।। প্রথম কলকাতা ।।
কানাডা নিয়ে চীনের ভারতকে তুলোধনা করার চেষ্টা কিন্তু নিজেই খেল গোল। বাইডেন-মোদীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধানোর চেষ্টা জিনপিংয়ের কানাডা চীনের শত্রু তবুও ট্রুডোকে সমর্থন করছে বেজিং। কানাডা ইস্যু মুখ খুলে নিজেদেরই কুকীর্তি ফাঁস করল চীন। চীন ভেবেছিল এই তো সুযোগ ভারতকে জব্দ করার পশ্চিমাদের সঙ্গে দিল্লির সম্পর্ককে ঘেঁটে ঘ করা যাবে। কানাডা চীনকে শত্রু মনে করে তা সত্ত্বেও ট্রুডোকে সাপোর্ট। কেন করছে বেজিং সেটা নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।
খুব সোজাসাপটা অঙ্ক ভারত বিরোধিতা। আর ভারতকে এই সুযোগে টেনে নিচে নামানোর চেষ্টা। চীন প্রমাণ করতে চায় পশ্চিমারা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে ভারতকে প্রশয় দিয়েছে যার ফল তাদের নিজেদের ভুগতে হচ্ছে এমনটা কি অফিসিয়াল বিবৃতি দিল জিনপিংয়ের সরকার? চীন চাইছে কোনওভাবে কানাডার এমন কোনও প্রমাণ পাক
যাতে তারা প্রমাণ করতে পারবে নিজ্জরের হত্যার জন্য ভারতই দায়ী। কারণ একবার যদি এধরণের কিছু প্রমাণ হয়ে যায় তাহলে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতের মাথা নিচু হয়ে যাবে। আর এর থেকে খুশির খবর আর কি বা হতে পারে বেজিংয়ের কাছে। শি সরকারের মুখপত্র গ্লোবাল টাইমসে ভারত ও পশ্চিমা জোটকে তুলোধনা, কিন্তু দিল্লি জানে তাই চীনের ফাঁদে পা দেয়নি। চীন বেসকলি চাই কানাডা ইস্যুতে আমেরিকা অস্ট্রেলিয়া পুরোপুরি কানাডাকেই সমর্থন করুক। আর এসুযোগে দিল্লিও যাতে পাল্টা আমেরিকাকে আক্রমণ করে ব্যাস তাহলেই পশ্চিমা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দিল্লির ইকুয়েশন ঘেটে দেওয়া যাবে। সেই সঙ্গে একইসঙ্গে দুর্বল হয়ে পড়বে কোয়াড।
এমনকি কিছুদিনের মধ্যে শুরু হতে চলা যুক্তরাষ্ট্র মহাসভাতেও বেজিং চাইছে পাকিস্তানের কূলভূষণ যাদবের ইস্যু তুলে ধরুক এবং এখানে কানাডার হাত শক্ত করুক। গ্লোবাল টাইমসে বেজিং পশ্চিমাদের উস্কে বলে পশ্চিমারা দাবি করে তারা মানবাধিকারের সপক্ষে কথা বলে কিন্তু তারাই ভারতের তথাকথিত লোকতন্ত্রের প্রশংসা করে। একইসঙ্গে বেজিং এটাও দাবি করে পশ্চিমারা চীনের বিরুদ্ধে এজেন্ডা চালানোর জন্য ভারতকে হাতিয়ারের মতো ব্যবহার করতে থাকে। বুঝতে পারছেন উস্কানি ঠিক কোন লেভেলে কিন্তু ভারত যে এই ফাঁদে পা দেবে না তা প্রমাণিত। কানাডা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র একের পর এক মন্তব্য করেছে। ভারত কিন্তু এখনও তার একটাও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। কার্যত শুধুমাত্র কানাডাকে নিয়ে অ্যাকশন নিয়েছে দিল্লি, কিন্তু ওয়াকিবহাল মহল বলছে যে চীন নিজেদের দেশে স্বৈরাচারী শাসন চালায় তারা ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছে। গ্লোবাল টাইমসে এটাও দাবি করা হয়েছে।
ভারত তাদের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানবাধিকার উলঙ্ঘন করছে কিন্তু অবস্থা দেখুন এতে চীনের নিজের মুখোশই খুলে গেল। যে ভাবে চীন নিজেদের দেশে উইঘুর মুসলিমদের ওপর অত্যাচার করে তা আর জানতে বাকী নেই কারোর। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন কানাডা ইস্যুতে ভারতের মাথা নিচু করার আরও সুযোগ খুঁজবে চীন। তাই দিল্লিও পা ফেলছে মারাত্মক সতর্ক ভাবেই।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম