।। প্রথম কলকাতা ।।
ব্রিকসের শুরুতে মোদীর সঙ্গে অঘটন ভুয়ো খবর কার ইশারা রটানো রয়েছে? বিমান থেকে কেন নামতেই অস্বীকার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী? যা ঘটল তাতে দিল্লি ক্ষুব্ধ এটা প্রমাণিত। ব্রিকস শেষ এখন জি ২০র প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে কিন্তু এবার দক্ষিণ আফ্রিকা এমন কোন ঘটনা ঘটে গেছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকা সংবাদমাধ্যমের দাবি নাড়িয়ে দিয়েছে অনেককেই। সাউথ আফ্রিকা মিডিয়াকে কী বেজিং কোনওভাবে কন্ট্রোল করছিল? শি জিনপিংকে নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিলেন সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা। যার জেরে নাকি নমো ক্ষুব্ধ হন। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সারির সংবাদপত্র ডেইলি ম্যাভেরিক ২৩ অগাস্ট একটি খবর প্রকাশ করে যে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি সিরিল রামাফোসা চীনা প্রেসিডেন্টকে বেশি খাতির করেছিলেন আর নরেন্দ্র মোদীকে স্বাগত জানাতে একজন মন্ত্রীকে পাঠিয়েছিলেন মাত্র ওয়াটারক্লুফ বিমানঘাঁটিতে মি. মোদীকে অভ্যর্থনা জানানোর জন্য রামাফোসার ক্যাবিনেটের একজন সদস্যকে উপস্থিত ছিলেন। এই কারণে দক্ষিণ আফ্রিকায় পৌঁছিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী বিমান থেকে নামতে অস্বীকার করেন।
বিষয়টি যখন বেশ জটিল হয়ে যায়, তখন তড়িঘড়ি ভাইস-প্রেসিডেন্ট পল শিপোক্সা মাশাতিলেকে বিমানবন্দরে পাঠিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন মি. রামাফোসা। সত্যিই কী ঠিক এমনটাই ঘটেছিল নমোর সঙ্গে? নেপথ্যে কী একমাত্র বেজিং? তাহলে ব্রিকসে বাকী বৈঠকের মঞ্চে কেন দুনিয়া তা টের পেল না দিল্লির তরফ থেকে এরপর ঠিক কী প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল? দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র অবশ্য ডেইলি ম্যাভেরিকের প্রতিবেদনটিকে সরাসরি খারিজ করে দিয়ে বলেন যে ওইরকম কোনও পরিস্থিতিই তৈরি হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের দাবি ব্রিকসের সব সদস্য দেশকে আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল যে কে কোন রাষ্ট্রপ্রধানকে স্বাগত জানাবেন। এমনকি এরপরই মুখ খোলে দিল্লি।
ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানিয়ে দেন এটা সম্পূর্ণ ভুল। সত্যি কথা বলতে, এটা কারো বিশুদ্ধ কল্পনার ফল দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারও এই তথ্য ভুল বলে খারিজ করে দিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট বিমানবন্দরে ছিলেন এবং তিনিই প্রধানমন্ত্রী মোদীকে স্বাগত জানান। তাহলে কীসের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভারতকে নিয়েই এমন ফেক নিউজ পাবলিশ করল। দক্ষিণ আফ্রিকা ডেইলি ম্যাভেরিক এই খবর নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ার পরেই ডেইলি ম্যাভেরিক তার সামাজিক মিডিয়া হ্যান্ডেলে দাবি করে ওই প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর থেকে তারা সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। সংবাদপত্রটি একের পর এক টুইট করে জানায় ওই সাইবার হামলার পরে ওয়েবসাইটের সুরক্ষার জন্য ভারতে তারা নিজেদের সাইট ব্লক করতে বাধ্য হয়। তাদের দাবি ভারত থেকে এই হামলা হচ্ছে তবে এটাও জানা গিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার ও দিল্লি এই নিউজ ভুয়ো বললেও তারা এখনও তাদের প্রতিবেদনটিকেই দৃঢ়ভাবে সমর্থন করছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রশ্ন এ ধরনের মিথ্যা প্রচারের পেছনে পত্রিকাটির উদ্দেশ্যটা যে কী সেটাই তরা বুঝতে পারছে না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম