।। প্রথম কলকাতা ।।
Baby crying: সারা বিশ্বজুড়ে বাচ্চারা নিয়মিত কাঁদে তাদের পিতা মাতার সাথে যোগাযোগ করার একমাত্র উপায়ের জন্য। কান্নার মধ্য দিয়ে শিশু খিদে, ব্যথা, ঘুম প্রকাশ করে। অনেক সময় শিশুর কান্না থামাতে অক্ষম হয়ে যান মায়েরা।
তবে শিশু কাঁদতে পারার তার বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সাধারণত ক্ষুধার্ত হওয়ার কারণে বা ক্লান্ত হওয়া কারণে কাঁদতে থাকে শিশুরা। সুতরাং কোনো শিশুর নিয়মিত কান্না দেখতে পাওয়া সম্পূর্ণ স্বাভাবিক এবং তাই অতিরিক্ত চিন্তা করার দরকার নেই।
যখন আপনার শিশু কাঁদবে তখন আপনাকে শান্ত থাকতে হবে এবং কখনোই নিজের মেজাজ হারালে চলবে না। এছাড়াও কান্নার কারণ তদন্ত করতে হবে। শিশুটি ক্ষুধার্ত রয়েছে, ময়লাযুক্ত ডায়াপার পড়ে রয়েছে, ঘুম পাচ্ছে অথবা তার কোথাও ব্যাথা হচ্ছে কিনা জানতে হবে।
মায়ের কণ্ঠ যে কোনো সন্তানের জন্য প্রিয় শব্দ। নিচু স্বরে গান করা বা কানে কানে ফিসফিস করে বলা তার কাছে আসার এক সঠিক উপায়।
শিশুদের কান্না থামানোয় বুকের দুধ খাওয়ানো একটি দুর্দান্ত বিকল্প। আপনার বাচ্চাকে শান্ত করার আরেকটি উপায় হল তাকে আকর্ষণ করতে খেলনা বা জিনিস দিয়ে তাকে বিনোদন দেওয়া। শিশুকে বিভ্রান্ত করার কাজ যথেষ্ট।
শিশুকে শান্ত করার আরেকটু উপায় হল তাকে আরাম করতে এবং শান্তভাবে ঘুম পাড়াতে তাকে দোলানো। এছাড়াও আপনার বাচ্চাকে জড়িয়ে ধরুন। কারণ অনেক সময় মায়ের উষ্ণতা অনুভব করলে কান্না থামিয়ে দেয় শিশু।
শিশুর কান্না না থামলে শুষ্ক তোয়ালে বা আরামদায়ক কাপড়ে শিশুকে মুড়িয়ে নিন শিশুর জন্য এটি অনেকটা মায়ের গর্ভে ফিরে যাওয়ার মতো।
হোয়াইট নয়েজ শুনতে পেলে শিশুর চোখে সহজেই ঘুম আসে। যেমন পাখার শব্দ জল পড়ার মতো শব্দ। অথবা স্মার্টফোনে হোয়াইট নয়েসের অডিও প্লে করতে পারেন।
শিশুদের শহর যত প্রবণতা হলো চোষার অভ্যাস। তাদের মুখে প্যাসিফাইয়ার দিয়ে কান্না সহজেই থামানো যেতে পারে।
শিশুর কান্না থামাতে বেবি মাখা আজ বিস্ময়কর ভূমিকা পালন করে। গবেষণায় দেখা গেছে যেসব শিশুকে মাসাজ করা হয়েছে তারা কান্না কম করে এবং বেশি ঘুমোয়।
শিশুরা কান্নার সময় প্রচুর হাওয়া গিলে ফেলে এতে তাদের পেটে গ্যাস তৈরি হয়। সেই সময় শিশুর পিঠে মৃদু থাপ্পড় দিন।
বাচ্চার শরীর অতিরিক্ত গরম বা ঠান্ডা হয়ে আছে কিনা তার পেটে বা গলার পেছনে স্পর্শ করে আপনি বুঝতে পারবেন। তাই ঘুমানোর সময় বাচ্চার শরীরে খুব বেশি কাপড় পরানো যাবে না এতে করে শরীর অতিমাত্রায় গরম হয়ে বাচ্চার ঘুমের ব্যাঘাত করতে পারে।
শিশুর অবস্থান পরিবর্তন করুন। শোয়া অবস্থায় শিশু কান্না করলে তাকে বসিয়ে দিন। বসা অবস্থায় কান্নাকাটি শুরু করলে তাকে একটু হাঁটাহাটি করান দেখবেন স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
বাচ্চার কান্না করাটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। এটা স্থায়ী কোনো সমস্যা নয় এমনকি এটা তাদের বড় হওয়ার একটা ধাপ হিসেবে ধরে নিতে পারেন। শিশুরা তাদের চাহিদাগুলো প্রকাশ করে কান্না করার মাধ্যমে। তবে বড় হবার সাথে সাথে বিভিন্ন ভাবে তারা তাতে চাহিদাগুলো প্রকাশ করতে শিখে যায়।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম