।। প্রথম কলকাতা ।।
বাংলাদেশের ভয় পাওয়ার কিছু নেই যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিতে, মার্কিন মুলুকে বসেই বড় ঘোষণা শেখ হাসিনার। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন নিয়েও বড়সড় প্রশ্ন তুললেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ভোটের আগে ফের উত্তেজনা বাড়ছে ঢাকা ওয়াশিংটনের। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী যখন দেশের বাইরে তখনই কার্যত বিতর্কিত ভিসা নীতি প্রয়োগের ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র কিন্তু তেমনটা হলেও আমেরিকায় বসেই কার্যত এর জবাবটা দিয়ে দিলেন শেখ হাসিনা। এবারের কটাক্ষের সুর আরও চড়া বিষয় বেশ স্পষ্ট।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে যোগ দিতে বর্তমানে নিউইয়র্কে রয়েছেন আওয়ামি লিগের সভাপতি। আর সেখান থেকেই তিনি দৃপ্তকণ্ঠে তাঁর দেশবাসীকে জানিয়ে দিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি নিয়ে ভয় পাওয়া কিংবা ঘাবড়ানোর কিছু নেই। কারণ এতে বিরোধীদলের কথাও বলা আছে কিন্তু এত সহজে যে যুক্তরাষ্ট্রের এধরণের সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোনওভাবেই সমঝোতা করবেন না হাসিনা সেটাও তিনি বুঝিয়ে দিলেন পরিস্কার ভাষায়। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন চীন না রাশিয়া কার সমর্থনে এতটা জোর পাচ্ছে বাংলাদেশ? নাকি এর নেপথ্যে আসলে রয়েছে ভারত? কার্যত কয়েকধাপ এগিয়ে শেখ হাসিনা সোজা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাসিনার কথায় যারা বাংলাদেশের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাচ্ছে তাদের দেশে কেমন ভোট হয়?
কূটনৈতিক মহলের দাবি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আসলে আমেরিকার বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ওঠা কারচুপির অভিযোগের কথা বলতে চেয়েছেন। যা নিয়ে এখনও সে দেশে মামলা-মোকদ্দমা চলছে। নিজের দেশের ভোট নিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন আমরা কারও দয়ায় ক্ষমতায় আসিনি এখানেই শেষ নয় শেখ হাসিনা এটাও বলেন আমাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দিলে আমার দেশের মানুষও পাল্টা স্যাংশন দেবে। কূটনৈতিক মহলের দাবি যুক্তরাষ্ট্র যবে থেকে ভিসা নীতি নিয়ে বাংলাদেশের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে তখন থেকেই এর প্রতিবাদ শুরু করেছিল আওয়ামী লিগ। শেখ হাসিনাও বারবার আমেরিকার দাদাগিরি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। এবার মার্কিন মুলুকে বসেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি এই গোটা কূটনৈতিক পরিস্থিতিতে উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যারা ভোটের স্বচ্ছতা নিয়ে কথা বলছে ২০০১ কিংবা সামরিক শাসকদের নির্বাচনের সময় তারা কোথায় ছিল?
উল্লেখযোগ্য ভাবে দুদিন আগেই বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেছেন তাঁদের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিনের স্বপ্ন প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডস’ প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ স্বয়ংক্রিয় সঙ্গী। এর পর পরই হাসিনার এই কটাক্ষ বিশেষজ্ঞদের অনেকেই অন্য চোখে দেখছেন। বাংলাদেশের চীন নির্ভরতা নিয়েই ভারত কিন্তু বারবার মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে। নয়াদিল্লির বক্তব্য ছিল বাংলাদেশে হাসিনা দুর্বল হলে ভারত ও আমেরিকা দুই দেশই বিপাকে পড়বে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র যে সেসব কানে বিশেষ একটা তোলেনি সেটা টের পাওয়া যাচ্ছে এবার। এখন দেখার যুক্তরাষ্ট্রের এই ভিসা নীতি বাংলাদেশের নির্বাচনের ওপর ঠিক কীভাবে প্রভাব ফেলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম