।। প্রথম কলকাতা ।।
Viral Fever: খুব সাবধান। এই বর্ষায় ঘরে ঘরে একটা মারাত্মক জ্বর হচ্ছে। ৩ দিনেই ঘায়েল? একদম হালকাভাবে নেবেন না। শরীরের টেম্পারেচার কত হলেই আপনার সঙ্গে বড়সড় একটা বিপদ ঘটে যেতে পারে? কখন আপনার থেকে পরিবারের বাকিদের মধ্যে এই জ্বর ছড়িয়ে পড়বে, ধরতে পারবেননা। ব্যাকটেরিয়াল ফিভারের থেকে ভাইরাল ফিভার এর সিম্পটম গুলো কোথায় আলাদা? জানাটা আপনার দরকার। ঘন ঘন প্যারাসিটামল, অ্যান্টিবায়োটিক খেলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। কী করলে তাড়াতাড়ি সেরে উঠবেন? খাদ্যতালিকায় কয়েকটা জীনিস মাস্ট, বর্ষার জ্বরটায় দুর্দান্ত কাজ করবে। এর মধ্যে কি স্নান করা উচিৎ? ভাইরাল ফিভার কেড়ে নিতে পারে প্রাণ? ভয় নয়, সচেতন হোন।
৩ টে দিনে কাবু করে দিচ্ছে বর্ষার এই ভাইরাল ফিভার। ঘরে ঘরে এক জ্বরে ভুগছে ছোট থেকে বড় । লক্ষণগুলো দেখে বুঝে আগে থেকেই সাবধান হোন। শরীরের তাপমাত্রা ১০১ থেকে ১০২ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে পারে। যদি ১০৪ ডিগ্রি পার করে যায় তাহলে বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে রোগীকে বাড়িতে না ফেলে রেখে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। জ্বর, ভীষণ ক্লান্তির পাশাপাশি মাসল পেন ভাইরাল ফিভারের অন্যতম লক্ষণ। তাছাড়া চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে জ্বালা, গায়ে র্যাশ, মাথা যন্ত্রনা, হাঁচি বা খুশখুশে কাশি, খাবার খেতে তীব্র অনীহাও থাকে ভাইরাল ফিভারে। এই জ্বরটা শরীরকে প্রচণ্ড দুর্বল করে দিচ্ছে। দাঁড়ানোর ক্ষমতা থাকছে না। তাই, জ্বরে ভুক্তভোগীদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া জ্বরটা কিন্তু ছোঁয়াচে। বাড়িতে একজনের হলে, অন্যান্য সদস্যদের মধ্যেও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে কিন্তু, এই ভাইরাল ফিভার কমাতে কী করবেন?
জ্বর কমাতে ঠাণ্ডা জলে মাথা ধুলে ভালো লাগবে তবে সেটা সাথে সাথে পরিষ্কার কাপড় দিয়ে মুছে দিতে হবে। এছাড়া প্যারাসিটামল বা পেইনকিলার খেলেও, সেটা খালি পেটে নয়। চিকিৎসকরা বলছেন, ভাইরাল জ্বরকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। বারবার জ্বর আসতে থাকলে ঘরে বসে নিজেই ডাক্তারি করবেন না। মানে, ইচ্ছেমতো ওষুধ না খেয়ে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন মাথায় রাখুন, জ্বর বা কাঁপুনি ৩ দিনেও না সারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে, করতে হবে রক্ত পরীক্ষা কথায় বলে, ওষুধের চেয়ে পথ্য বড়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি পুজোর আগে ঠান্ডা যাতে না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। পথ্য হিসেবে চিকেন স্যুপ, আনারস, কাগজী লেবু সহ অন্যান্য ফল, শাক সবজি, ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার, টক দই, আদা খুব উপকারী। খেতে পারেন ক্বাথ,নিতে পারেন ভাপও যদি এতেও জ্বর কন্ট্রোলে না এলে, ফের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। জানিয়ে রাখি, এই ধরণের জ্বরে রোগীর বা তার পরিবারের সদস্যদের একটা কমন প্রশ্ন, এই সময় কী রোগীকে স্নান করানো উচিত?
চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বর হোক বা অন্য কোনো রোগ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা খুবই জরুরী। এটা সমস্ত ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে। তাই জ্বর হলে হালকা গরম জলে কাপড় ভিজিয়ে সাবান দিয়ে শরীর পরিষ্কার করতে হবে। এতে শরীর যেমন ফ্রেশ আর হালকা লাগে তেমনি মনও ভালো থাকে ভালো ফিলিং আসে ভেতর থেকে আসে, যা আপনাকে ভালো বোধ করার পাশাপাশি রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। তবে, ৩ দিনই থাকছে এমন নয়। এই জ্বর কাউকে ৫, আবার কাউকে ৭ দিনও ভোগাচ্ছে। সমস্যাটা মূলত আবহাওয়ায়। এই বৃষ্টি তো এই কাঠফাটা রোদ। প্রকৃতির এই অদ্ভুত আচরণের এফেক্ট পড়ে আমাদের শরীরে। আবহাওয়ার কারণে সক্রিয় হয়ে ওঠে বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাস। দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন মানুষকে অ্যাটাক করে। ফলে ঘরে ঘরে এই সময় দেখা যায় ভাইরাল ফিভার সঙ্গে সর্দি কাশি। তবে সচেতন থাকলে ভয় নেই। বেশি করে জল খান। মুড়ি মুড়কির মতো প্যারাসিটামল খাবেন না। ফ্রিজের ঠান্ডা জল যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন। সুস্থ থাকুন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম