।। প্রথম কলকাতা ।।
মোদীর ট্রিটমেন্টে হুঁশ ফিরল কানাডার, নরম সুর ট্রুডোর। খালিস্তানী জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার পথ বন্ধ হতেই, ভারতের গুরুত্ব বুঝে গেল কানাডা। ড্যামেজ কন্ট্রোলের স্ট্র্যাটেজি? কখনও ট্রুডো, কখনও কানাডার ডিফেন্স মিনিস্টার। কি চাইছে ভারতের কাছে? চীনের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিতে কেন ভারতের পাশেই কানাডা? খেলা এবার ভারতের হাতে। ভারতের দিকে আঙুল তুলেছে কানাডা। বড় অভিযোগ এনেছে। ছেড়ে কথা বলবে না ভারত। কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতেই দিয়েছে। খলিস্তানি জঙ্গীদের ভারতে ঢোকার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে মোদী সরকার।
আর তাতেই ঘুম উড়ে গেল কানাডার। 180 ডিগ্রি ঘুরে গিয়ে কানাডার প্রতিরক্ষামন্ত্রী বিল ব্লেয়ার বললেন, “ভারতের সঙ্গে কানাডার সম্পর্ক ‘গুরুত্বপূর্ণ”। একইসঙ্গে বললেন, কানাডার ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের রণকৌশলে কোনও বদল আসবে না। অর্থাৎ, ওই অঞ্চলে চীনা আগ্রাসন রুখতে ভারত, আমেরিকা, জাপানের মতো দেশগুলো যে ভাবে পাশাপাশি আসার চেষ্টা করছে, আপাতত সেই উদ্যোগের পাশে থাকবে কানাডাও। কথায় বলে, বেটার লেট দ্যান নেভার। তাহলে কি দেরীতে হলেও ভারতের গুরুত্ব বুঝলো কানাডা? এর ঠিক দুদিন আগে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, ভারতকে নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। বলেছেন, তামাম বিশ্বে ভারতের গুরুত্ব বাড়ছে। ভারত এমন একটি দেশ, যাদের সঙ্গে আমাদের হাত মিলিয়ে কাজ করা প্রয়োজন রয়েছে। জোড় গলায় স্বীকার করে নিয়েছিলেন ট্রুডো। আর তার ঠিক দুদিন যেতে না যেতেই কানাডার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর গলায় সেই নরম সুর ভারতকে নিয়ে।
যদিও, কানাডার ডিফেন্স মিনিস্টার এটাও জানিয়ে দিয়েছেন খলিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিংহ নিজ্জরকে হত্যা সংক্রান্ত তদন্ত চলবে। সঙ্গে জুড়েছেন, আমরা বুঝতে পারছি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার প্রশ্নে এটা নিজ্জর হত্যা সংক্রান্ত বিতর্ক একটা কঠিন বিষয় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারত এবং কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয় গত সোমবার থেকে। অলরেডি কানাডার নাগরিককে ভিসা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। কানাডা জঙ্গিদের নিরাপদ আশ্রয় হয়ে উঠছে বলেও গুরুতর দাবি করে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক। মোদি সরকার জঙ্গিদের ভারতে ঢোকার পথ বন্ধ করতে ওসিআই কার্ড ও বাতিল করেছে। ভারত চাপ বাড়িয়ে যাচ্ছে। আর, তাতেই কী নরম সুর ট্রুডোর গলায়? প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। বুঝতে হবে, ট্রুডোর পপুলারিটি কমছে। কানাডার ভেতরেও উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। ট্রুডোর নিজের দল লিবারাল পার্টির অন্দর থেকেই ভিন্ন সুর শোনা যাচ্ছে।সবমিলিয়ে ট্রুডোর অস্বস্তি বাড়ছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম