।। প্রথম কলকাতা ।।
এনার বয়স নাকি ৬৪ বছর এটাও মানতে হবে টানটান ত্বক তুলতুলে শরীর গ্ল্যামারই তো আলাদা শরীর এখনও আগের মতোই মেদহীন কিভাবে? কোন হাতিঘোড়া ব্যাপার একটু খাটলে আপনিও হতে পারেন এমনই। সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকার যৌবনের আসল সিক্রেটটা কি? জানতে পারলে লাভ আপনারই। নন ভেজ কী একেবারে খান না বিজলানি? অনলি ভেজ ডায়েট নাকি এটা আসলে শরীর চর্চার কামাল? আপনার বয়স যদি ৩০ পেরিয়ে যায় তাহলে জেনে নিন এটাই আপনার সময়। একেবারেই ভাববেন বয়স হয়ে যাচ্ছে তো এবার কী করব! এবারই তো সময় নিজের এক্সট্রা কেয়ার করার শুধু দুটো জিনিস এক যোগ বা যে কোনও ধরণের এক্সারসাইজ দুই একটা হেলথি ডায়েট তাহলে কেল্লাফতে।
সঙ্গীতা বিজলানি নিজেই একবার ফাঁস করেছিলেন তার সৌন্দর্যের সিক্রেট বিজলানি জানান রোজ যোগ ব্যায়াম করেন। যোগ শিখেছেন তিনি তার বাবার কাছে। তিনি কখনোই যোগা মিস করেন না। পাশাপাশি করেন ধ্যান। তিনি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন জীবনের বার্ধক্য প্রক্রিয়াকে ধীর করে দিতে পারে একমাত্র ধ্যানই। এবার আসি বিজলানির ডায়েটে। সকালে উঠে কিন্তু একেবারেই চা খান সঙ্গীতা বিজলানি। সকালটা শুরু করেন অ্যালোভেরার সঙ্গে। তিন চার গ্লাস গরম জলের সঙ্গে অ্যালোভেরার পাল্প মিশিয়ে খান। ব্রেকফাস্টে থাকে দুটো ডিমের সাদা অংশ। অ্যাভোকাডো, পাঁচটা ভেজানো কাঠবাদাম আর তরমুজ। দুপুরে লাঞ্চে থাকে রুটি, মুরগির মাংস, সবুজ সবজি, সালাদ আর স্যুপ। মনে রাখবেন এক্ষেত্রে সব খাবারই কিন্তু তেল ছাড়াই প্রায়। কখনো লাঞ্চে থাকে জোয়ার বাজরার রুটি, মসুর ডাল, দই, চিকেন। রাতে থাকে ডিম, সালাদ মূলত তিনি বেশি জোর দেন ফাইবার আর প্রোটিনের দিকে।
এখন আপনি বলতেই পারেন এত দামি ডায়েট তো করা সম্ভব নয়। দরকার নেই আপনি আপনার বাড়ির খাবারই খান। শুধু খেয়াল রাখবেন সেটা যেন স্বাস্থকর ভাবে রান্না করা হয়। তেল কম মশলা কম আর পরিমাণ বেশি নয়। নিজস্ব একটা খামারবাড়ি রয়েছে সঙ্গীতার সেখানে প্রতিদিনই হাঁটাহাঁটি করেন তিনি। এছাড়াও নিয়ম করে এক থেকে দুই ঘন্টা জিমে সময় কাটান। শুনলে অবাক হবেন করোনার সময় ওজন ঠিক রাখতে তিনি টানা ২১দিন তার খাবার থেকে চিনি একেবারেই বাদ দিয়েছিলেন। তার বদলে বেছে নিয়েছিলেন খেজুর মধু আর গুড়। চিনি আর নুনকে যতটা পারবেন দূরে সরিয়ে রাখুন।
এ তো গেল ফিট বডি আর ত্বকের কথা কিন্তু এখনও এমন ঝলমলে চুল কীভাবে সঙ্গীতার? একটি ভিডিওতে তিনি বলেছিলেন তার সুন্দর চুলের রহস্য নারকেল তেল। প্রতিদিন ক্যাস্টর অয়েল আর নারকেল তেল মিশিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ম্যাসাজ করেন কখনো ব্যবহার করেন লেবুর রস। আর ভেজা চুল কখনো আঁচড়ান না তিনি, তাতে চুল ওঠার একটা বড় সম্ভাবনা থাকে৷ খুব কী কঠিন এই রুটিন৷ এভাবে নিজের কেয়ার করলে বুঝতে পারবেন আপনি অনেক বেশি সুস্থ আর ফুরফুরেও থাকছেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম