।। প্রথম কলকাতা ।।
Load shedding in Bengal: রাজ্যজুড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হচ্ছেটা কি, কেউ বুঝে উঠতে পারছেন না। কেন এমন হচ্ছে, মুখে মুখে ঘুরছে এক কথা। পুজোর মুখে দফায় দফায় লোডশেডিং। বিপর্যস্ত বিভিন্ন জেলার বিস্তৃর্ণ অংশের জনজীবন। প্রবল গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা সাধারণ মানুষের। গলদঘর্ম হয়ে বিদ্যুতের জন্য হা পিত্যেশ করছেন সকলে। বিদ্যুতের অভাবে দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সমস্যাও। চলছে না পাখাও একাধিক জায়গায় পাওয়ারকাটের জেরে নাকাল সাধারণ মানুষ।কলকাতা থেকে জেলা গ্রাম থেকে শহর শহরতলী সর্বত্র প্রায় এক অবস্থা। কেন এমন হচ্ছে? কবেই বা এই সমস্যার সমাধান হবে। লাগাতার লোডশেডিং এর জন্য বিপাকে পড়ছেন সব ধরনের মানুষ। এক এক জায়গায় ছয় ঘন্টা সাত ঘন্টা করে বিদ্যুৎ থাকছে না।
মাস কয়েক আগে প্রখর গরমেও এমন লোডশেডিং ছিল না। তখন বিদ্যুতের নজিরবিহীন চাহিদার জোগান দিয়ে বাহবা পেয়েছিল রাজ্য। কিন্তু গত দু’দিনে গরম ফের বাড়তেই বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল গ্রাহকরা। বহু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা ব্যাহত থাকছে। অনেক গ্রামীণ এলাকায় সারা রাত বিদ্যুত ছিল না। হাওড়া, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বর্ধমান-দুর্গাপুর, বীরভুম, শিলিগুড়ি, উত্তর-দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, মালদহ সর্বত্র দু’দিন ধরে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে নাজেহাল মানুষ। এই অবস্হা কি চলতেই থাকবে? বিদ্যুৎ দফতরের SMS আসছে গ্রাহকদের মোবাইলে। সেখানে লেখা হয়েছে প্রাক পুজোর আগে মেন্টেনেন্সের কারণে দিনে ও রাতে বন্ধ থাকবে বিদ্যুৎ সরবরাহ। পুজোর সময় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়াই বিদ্যুৎ দফতরের লক্ষ্য। সেই উদ্দেশ্যেই এই কাজ চলছে।
যদিও শুধু এই কারণকে মানতে চাইছেন না অনেকে।বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, যোগানের ঘাটতির জন্য এই পাওয়ার কাট হয়েছে। তার সঙ্গে রয়েছে মেন্টেনেন্সের কাজ। কয়লার জোগানে ঘাটতি ছিল। তার ওপর বণ্টন সংস্থার থেকে প্রাপ্য বকেয়া পুরো না মেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের উৎপাদনে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। আর্থিক সঙ্কটে এক্সচেঞ্জ থেকে বেশি বিদ্যুৎ কিনতে পারেনি বণ্টন সংস্থাও। বিদ্যুৎ উৎপাদনে নিজস্ব কয়লার জোগানের পাশাপাশি নিগমের ভরসা কোল ইন্ডিয়াও। তবে কয়লা কিনে দ্রুত তাদের দাম মেটাতে হয়।নিগমের থেকে বিদ্যুৎ কিনে সময় মতো টাকা মেটাতে পারেনি বণ্টন সংস্থা। ফলে এক সময়ে ঘাটতি প্রায় ১০০০ মেগাওয়াটের কাছে পৌঁছয়।
ঘাটতি বা কয়লার জোগানের সমস্যা মানতে নারাজ নিগম। তাদের দাবি, প্রাক্-পুজো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সাগরদিঘি ও বক্রেশ্বরের ৫১০ মেগাওয়াট করে দুটি ইউনিট বন্ধ রয়েছে। রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে এসির সংখ্যা। ঘরে ঘরে বাড়ছে নানান বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। গরমে একসঙ্গে বিদ্যুতের প্রবল চাহিদা তৈরি হচ্ছে। তা সামাল দিতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে বিদ্যুত দফতরকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম