।। প্রথম কলকাতা ।।
Kar Kache Koi Moner Kotha: একটা সময় তিনি এই বাড়ি নতুন বৌমা হয়ে এসেছিলেন তখন কিন্তু তার পাশে কেউ দাঁড়ান নি। মনের ভিতরে একটা রাগ কখন যে প্রতিশোধে বদলে গেছে তা এতগুলো বছরে বোঝা যায়নি। ছেলের জীবনে যখন এক নতুন নারী প্রবেশ তখন পুরনো প্রতিশোধ জেগে ওঠে অচিরে। হয়তো ভাবনা চিন্তা করে নয় কোথাও যেন মাথার ভেতর অশুভ শক্তিরা ভুল চিন্তা ভাবনা নিয়ে দাপাদাপি করছে ভাবছেন কার বাড়ির কথা বলছি না, কারো বাড়ির গল্প নয় এটা শিমুলের শাশুড়ির কথা বলা হচ্ছে। বাংলা টেলিভিশনের পর্দায় এই মুহূর্তে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক কার কাছে কই মনের কথা। এই ধারাবাহিকটি দর্শকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। যদিও দাপুটে সব অভিনেত্রীদের ভিড়ে এই ধারাবাহিকটির জনপ্রিয় হওয়ারই কথা।
মানালি এখানে সাধারণ ঘরের মেয়ে হলেও অন্যায় সহ্য করতে পারে না, মুখের উপর সত্যিটাই বলে। আবার অনেক সময় তাকে মুখ বুজে অনেক কিছু সহ্য করতে হয় তবে কার কাছে কই মনের কথায় এবার শাশুড়িকে ঘুরতে যেতে পারবে? কে টাকা দেবে? শাশুড়ির হাতে টাকা না থাকার ফলে বেড়াতে যাওয়া ক্যান্সেল হবে? কি হবে সেদিকেই চোখ রয়েছে দর্শকদের। আমাদের কাছে অনেক দর্শককে জানতে চেয়েছিলেন আদৌ শিমুলের শাশুড়ির বেড়াতে যাওয়া হবে কিনা আজই জানাব আপনাদের এই প্রতিবেদন। আচ্ছা শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক মানেই আদায় কাঁচকলায়? তারা কি ভালো বন্ধু হতে পারে না। অনেক সিরিয়ালেই দেখা যাচ্ছে বৌমার পাশে দাঁড়াচ্ছেন শাশুড়ি রা। এবার হয়তো দেখা যাবে শাশুড়ি যতই বাজে ব্যবহার করুক না কেন শিমুলের সাথে শিমুল তার শাশুড়ির পাশে দাঁড়াবে। তার দুঃখ যন্ত্রণা বুঝতে পারবে।
এই ধারাবাহিকে প্রথম থেকেই দেখানো হচ্ছে সদ্য বিবাহিতা এক নারীকে শ্বশুরবাড়িতে এসে বিভিন্ন ধরনের অত্যাচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। সেটা মানসিক এবং শারীরিক দুই রকমেরই। তবে সদ্য বিবাহিত শিমুলের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে তার পাড়ার প্রতিবেশী বন্ধুরা। তারা শিমুলের প্রত্যেকটা পদক্ষেপে তার পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছে। বিয়ের পর ছেলেরা যদি একটু বদলে যায় তখনই শাশুড়িরা ভেবে নেয় ছেলের বউ উসকছে তাই এরকম করছে। এই ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে কিন্তু বারবার একই ঘটনা ঘটেছে।শিমুলের শাশুড়ি কিছুতেই শিমুলকে বুঝতে চাইছেন না। এবার কি বুঝবেন?শিমুলের শাশুড়ি যে ছেলের বউকে বুঝবেন এমনটা মনে করা যেতেই পারে। কারন গর্ব করে মানালির শাশুড়ি বলেছিলেন তার দুই সুপুত্র পরাগ এবং পলাশ নাকি ঘুরতে যাওয়ার টাকা তাকে দিয়ে দেবে। কিন্তু এবার সেই টাকা দেওয়া নিয়েই বেঁধেছে ঝামেলা। শিমুলের শাশুড়ি দুই ছেলেকে বলেন, পাড়ার সকলে মিলে কাশি বেড়াতে যাচ্ছে। সেখান থেকে মথুরা আর তারপর বৃন্দাবন। তিনিও তাদের সঙ্গে যেতে চান।
এতদিন সংসারের পিছনে খাটতে খাটতে তিনি কোথাও যাননি। নিজের জন্য কখনও তিনি দু’পয়সা খরচা করেননি। আর আজ তার শখ হয়েছে বেড়াতে যাওয়ার। কিন্তু দুই ছেলে মায়ের মুখের উপর বলে দেয় তারা কেউ এক টাকাও দিতে পারবেনা। ব্যাস তখনই ছেলেদের ব্যবহারে মন ভেঙে যায় তাদের মায়ের। তবে শাশুড়িকে কাশি পাঠানোর জন্য নিজের গয়না পর্যন্ত বন্দক রেখে টাকা জোগাড় করার চেষ্টা করছে শিমুল। বিপাশার সঙ্গে গয়নার দোকানে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে সে। এবার কি তবে শিমুলের কুটনি শাশুড়ি ভালোবাসবে শিমুলকে? সেটা জানার জন্য আপনাদের চোখ রাখতে হবে কার কাছে কই মনের কথার প্রতিটা এপিসোডে। তবে সকলেই চাইছেন মানালির শাশুড়ি একটা ভালো মানুষের উঠুক ভালো বন্ধু হয়ে তার পাশে দাঁড়াক।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম