।। প্রথম কলকাতা ।।
ইসরো চিফ এস সোমনাথ, সাধারণ কেউ নন। চন্দ্রযান ৩-এর পর আদিত্য-এল ১। মোক্ষম মুহূর্তে কেন চোখ বুজে বিড়বিড় করেন ISRO চিফ? কেন দুটো উৎক্ষেপণই তিনি ‘দেখেন নি’? ‘মাস্টারমাইন্ড’ এস সোমনাথ এর আরেকটা দিক কেউ জানেননা। ঠিক এই টোটকা – এই মন্ত্রেই তিনি দেশজুড়ে সমাদৃত। ইন্ডিগো বিমানে কি হয়েছিল জানেন? এই বিমান সেবিকাকে চেনেন? ভাইরাল হওয়া, গায়ে কাঁটা দেওয়া এই দৃশ্য দেখলে বুঝবেন। কীসের জোরে এস সোমনাথ এতোটা পপ্যুলার।
মহাকাশ গবেষণায় ইসরোর যুগান্তকারী সাফল্যে গর্বিত গোটা দেশ। কুর্নিশ জানাচ্ছে দুনিয়া। নেপথ্যে ভারতের বিজ্ঞানীরা। আর অবশ্যই এই মানুষটা মেধাবী দলটির নেতৃত্বে ছিলেন ইসরো চিফ এস সোমনাথ। চন্দ্রযান ৩-এর পর আদিত্য-এল ১। জানেন? পর পর সাফল্য কিভাবে ধরা দিচ্ছে এস সোমনাথের কাছে? রহস্যের জট কাটলো এবার। চন্দ্রযান ৩ হোক বা সৌরযান ‘আদিত্য এল ১’ দুই ক্ষেত্রেই উৎক্ষেপণের সময় চোখ বন্ধ করতে দেখা গিয়েছে ISRO চিফ এস সোমনাথকে। উৎক্ষেপণ ‘দেখেননি’ তিনি? স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছে কৌতুহল আসলে, চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে ঈশ্বর বিশ্বাসী এস সোমনাথকে। যাতে মিশনগুলো সফল হয়, সেই জন্য প্রার্থনা করেন তিনি। বিজ্ঞানী হয়েও ঈশ্বরে বিশ্বাসী? হ্যাঁ যে কোনও মিশনের আগে পুজো দেন সোমনাথ।
শুধু তাই নয়, এলভিএম রকেটে চড়ে যে সময় মহাকাশে পাড়ি দিচ্ছিল চন্দ্রযান ৩, সেই সন্ধিক্ষণেও চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করছিলেন সোমনাথ। সেই মিশন ‘সুপারহিট’। আর এবার আদিত্য এল ১। মিশন সৌরযান শুরুর আগেও পুজো দিয়েছিলেন সোমনাথ। এবার উৎক্ষেপণের আগেও একইভাবে চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করতে দেখা গেল এস সোমনাথকে। তিনি ঈশ্বর বিশ্বাসী। এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন “আমি নিজে একজন বিজ্ঞানী। কিন্তু, অন্তরাত্মাকে শান্ত করতে আমি মন্দিরে গিয়ে থাকি। আমি মনে প্রাণে ঈশ্বর কে মানি” তাঁর আরও সংযোজন, “আমি বিজ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতা দুই বিষয়টিকেই সমানভাবে প্রাধান্য দিয়ে থাকি। আমি বহু মন্দিরে যাই। সেখানে পুজো দিই। এই পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের শুরু কী ভাবে তা বোঝার চেষ্টা করি। আমি বিজ্ঞানী এবং ভেতর থেকে ঈশ্বর বিশ্বাসী”।
তাহলে, এস সোমনাথের প্রতিটা মিশনের সাফল্যের নেপথ্যে ঈশ্বরভক্তি অন্যতম বড় কারণ? প্রশ্ন উঠছে। মানুষের জানার আগ্রহ বাড়ছে। তাহলে কী কোথাও গিয়ে আধ্যাত্মিকতার সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধন ঘটছে? সেই বিতর্ক থাক। কিন্তু অস্বীকার করা যাবে না চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে চন্দ্রযান ৩ এর সফট ল্যান্ডিং। যে সাফল্যের রেশ ভারতের অলিগলি থেকে রাজপথে ছড়িয়ে। আরও বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন ইসরো চিফ এস সোমনাথ। তাঁকে নিয়ে চারিদিকে ধন্য ধন্য চলছে। যেমন এরমধ্যেই একটা ঘটনা ঘটে গেছে। বিমানে সফর করছিলেন ইসরো চিফ এস সোমনাথ। ইন্ডিগোর এক বিমানে এস সোমনাথ ও তাঁর টিমকে অভিন্দন জানানো হয়। বিমানসেবিকা বলেন, আপনাকে উড়ানে পেয়ে আমরা গর্বিত হাততালিতে সাদর অভ্যর্থনাও জানানো হয়েছে। যে ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল। অনাবিল ভালবাসা, শ্রদ্ধা। হ্যাঁ, ইনিই দেশের প্রথম সারির রকেটবিজ্ঞানী এস সোমনাথ। যে মানুষটি বিজ্ঞানের পাশাপাশি ঈশ্বরেও বিশ্বাস করেন সমানভাবে। ভাবা যায়?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম