।। প্রথম কলকাতা ।।
Sheikh Hasina: নির্বাচনের আগেই ভারতে আসছেন শেখ হাসিনা। বৈঠক হতে পারে নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে। আলোচনা হবে একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়ে। মার্কিনী কোনঠাসাতে কি ভারতকে পাশে পাবেন? নির্বাচনের আগে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক আলোচনা কিন্তু ভীষণ ভাইটাল। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে এভাবেই ঘুঁটি পাকা করছে বাংলাদেশ। পোক্ত করছে নিজেদের মাটি। সমাধান হবে কি তিস্তা চুক্তির? তাকিয়ে গোটা বাংলাদেশ।
সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা। যেখানে উপস্থিত থাকবেন অন্যান্য রাষ্ট্র নেতারা। জো বাইডেন, শি জিনপিং, জাস্টিন ট্রুডো থেকে শুরু করে ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোঁ। সেখানে আন্তর্জাতিক স্তরের খুঁটিনাটি বিষয় সহ আলোচনা হবে ভূরাজনৈতিক কৌশল নিয়ে। কয়েকদিন আগেই ব্রিকসে বাংলাদেশ নাম লেখাতে না পারলেও, সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন শেখ হাসিনা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এভাবেই আন্তর্জাতিক ময়দানে নিজেদের ঘুঁটি পাকা করছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার ছোট্ট একটা দেশ হলেও বিশ্বরাজনীতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রচুর।
জি টোয়েন্টি সম্মেলনে দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে একটা দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে। ব্রিকস সম্মেলনেও নরেন্দ্র মোদী এবং শেখ হাসিনা মুখোমুখি হয়েছিলেন, কিন্তু কোন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। একটু খেয়াল করে দেখুন, গত বছরের সেপ্টেম্বরেও কিন্তু শেখ হাসিনা চার দিনের ভারত সফরে এসেছিলেন। বাংলাদেশের লাভ হয়েছিল প্রচুর। বড় প্রাপ্তি ছিল, ভারতের ভূমি ব্যবহার। যার মাধ্যমে তৃতীয় কোন দেশে পণ্য রপ্তানি করছে দেশটা। একেবারে বিনা শুল্কে। বিশেষ করে নেপাল আর ভুটানে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কমেছে জটিলতা। শুধু তাই নয়, ভারতের বন্দর হয়ে বাংলাদেশের পণ্য পৌঁছে যাচ্ছে ইউরোপ আর আমেরিকার বন্দরে। তখন দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষর হয় প্রায় সাতটি সমঝোতায়, কিন্তু ঝুলে যায় তিস্তা চুক্তি। তার কোন সমাধান হয়নি। শেখ হাসিনার সম্প্রতি ভারত সফর নিয়ে আশায় দিন গুনছে বাংলাদেশের মানুষ। তাহলে কি তিস্তা চুক্তির কোন সুরাহা হবে? যদিও উত্তরটা এখনই বলা যাচ্ছে না।
আরেকটা ব্যাপার, সামনেই কিন্তু দেশটার দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি ঘোষণার পরেই কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ। জাতীয় নির্বাচনের আগে এটাই হবে শেখ হাসিনার শেষ ভারত সফর। প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি ক্ষমতা ধরে রাখতেই তাঁর এই সফর? মার্কিন ভিসা নীতি থেকে শুরু করে ইউরোপীয় দেশগুলোর কাছ থেকে নানান চাপে আছে দেশটা। চীন পাশে দাঁড়ালেও ভারত আছে নিরপেক্ষ অবস্থানে। বাংলাদেশের নির্বাচন ঠিক করবে দেশটার জনগণ, স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। অথচ দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের কৌশলগত বন্ধু যুক্তরাষ্ট্র। তাই এই মুহূর্তে কিছুটা ভারতকেও হাতে রাখতে চাইছে বাংলাদেশ। এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞেরা।
রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ বাদ দিলে, হাসিনার ভারত সফর নতুন সম্ভাবনা খুলে দিতে পারে বাংলাদেশের কাছে। চালু হবে একগুচ্ছ প্রকল্প। উদ্বোধন হতে পারে মৈত্রী সুপারপাওয়ার থার্মাল প্ল্যান্ট টু, খুলনা-মংলা বন্দর রেলওয়ে লিংক, এবং আখাউড়া থেকে ভারতের আগরতলা পর্যন্ত রেলওয়ে লিংক। পাশাপাশি খুব শীঘ্রই চালু হতে পারে দুই দেশের মধ্যে টাকা আর রুপি কার্ড। উপকার পাবে দুই দেশের সাধারণ মানুষ।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম