।। প্রথম কলকাতা ।।
মা আসতে আর মাত্র কয়েকটা সপ্তাহ বাকি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে জোর প্রস্তুতি। শিল্পী তার নিখুঁত শৈল্পিক ছোঁয়ায় তৈরি করছেন মায়ের অসাধারণ রূপ। দেবী মূর্তি পাড়ি দেবে সোজা ব্যাঙ্গালোর। এই শিল্পী যতগুলি প্রতিমা বানান তার বেশিরভাগটাই মিনিয়েচার। দেখতে অসাধারণ। একটা কাঠামোতেই থাকে দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, কার্তিক এবং গণেশ।
শান্তিপুরের শিল্পী জগন্নাথ প্রামানিক। পরিবারে আগে কেউ কোনদিন প্রতিমা করেননি। সবটাই শিখেছেন নিজের আগ্রহে। শান্তিপুরের বিভিন্ন মন্দির থেকে শুরু করে যেখানে যেখানে মূর্তি তৈরি হয় সেখানে গিয়ে আগ্রহ নিয়ে কাজ দেখতেন। তারপর বাড়িতে এসে প্র্যাকটিস করতেন। অবশেষে ২০২০ সাল থেকে প্রফেশনালি নিজেই প্রতিমা বানাতে শুরু করেন। পারিবারিকভাবে ছোট থেকে দেখে এসেছেন বাবাকে তাঁত বুনতে। সেটাও কিন্তু একটা বড় শিল্পের কাজ, তবে তিনি পারিবারিক ব্যবসা অর্থাৎ তাঁতের কাজ বেছে নেননি। পরিবর্তে হাতে তুলে নিয়েছেন রং তুলি আর কাদা মাটি।
ছোট থেকেই পাড়ার মণ্ডপে প্রতিমা তৈরি দেখে আসছেন। এখন তিনি জনপ্রিয় মৃৎ শিল্পী। এই শিল্পীর প্রতিমা বিদেশে পাড়ি না দিলেও চলে যায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। সেই পাঁচ বছর ওর বয়স থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শিখেছেন। কলেজ পাশ করার পর সংসার চালাতে বেছে নিয়েছেন এই পেশাকে। তার কাজে সহযোগিতা করেন স্ত্রী এবং মা। তিনি প্রতিমা তৈরির পাশাপাশি বাড়িতে টিউশনিও পড়ান।
এ বছর চারটি মিনিয়েচার বানিয়েছেন। মাসখানেক আগেই একটা প্রতিমা বেরিয়ে গেছে। আর একটা যাচ্ছে ব্যাঙ্গালোর। বাকি দুটো যাবে কলকাতায়। যতগুলো মূর্তি বানান তাদের উচ্চতা বড়জোর তিন থেকে চার ফুট। ব্যাঙ্গালোর যেটা যাচ্ছে সেটার উচ্চতা প্রায় ৩২ থেকে ৩৩ ইঞ্চি। বড় মূর্তি যে বানান না এমনটা নয়। বড়জোর একটা কিংবা দুটো। কিন্তু অর্ডার পান কোথা থেকে? আসলে সবটাই সোশ্যাল মিডিয়ার কামাল। শিল্পীর ফেসবুক ইনস্টাগ্রামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে। সেখানে তার হাতের কাছ দেখে অর্ডার দেন অনেকেই। গত বছরও ব্যাঙ্গালোর থেকে অর্ডার এসেছিল। এমনকি তার হাতে তৈরি প্রতিমা গিয়েছে মহারাষ্ট্রে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম