।। প্রথম কলকাতা ।।
সাগরে চীনকে আষ্ঠেপৃষ্ঠে ঘিরে ফেলছে জি৭। কোণঠাসা শি, বেইজিং এর ব্লাডপ্রেসার বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রকে সামনে রেখে, গোপনে কোন ফন্দি আঁটছে জি৭? সাগরে তোলপাড় গ্রুপ অফ সেভেনের, জলের তলায় জমবে খেলা। শি’এর গাজোয়ারিতেই ঘনাচ্ছে বিপদ? ৭ দেশের ওয়ার্নিংয়ে কী রিয়্যাকশন দিল চীন? জি ৭ বলয়ে ফেঁসে গেল চীন। সাগরে নাক গলালেই বিপদ। তাহলে কী সাগরে যুদ্ধের মেঘ ঘনাচ্ছে? চীনকে শায়েস্তা করতে একাট্টা জি-৭। কী ঘটবে এবার?
দক্ষিণ চীন সাগরে চিনের দাদাগিরি রুখতে নেওয়া হলো বড় স্টেপ। বেইজিংয়ের গাজোয়ারি আর মেনে নেবে না গ্রুপ অফ সেভেন। স্ট্রেটকাট জানালো ৭-৭টা দেশ। বিশ্বের সাতটি দেশ নিয়ে তৈরি হয়েছে গ্রুপ অফ সেভেন। কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই জোটের অংশ। যারা, তাইওয়ান সীমান্তে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ওয়ার্ন করেছে চীনকে। ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে বরাবরই আধিপত্য বিস্তার করতে চায় চীন। টার্গেটে দক্ষিণ চিন সাগর ও। যেখানে নিজেদের কর্তৃত্ব স্থাপন করতে চাইছে বেজিং। বিগত কয়েক বছর ধরেই দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক পরিকাঠামো গড়ে তুলছে লালফৌজ। প্রায় গোটা জলরাশিই নিজেদের বলে দাবি করে ড্রাগনের দেশ। লালফৌজের এই আগ্রাসানের বিরুদ্ধে বরাবরই কড়া পদক্ষেপ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। আর এবার ওয়াশিংটনের পাশে দাঁড়িয়ে চীনের বিরুদ্ধে একজোট হল জি-৭ গোষ্ঠীর অন্য দেশগুলো। যারা মনে করিয়ে দিতে চায় রাষ্ট্রসংঘের নিয়ম মেনে চলার দায়িত্ব চীনেরও রয়েছে।
জাপান সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরে এই মূহুর্তে যা পরিস্থিতি তা নিয়ে উদ্বিগ্ন সকলে। ফলে ওই অঞ্চলগুলোতে বেইজিং যদি নিয়ম ভেঙে জোর করে নিজেদের শক্তি বা ক্ষমতা জাহির করে তাহলে তা বরদাস্ত করা হবে না। আমেরিকার মতোই বাকি সদস্য দেশগুলোও চীনের কড়া বিরোধিতা করবে। তাছাড়াও মার্কিন বিদেশ দফতরের বিবৃতিতে তাইওয়ান প্রসঙ্গ ও উঠে এসেছে। বিগত কয়েক দিন ধরে দ্বীপরাষ্ট্র তাইওয়ান সীমান্তে সামরিক মহড়া তীব্র করেছে জিনপিং প্রশাসন। ঘন ঘন আকাশে চীনা যুদ্ধবিমান চক্কর কেটেছে। সমুদ্রে হানা দিয়েছে চীনা যুদ্ধ জাহাজ। তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স জোনে ঢুকে পড়েছে লালফৌজ। সুযোগ বুঝে বারংবার সেদেশে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে লালফৌজ। তাই, দুদেশের মধ্যে বাড়তে থাকা চাপানউতোর নিয়েও চিন্তিত জি-৭।
এই নিয়ে চীন-তাইওয়ান দুদেশকেই শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আসার মেসেজ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি বিশ্বশান্তির জন্যও এই সমস্যার সমাধান হওয়া প্রয়োজন, বুঝিয়ে জি৭ এর ৭ টা দেশ। বলে রাখা ভালো, দক্ষিণ চিন সাগর ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনকে রুখতে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান এবং ভারত মিলে তৈরি হয়েছে ‘কোয়াড্রিল্যাটারাল সিকিউরিটি ডায়ালগ’বা কোয়াড জোট। চীনের এই আগ্রাসানে বিপন্ন মুক্তবাণিজ্য পথ। এছাড়া বিভিন্ন দেশের নিরাপত্তাও বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই, চীনকে ঠেকাতে মরিয়া ভারত, যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ। কিন্তু চীনের রিয়্যাকশন কী? পাল্টা জবাব দিতে কোন পথে হাঁটবে ড্রাগনের দেশ? সেটাই দেখার অপেক্ষা।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম