।। প্রথম কলকাতা ।।
জি২০-র উপচে পড়া সাক্সেস, মোদী-কৌশলে ধরাশায়ী চীন। বিআরআই থেকে হাত তুলে নিতে চাইছে ইতালি, শি এর স্বপ্নভঙ্গ রোখে কার সাধ্য? ভারত ইউরোপ ইকোনমিক্যাল করিডর বলে বলে ব্যাকফুটে ফেলে দিল বেজিং কে। আগেই সতর্ক করেছিল ভারত, এখন পস্তাচ্ছে ইতালি। জি২০-র মাঝেই নিল বড় সিদ্ধান্ত। প্রেস্টিজ ফাইট চীনের। জি ২০-র মঞ্চেই মুখ পুড়লো চীনের। পর্দা ফাঁস।শি’এর বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের চক্করে পড়ে, বোকা বনে গেছে ইতালি। মুনাফা লুটেছে বেইজিং। তাই সুযোগ পেতেই বেঁকে বসলো দেশটা। দিল্লিতে জি ২০-র মাঝেই ইতালির প্রধানমন্ত্রী চীনা প্রধানমন্ত্রীকে স্ট্রেটকাট জানিয়ে দিলেন, BRI চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার প্ল্যান করছেন তাঁরা বড় সিদ্ধান্ত, জোর ধাক্কা খেল চীন। তাহলে কি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইতালির সম্পর্ককে নতুন খাতে বইয়ে নিয়ে যেতেই এই উদ্যোগ?
বুঝতে হবে, এই জি২০-র মঞ্চেই কিন্তু রেল-শিপিং করিডরে জুড়ে গেছে মধ্য প্রাচ্য, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ। অনেকেই এই নতুন করিডর কে চীনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ এর বিকল্প বলতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে চীনকে টেক্কা দিতে এটা ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা চাল। তাহলে কী এই করিডরেই মজলো ইতালি? চার বছর আগে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ মানে BRI প্রকল্পে যোগ দেওয়া বড় ভুল ছিল ইতালির। সেটা এখন রিয়েলাইজ করেছে দেশটা।
ওটা ছিল একটা “তাৎক্ষণিক-বিধ্বংসী এবং দুর্ভাগ্যজনক সিদ্ধান্ত” সাফ জানিয়েছে ইতালি যে প্রকল্পে ইতালিতে চিনের রপ্তানি বহুগুণ বাড়লেও, চীন ব্যবসায় লাভবান হলেও ইতালির বিন্দুবিসর্গ লাভ হয়নি। সবথেকে ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর হলো ইতালি এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করা প্রধান পশ্চিমি দেশ ছিল। কিন্তু, এখন দেশবাসীর স্বার্থের কথা ভেবে BRI থেকে বেরোতে চাইছে ইতালি। তবে, সেটাও সেফ ওয়ে তে। চীন ইতালির প্রতিযোগী হলেও পার্টনার। আর তাই তাদের সঙ্গে সম্পর্ক অব্যাহত রাখা হবে, অর্থাৎ চীনের সাথে সম্পর্কের ক্ষতি না করে কিভাবে BRI প্রকল্প থেকে সরে আসা যায় সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে ইতালি। যদিও, পুরো বিষয়টাই বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে। কিছুই ফাইনাল হয়নি।
চীন চাইছে না বিআরআই ডিল ভেঙে বেরিয়ে যাক ইতালি। চিনা প্রিমিয়ার ইতালির প্রধানমন্ত্রী কে ওই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার পরামর্শ দিয়েছেন। তবে, দেও সে সুরক্ষা হবে কিনা সেটা বলা কঠিন। জানিয়ে রাখি এই BRI প্রকল্প চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের একটা এমন প্ল্যান যার মাধ্যমে চীনকে এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকার সঙ্গে বাণিজ্যের জন্য যুক্ত করতে চান, যাকে নতুন সিল্ক রুটও বলা হচ্ছে। এই প্রকল্পে বৃহৎ পরিকাঠামো নির্মাণে চীন বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে। স্ট্র্যাটেজিক ওয়েতে ভারতকে ‘ঘিরে ফেলতে’ বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ বেজিংয়ের জন্য অত্যন্ত ইম্পরট্যান্ট তবে এবার ওই প্রকল্পের পালটা প্রকল্পের চুক্তিতে আবদ্ধ হলো ভারত।তবে সমালোচকরা বলছেন, চিন তার ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বাড়ানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে এই বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পকে। কিন্তু চীন এর মতো ফাঁদ পাতেনি নয়াদিল্লি।
হ্যাঁ অনেক আগেই ভারত চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ সহায়তাকে ‘ঋণের ফাঁদ’ বলে দেগে দিয়েছিল। চীনের থেকে ঋণ নেওয়ার বিষয়ে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের সদস্য দেশগুলোকে সতর্ক করেছিল। আর, ভারতের কথা না শোনায় এখন পস্তাতে হচ্ছে ইতালি সহ আরও অনেক দেশকেই। তাই ইতালির মতো দেশগুলো এখন শি এর এই ‘ড্রিম প্রোজেক্ট’ থেকে ক্যুইট করাতেই বেশি ফোকাস করছেন আর তাতেই ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের পাল্লা ভারী হচ্ছে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম