।। প্রথম কলকাতা ।।
রাশিয়ার রিস্ক বাড়িয়ে দিল যুক্তরাষ্ট্র। ভিয়েতনামের সাথে অস্ত্র চুক্তি, পুতিনের চরম সর্বনাশ। ভিয়েতনামের হাতে আসতে যাচ্ছে সুপার উইপন। দক্ষিণ চীন সাগরে তাল পিটিশন বাড়ছে চীনের। ২০ বছরের যুদ্ধের রেশ কাটছে বাইডেনের এক সফরেই। কোল্ড ওয়ারের দুই দেশ কি এবার বন্ধু? আশঙ্কা ২০০% সত্যি হয়ে গেল। রাশিয়ার টেনশন বাড়িয়ে ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্র হাতে হাত মেলাচ্ছে।বড়সড় অস্ত্রচুক্তি করতে যাচ্ছে। হ্যানয় তাদের সামরিক বহর আধুনিকায়নের বড় সুযোগ পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমানও পেতে পারে। সেক্ষেত্রে, ভিয়েতনামের দিকে শত্রুদেশ এর চোখ তুলে তাকানো সোজা হবে না।
এই ডিল চীন-রাশিয়ার সম্পর্কে বড় এফেক্ট ফেলতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে অস্ত্র কিনলে রাশিয়ার অস্ত্রের ওপর হ্যানয়ের নির্ভরশীলতা কমতে পারে, চান্স থাকছে তার থেকেও বড় কথা, চীন, রাশিয়া, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে আগে থেকেই ভিয়েতনামের স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ রয়েছে। তাই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভিয়েতনামের সম্পর্ক যত গভীর হচ্ছে ততই চাপে পড়ে যাচ্ছে চীন-রাশিয়া। কেন চীনের প্যালপিটেশন বাড়ছে? যুক্তরাষ্ট্রের থেকে খতরনাক সব মার্কিন অস্ত্র ভিয়েতনামের হাতে চলে এলে দক্ষিণ চীন সাগরে বেইজিং এর চাপ বাড়বে। দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে ভিয়েতনামের সাথে চীনের বিরোধ রয়েছে।
তাই ভিয়েতনাম যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্র চুক্তিতে বিরক্ত হতে পারে চীন ও। তবে, দেখার মতো বেনিফিট পাবে ভিয়েতনাম। এই বিল হলে যুক্তরাষ্ট্র ভিয়েতনামকে পুনর্গঠনে বিশেষ আর্থিক সুবিধা দেবে। রাশিয়ার থেকে কম দামে অস্ত্র পাবে দেশটি। সমুদ্রে তদারকিতে আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে যুক্তরাষ্ট্র। বিমান তদারকির জন্য প্রযুক্তিগত সাহায্যও পাবে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ভিয়েতনাম এই ডিল নিয়ে ভীষণ ইন্টারেস্টেড। তবে চুক্তিটি একদম প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। মনে করিয়ে দিই, ভিয়েতনামে ২০ বছরের যুদ্ধচলাকালীন সময়ে বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে যুক্তরাষ্ট্র। প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ক্লিনটন দেশটির সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছিলেন। এরপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক পুনস্থাপিত হয়। আর এবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সফরের মধ্যে দিয়ে নতুন গতি পাচ্ছে এই সম্পর্ক। যাতে ঘুম উড়ে যাওয়ার জোগাড় চীন রাশিয়ার।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম