।। প্রথম কলকাতা ।।
Saree In Cheap Rate: বাংলায় এবার চালু হচ্ছে দুয়ারে শাড়ি প্রকল্প! দুয়ারে সরকার ও দুয়ারে রেশনের পর এবার রাজ্যে শুরু হতে চলেছে এই প্রকল্প। এর ফলে পুজোর আগে খুবই সস্তায় শাড়ি কেনার সুযোগ পাবেন রাজ্যের বাসিন্দারা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফে এই শাড়ি বিক্রি করা হবে।এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে উৎসবের মুখে গরীবদের মুখে হাসি ফোটানো।
বাঙালিদের বহুপ্রতিক্ষিত উৎসব দুর্গাপুজোর আর বেশিদিন বাকি নেই। পুজো মানেই কেনাকাটা, পুজো মানেই নতুন পোশাক। কিন্তু এরকম অনেক মানুষ রয়েছেন যাদের পক্ষে প্রতি বছর পুজোয় নতুন পোশাক পরা বা কেনা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সেই সমস্ত দুস্থ মানুষদের কথা ভেবে নতুন কর্মসূচি চালু করার চিন্তাভাবনা নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। যার নাম হলো দুয়ারে শাড়ি প্রকল্প। এই কর্মসূচিতে দুয়ারে শাড়ি বিক্রি করবে রাজ্য সরকার। বাজার দর থেকে তুলনামূলক কম দামে সেখান থেকে শাড়ি কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
মূলত আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষদের কথা ভেবে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। শাড়ি থেকে শুরু করে ধুতি, লুঙ্গি থেকে শুরু করে গামছা সবই পাওয়া যাবে এই প্রকল্পে। এই প্রকল্পে খুবই কম দামে শাড়ি পাওয়া যাবে। মাত্র ৭০ টাকাতেই মিলবে শাড়ি। শাড়ির সর্বোচ্চ দামও খুব একটা বেশি হবে না। এই শাড়ি প্রায় সবাই কিনতে পারবেন। দাম হবে মাত্র ২০০ টাকা। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কম দামে দেওয়া হলেও শাড়ির গুণমান খারাপ হবে না।
দুয়ারে শাড়ি প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদন করার কোনও প্রয়োজন নেই। ‘দুয়ারে শাড়ি’ প্রকল্পকে মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের কর্মীরা ছোট গাড়িতে করে এলাকার পাড়ায়-গলিতে ঘুরবেন। যে সমস্ত ব্যক্তিরা পোশাক কেনার প্রয়োজন মনে করবেন, তাঁরা সেখান থেকেই ন্যূনতম মূল্যে পছন্দসই শাড়ি, ধুতি, লুঙ্গি, গামছা কেনার সুযোগ পাবেন। রাজ্য সরকারের এই প্রকল্প মূলত দরিদ্র পরিবারের কথা মাথায় রেখেই লঞ্চ করা হচ্ছে। দুর্গাপুজোয় যাতে দরিদ্র পরিবারের মানুষও নতুন জামাকাপড় পরে সানন্দে অংশগ্রহণ করতে পারে, সেই জন্যই এই প্রকল্প লঞ্চ করা হয়েছে। তবে ইচ্ছে হলে যে কোনো আর্থিক স্বচ্ছল পরিবারও দুয়ারে শাড়ি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারেন।
রাজ্য সরকারের সপ্তম দুয়ারে সরকার ক্যাম্প শুরু হচ্ছে পয়লা সেপ্টেম্বর থেকে। দুয়ারে শাড়ি প্রকল্প চালু হবে ঠিক এই সময়েই। এই প্রকল্প চালু হবে পূর্ব বর্ধমান জেলা দিয়ে। ভালো সাড়া পেলে ধীরে ধীরে অন্য জেলাতেও চালু করা হবে। তবে সবটাই হবে দুর্গাপুজোর আগে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম