।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতে জলের দরে বিক্রি হচ্ছে শাকসবজি- জীনিসপত্র? কী করছে বাংলাদেশ? লাফিয়ে কমছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। খাবারের দামে লুকিয়ে কোন রহস্য? শহরকে পেছনে ফেললো গ্রাম, দেশবাসীর আচ্ছে দিন। বড় সুখবর সেপ্টেম্বরে। ক্রেতার পকেটে চাপ কমাতে মিরাকেল ঘটলো মোদী সরকার। প্রতিবেশী বাংলাদেশে যখন সব জিনিসপত্রের দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন ভারতের ছবিটা একেবারেই উল্টো। মধ্যবিত্ত -নিম্ন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে সমস্ত শ্রেণীর মানুষ যেন হাতে চাঁদ পেল। অনেকটাই স্বস্তি। টমেটো-সহ বিভিন্ন সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। কমছে সবজির দাম। দেশে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার আরও নামলো। জুলাইয়ের থেকে আগস্টে আরও কম, পৌঁছেছে ৬.৮৩ শতাংশে।
কিন্তু এখনও তা রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার বেঁধে দেওয়া টার্গেটের থেকে অনেকটাই বেশি। আরবিআইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ থেকে ৬ শতাংশ কিন্তু কোন টোটকায় কোন মন্ত্রে এই কামাল করলো ভারত? ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিকাল অফিসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কমে যাওয়ার কারণেই আগস্টে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে। তবে সেপ্টেম্বর নিয়ে আগস্ট এর থেকেও বেশি আশার আলো দেখছে আরবিআই। সেপ্টেম্বরে আরও কমতে পারে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। তাহলে জীনিসপত্রের দাম আরো কমার চান্স থাকছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কম মানে বিভিন্ন জিনিস সস্তায় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির রেট কম। সাধারণ ভাবে দেখা যায় মুদ্রাস্ফীতি চড়া থাকলে আরবিআই মুদ্রস্ফীতিতে লাগাম টানতে রেপো রেট বৃদ্ধি করতে থাকে আরবইআই। ফলে হোম লোন, কার লোন, পার্সোনাল লোন মহার্ঘ হয়ে ওঠে। তাতে লোনের ইএমআই-ও বাড়ে। অর্থাৎ মুদ্রাস্ফীতি বাড়লে একদিকে আমজনতার পকেটে যেমন চাপ পড়ে। তেমনই মুদ্রাস্ফীতি সঠিক থাকলে মূল্যবৃদ্ধিও নাগালের মধ্যে থাকে। বা জিনিসপত্রের দাম থাকে নিয়ন্ত্রণে।
আগামীদিনে ডাল, তেলের দামের উপর কড়া নজর রাখতে হবে। তাছাড়া দুধ, ফলের দাম ও চড়াই থাকবে বলে আশঙ্কা কিন্তু, এই পুরো পরিস্থিতিকে যদি গত বছরের একই সময়ের সঙ্গে তুলনা করা হয়, সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এক বছরের ব্যবধানে খুচরো মুদ্রাস্ফীতিতে আকাশ-পাতালের পার্থক্য। মূলত রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরেই ২০২২ সালে ভারতেও মুদ্রাস্ফীতি উঠেছিল উপরের দিকে। দেশে বিভিন্ন খাদ্য দ্রব্যের দাম ছিল চড়া। হাত দেওয়া যাচ্ছিলনা। কারণ তেল-সহ একাধিক জিনিস ভারতে আমদানি হত রাশিয়া ও ইউক্রেন থেকে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই পরিস্থিতিতে কিছুটা হলেও বদল এসেছে। জিনিসপত্রের দাম একটু একটু করে কমতে শুরু করেছে।
এদিকে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গ্রাম পিছনে ফেলেছে শহরকে। শহরাঞ্চলে যেখানে হার ৬.৫৯ শতাংশ, সেখানে গ্রামাঞ্চলে তা ৭.০২ শতাংশ। যা নিঃসন্দেহে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ আর আর্থিক বিশেষজ্ঞদের কাছে স্বস্তিদায়ক। আর জীনিসপত্রের দাম নাগালের মধ্যে থাকলে স্বস্তিতে থাকবে ভারতের সাধারণ মানুষও।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম