিস্টের প্রথমেই। সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, গোলাবারুদ উৎপাদনও আরও জোরদার করতে চাইছে ইউক্রেন। মোদ্দা কথা, প্রতিরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম, ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য উন্নত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরিতে আগ্রহী জেলেনেস্কি। এতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণে ইউক্রেনীয় বাহিনীকে অস্ত্র সরবরাহের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে মত জেলেনস্কির। ইউক্রেনের মাটিতে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম উৎপাদনের ফলে দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হবে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট কিয়েভের মাটিতে দাঁড়িয়ে কাদের উদ্দেশ্যে এই কথাগুলো বললেন? যখন ওই ফোরামে তার সামনে বসে একাধিক অস্ত্র নির্মাতা আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলো। রাশিয়ার ব্যাক টু ব্যাক বোমা হামলা সত্ত্বেও কীভাবে ইউক্রেনে যৌথভাবে অস্ত্র উৎপাদন করা যায়, এটাই এখন জেলেনেস্কির মেইন টার্গেট। কয়েকটা পশ্চিমা কোম্পানি অলরেডি ইউক্রেনের যুদ্ধাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কাজ করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে।
এসব কোম্পানির মধ্যে যুক্তরাজ্য ও জার্মানির শীর্ষস্থানীয় কিছু অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া, ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যৌথ উৎপাদন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর; ড্রোন ও সাঁজোয়া যানের যন্ত্রাংশ সরবরাহ এবং গোলাবারুদ উৎপাদনে বিদেশি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ২০টি চুক্তি সই করেছে ইউক্রেনের যুদ্ধাস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। গোলা দেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত সাত দেশ, ঠিক হয়ে গেছে। এমনকি দেশীয় প্রতিরক্ষা খাতে পশ্চিমা ইনভেস্টমেন্ট টানতে বিশেষ ইকোনোমিক্যাল জোন তৈরির প্ল্যানিংও রয়েছে ইউক্রেনের। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, সুইডেন ও তুরস্কের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জেলেনস্কির। ফোরামে পার্টিসিপেট করা আড়াইশোর বেশি পশ্চিমা কোম্পানির উদ্দেশে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেন প্রতিরক্ষা ম্যারাথন দৌড়ের এমন একটি পর্যায়ে রয়েছে, যখন পিছিয়ে না গিয়ে এগিয়ে যাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। দেশটির ১৮ শতাংশ ভূখণ্ড দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। যা উদ্ধার করতে গত জুনে কিয়েভ পাল্টা আক্রমণ শুরু করে। তবে, পেছন থেকে পুরোপুরি সাপোর্ট করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইউক্রেন পশ্চিমা বিশ্বের আর্থিক ও সামরিক সাহায্যের ওপর খুবই নির্ভরশীল। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এই ধরনের শত শত কোটি ডলারের সহায়তা পেয়েছে দেশটি কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যুদ্ধে অস্ত্র ও গোলাবারুদের চাহিদা বেড়েই চলেছে। সেই কারণেই কি জেলেনেস্কির এত বড় সিদ্ধান্ত? রাশিয়ার সামনে বড় বিপদ। রুখতে পারলে হয়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম