।। প্রথম কলকাতা ।।
Titas Sadhu: ক্রিকেট মাঠে আগুন ধরালেন বাংলার মেয়ে। ভারতের ঘরে আসল সোনা। চুঁচুড়ায় রীতিমত হই হই রই রই কাণ্ড। সবাই বলাবলি করছে এই মেয়ের হাতে ম্যাজিক আছে। দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে টিকতে পারল না প্রতিপক্ষ। দাপটের কাছে হার মানল শ্রীলঙ্কা। টপ অর্ডারকে একাই করলেন আউট। বলছি চুঁচুড়ার মেয়ে তিতাস সাধুর কথা। গোটা শহর জুড়ে মানুষের মুখে এখন একটাই নাম। সেটা হল তিতাস। যার পারফরম্যান্স এ ভেঙে চুরমার হয়ে গেল শ্রীলঙ্কার সোনা জেতার স্বপ্ন।
এশিয়ান গেমসে ভারতের ঝুলিতে এল দ্বিতীয় সোনা। শ্রীলঙ্কাকে গো হারা হারাল হরমনপ্রীতেরা। গোটা দেশ জুড়ে এখন এই মহিলা ক্রিকেটার দলকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই। পাশাপাশি বার বার উচ্চারণ হচ্ছে বাংলার তিতার সাধু আর রিচা ঘোষের নাম। তিতাস বল হাতে ঝড়ের গতিতে দেখিয়েছেন দাপট। তার ধাক্কা সামলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রথম ওভারেই নিয়েছেন দুই উইকেট। দ্বিতীয় ওভারে আউট করে দেন শ্রীলঙ্কার হেভিওয়েট খেলোয়াড় আতাপাত্তুকে। তারপর হাজারো চেষ্টা করে ম্যাচের মাঠে মাথা তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। রান রুখে দিয়েছে তিতাসের দুর্দান্ত বোলিং।
১৯ বছরের এই মেয়ে এখন রীতিমত সেলিব্রেটি। আগেও ঝড় তুলেছে বিশ্বকাপের ময়দানে। এবার এশিয়ান গেমসে ভেজা পিচেই দেখালেন তার ম্যাজিক। সাফল্য পেলেন হরমনপ্রীত সিং, স্মৃতি মান্ধানারা । তিতাস চার ওভারে ছয় রান দিয়ে নিয়েছেন তিন উইকেট। এটা কি কম বড় কথা নাকি। বাংলার এই মেয়ের এখন ধ্যান জ্ঞান শুধুই ক্রিকেট। যেটা অর্জন করেছেন, দিন রাতের অধ্যাবসায় সেই জায়গাটা ধরে রাখাটাও কিন্তু বড় চ্যালেঞ্জের ব্যাপার।
এই মেয়ের ইউএসপি টা কি জানেন? আসলে তিতাস এক্কেবারে ঘাবড়ে যায় না। চাপের মুখেও স্বাভাবিক থাকতে পারে। এটাই তার বড় গুণ। ছোট থেকেই সাহসী। মনের মধ্যে রয়েছে আলাদা জেদ। খুব দ্রুত শিখে নেয়। কাজে ভুল করলে সেটা পরের দিনেই সংশোধন করে। নিজের মধ্যেই চালায় রিসার্চ। কিভাবে পারফরম্যান্স আরো ভালো করা যায়। শুনলে অবাক হবেন, তিতাস কিন্তু আগে ক্রিকেট খেলতেন না। সুইমিং করতেন। ক্লাস এইট নাইন থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। অল্প সময়ের মধ্যে পৌঁছে গিয়েছেন বিশ্বের মঞ্চে। তারপর এশিয়া গেমসে তৈরি করলেন নতুন মাইলফলক। এখন শুধু তিতাসের সিনিয়র দলের সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা। এমনটাই মনে করছেন তার বাবা রণদীপ সাধু। তিতাস প্রমাণ করে দিয়েছেন, তিনি বড় ম্যাচের খেলোয়াড়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম