।। প্রথম কলকাতা ।।
জো বাইডেন মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরতে পারেন? সেটাও কী বাংলাদেশের নির্বাচনের আগে? জি২০ থেকে ফিরে বাইডেন বড় সমস্যায়। বাইডেন কত বড় দুর্নীতির সঙ্গে যু্ক্ত? কী অভিযোগ উঠে আসছে? মাথার ওপর বিপদ মেঘ কীভাবে টলাবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট?ভ্লাদিমীর পুতিনের কথাটা মিলে যাচ্ছে অক্ষরে অক্ষরে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন কত বড় সমস্যায় পড়তে চলেছেন। কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে কী কেউটে বেরিয়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে। বাইডেন নিজের দেশে রাজনৈতিক অশান্তির মধ্যে পড়ে গেলেন। এক্ষেত্রে তাঁকে বাঁচানোর ক্ষমতা কারোর নেই। অনেকেই বলছেন অভিযোগ প্রমাণ হলে হয়ত মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকেই সরে দাঁড়াতে হবে জো বাইডেনকে।
সেটা কী বাংলাদেশের নির্বাচনের আগেই হতে পারে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে
এবার ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু করবে তাঁর দেশ। বাইডেনের বিরুদ্ধে এই তদন্ত করবে ইউএস হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভ বা মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ। কি এই ইমপিচমেন্ট তদন্ত? এমন কোন গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে বাইডেনের বিরুদ্ধে? রিপাবলিকান কেভিন ম্যাকার্থি জানিয়েছেন বাইডেনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। মূলত এই অভিযোগগুলি নিয়েই প্রাথমিক তদন্ত শুরু হবে। তবে এক্ষেত্রে বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের কার্যকলাপ কার্যত ডুবিয়ে দিতে পারে বাইডেনকে এমনটাই বলছেন কূটনৈতিক মহল।
ইমপিচমেন্ট তদন্তের বাংলা মানে অভিশংসন তদন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসনের ঘটনা বিরল। এর মাধ্যমে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতায় ভারসাম্য রক্ষা করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে বলা আছে বেশ কিছু অপরাধের জন্যে প্রেসিডেন্টকেও তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া অর্থাৎ তাকে ইমপিচ করা যেতে পারে। এসব অপরাধের মধ্যে রয়েছে “রাষ্ট্রদ্রোহিতা, ঘুষ নেওয়া অথবা অন্য কোন বড় ধরনের কিম্বা লঘু অপরাধ। এবার এক্ষেত্রে শুধু জো বাইডেন নন রিপাবলিকানরা বাইডেনের ছেলে হান্টার বাইডেনের ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয়েও নজর রেখেছেন। মার্কিন কংগ্রেসের দফতর ক্যাপিটল হিলে দেওয়া এক বিবৃতিতে ম্যাকার্থি বলেন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের কার্যকলাপ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে।অভিযোগগুলি দুর্নীতির দিকেই ইঙ্গিত করে। একবার যদি দুর্নীতি প্রমাণ হয়ে যায় তাহলে কী সত্যি প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা থেকে সরতে হবে বাইডেনকে?
এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে হোয়াইট হাউস থেকে। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ইয়ান সামসের দাবি প্রতিনিধি পরিষদের রিপাবলিকানরা ৯ মাস ধরে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আসছেন। কিন্তু তাঁরা প্রেসিডেন্টের অন্যায়ের কোনো প্রমাণ পাননি। ১৯৯৮ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের বিরুদ্ধেইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্যে ভোট পড়েছিল প্রতিনিধি পরিষদে। ১৮৬৮ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট এন্ড্রু জনসনের বিরুদ্ধেও ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। ইমপিচমেন্টের অর্থ এটা নয় যে এর প্রক্রিয়া শুরু হলেই প্রেসিডেন্টকে তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। এবার বাইডেনের ভাগ্যে ঠিক কী রয়েছে সেটাই দেখার৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম