।। প্রথম কলকাতা ।।
কোন দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ঘুঁটি সাজাচ্ছে চীন? ৫০ বছরের চেষ্টা, সাক্সেসফুল হবে এবার? টার্গেটে কে? আমেরিকা নাকি তাইওয়ান? কত বড় বিপর্যয়ের মুখে গোটা পৃথিবী? চীন দিনে দিনে কত বড় রেস্ট ফ্যাক্টর হয়ে উঠছে? আন্দাজ আছে বড় খবর ফাঁস হয়ে গেল। চীন তলে তলে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু কাদের বিরুদ্ধে নিচ্ছে? ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রাজনীতিক নিকি হ্যালের প্রেডিকশন নিয়ে শুরু হয়ে গেল তোলপাড়। ব্যাপক চাপে পড়ে গেল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কী বলছেন হ্যালে?
আমেরিকা থেকে কখনোই চীনের নজর সরেনি। চীন বরাবর আমেরিকাকে হারাতে চেয়েছে। আর এখন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবাহিনীর নিরিখে আমেরিকার প্রায়কাছাকাছিই চলে এসেছে। বড় কিছু ঘটতে চলেছে।প্রায় ৫০ বছর ধরে চেষ্টা চালাচ্ছে বেজিং। আমেরিকার বিরুদ্ধে ছক কষে চলেছে চীন। তবে কি এবার সেই চেষ্টা সাকসেসফুল হবে? হ্যালের বিস্ফোরক অভিযোগ।আমেরিকার উৎপাদন শিল্পের নানা কৌশল চুরি করে ফেলেছে চীন। প্রযুক্তি থেকে ওষুধ উৎপাদন, সবটাই নিজেদের মতো করে রপ্ত করার চেষ্টা করেছে তারা। হ্যালের মন্তব্য চীনা অর্থনীতিকেও প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। আমেরিকর গোপন সব কৌশল রপ্ত করেই চিন দ্রুত পিছিয়ে পড়া অর্থনীতির এক দেশ থেকে বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থননীতি হয়ে উঠেছে বলছেন নিকি হ্যালে। কিন্তু কেন গোপনে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন?
বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে চিনের একমাত্র উদ্দেশ্য, যেকোনও মতে আমেরিকাকে হারানো। সেজন্য তারা অত্যাধুনিক সামরিক বাহিনী তৈরি করেছে। যা আমেরিকাকে হুমকি দিতে, এশিয়া ও তার বাইরে আধিপত্য বিস্তার করার ক্ষমতা রাখে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চিন আজ প্রায় আমেরিকার সমানই হয়ে উঠেছে। চিন স্পাই বেলুনও পাঠাচ্ছে আমেরিকার আকাশে। যুক্তরাষ্ট্রের উপকূলের একটু দূরে কিউবায় গুপ্তচর ঘাঁটি তৈরি করছে।সব মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের যে ব্লাড প্রেসার বাড়ছে সেটা নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। চীন মার্কিন দ্বন্দ্ব নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলেও টেনশন বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে, দুই বৃহৎ শক্তি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে চীনকে। এরই মধ্যে চীনের এই গোপন প্ল্যানিং, পশ্চিমা বিশ্বের অস্বস্তি আরও বাড়ালো।
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয় বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছে চীন দিনে দিনে গোটা বিশ্বের জন্য রিস্ক ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সেক্ষেত্রে সত্যিই যদি চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে তার পরিণতি কি হবে কোন আন্দাজ আছে? যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে সংঘাত শুরু হলে গোটা পৃথিবীতে মহা বিপর্যয় নেমে আসবে যুদ্ধ বিশেষজ্ঞরা এমনটাই মনে করছেন। কিন্তু চীন শোনে কার কথা? ক্ষেত্রে কোন নিষেধ না মেনে সামরিক সংঘাতে জড়ালে ফল কি হতে পারে? আদেও কি সংঘাত রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্রাটেজি কাজ করবে? আমেরিকার থেকে এশিয়ার প্রধান সামরিক শক্তি চীন যে এগিয়ে তা নতুন করে বলার কথা নয় ফলে, পরিণতি মোটেই ভালো হবে না। তাই, যুক্তরাষ্ট্রের ঝুঁকি থাকছেই। আশঙ্কার মেঘ কাটছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম