।। প্রথম কলকাতা ।।
Irritable mood cure : কখনও কোনও পরিস্থিতিতে যদি আপনার সাথে অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটে তবে সে ক্ষেত্রে রাগ দুঃখ কষ্ট এই সমস্ত অনুভূতিগুলি আসা একেবারেই স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু আপনার এই অনুভূতি গুলি যদি অনিয়ন্ত্রিত পর্যায়ে চলে যায় তবে কিন্তু সেটা ক্রমশ শারীরিক বা মানসিক সমস্যার চিহ্ন হতে পারে। ছোটখাটো বিষয়ে মেজাজ হারিয়ে ফেলা, অল্পতে অধৈর্য হয়ে পড়া, বিরক্তির কোন কারণ নেই, তবুও যে কোন কথাতেই বিরক্ত অনুভব করা। অথচ আপনি আগে এমন ছিলেনই না।
পারিবারিক বা কর্মক্ষেত্রে কোন রকম সমস্যা, যা আপনাকে ভেতর থেকে বারবার চিন্তিত করে তুলছে কিংবা কোন উদ্বেগ-অনিশ্চয়তায় ভুগছেন আপনি। যা আপনার আচরণে বারবার প্রকাশ পাচ্ছে। আর এই হঠাৎ করে মেজাজ হারিয়ে ফেলা, সব সময় খিটখিটে ভাব আপনাকে নিজের পছন্দের মানুষদের থেকেও ক্রমশ দূরে সরিয়ে দিচ্ছে। এইরকম পরিস্থিতিতে নিজেকে আরও একা মনে হয়। মানসিক অবসাদ পর্যন্ত আসতে পারে। সে ক্ষেত্রে এই খিটখিটে মেজাজ সারিয়ে তুলতে গেলে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা খুবই প্রয়োজন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য রইল বেশ কিছু টিপস। যা সাহায্য করবে আপনার আকস্মিক রাগ কিংবা আবেগের বহিঃপ্রকাশকে নিয়ন্ত্রণ করতে।
* সঠিক খাদ্যাভ্যাস: নিজের মেন্টাল হেলথ সুস্থ রাখতে গেলে শরীরকে সঠিক এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য দেওয়া খুবই প্রয়োজন। আর এই ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকরা সবসময়ই পরামর্শ দেন ভিটামিন বি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ার জন্য। আমাদের শরীরের সেরোটোনিন, ডোপামিন, অক্সিটোসিন এই ধরনের হরমোন গুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে ঠিক তেমন খাবার রোজকার ডায়েটে যুক্ত করা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে অবশ্যই পরামর্শ নিন চিকিৎসকদের।
* পর্যাপ্ত ঘুম : অবসাদ কিংবা বিষন্নতার অন্যতম প্রধান কারণ হল অপর্যাপ্ত ঘুম। প্রতিদিন আমাদের কমপক্ষে ৮ ঘণ্টা ঘুমের দরকার। কিন্তু কাজের চাপে কিংবা অন্য কোন কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটলে এমনিতেই শরীরের পাশাপাশি মেজাজেও পরিবর্তন আসে। তাই খিটখিটে মেজাজ দূর করতে গেলে আপনার শরীরকে এবং ব্রেনকে পরিমাণে দিতে হবে রেস্ট.
* এড়িয়ে চলতে শিখুন : সারাদিনে এমন অনেক ঘটনাই ঘটে যেগুলির অংশ আমরা হতে চাই না। যদি সম্ভব হয় সেই ধরনের কোন আলোচনা, সেই ধরনের কোন জায়গা কিংবা নির্দিষ্ট কিছু মানুষ এড়িয়ে চলুন। যারা আপনার খিটখিটে মেজাজকে আরও খারাপ করে দিতে পারে সেই জিনিস বা মানুষদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখুন। সব সময় তা সম্ভব না হলে নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। চোখে দেখে কিংবা কানে শুনেও অপ্রয়োজনীয় আলোচনার অংশ না হওয়াই শ্রেয়।
* দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করুন: অনেক সময় কোন ঘটনার আঘাতে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার দেখা যায়। সে ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন সেই ঘটনা সম্পর্কে না চিন্তাভাবনা করার। বরং পাঁচ বছর পর আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চাইবেন তা ভাবুন। সেই পথে চালিত হওয়ার জন্য পরিকল্পনা করুন।
* মন ফ্রেশ রাখুন : নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব সর্বপ্রথম আমাদের নিজেরই। যে কাজ আপনাকে খুশি দেয় সেই কাজ করুন। যে মানুষের সঙ্গে কথা বললে আপনার মন হালকা হয় তাদের সাথে কথা বলুন। কখনও মনে হলে একাই বেরিয়ে পড়ুন ঘুরে আসার জন্য। নিজেকে সময় দিন। নিজের ভালোলাগা এবং মন্দলাগা গুলি সম্পর্কে আরও ভালো করে জানুন।
* বাগান পরিচর্যা করুন: এই বিষয়টি প্রমাণিত যে, গাছপালা দেখাশোনা করা কিংবা বাগান পরিচর্যা করলে মানসিক শান্তি আসে । অনেক ক্ষেত্রে চিকিৎসকরাও বাড়িতে ছোটখাটো রঙবেরঙের ফুলের গাছ কিংবা ফলের গাছ লাগানোর পরামর্শ দেন। নিজের মেজাজ ঠিক রাখার জন্য প্রকৃতি কিন্তু দারুণ ওষুধ। প্রাকৃতিক জিনিসকে যত কাছে টেনে নিতে পারবেন তত আপনার হতাশা উদ্বেগ অনিশ্চয়তা দূরে সরে যেতে থাকবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম