।। প্রথম কলকাতা ।।
পাকিস্তানের দেশভাগ নিয়ে বিস্ফোরক দাবি। চন্দ্রযান ৩ সফলতার পর পাকিস্তান কী একবারও মহাকাশ সফর করেছে? কী বলছে ইনফো ১০০ বছর পিছিয়ে আছি আমরা এ কী কান্ড করছে পাকিস্তানের জনগন। কেন পাকিস্তানের সুপারকো সাসকেস হতে পারল না? চন্দ্রযান ২ ফেল হওয়ার পর সবথেকে বেশি মজার খোরাক পাকিস্তানই উড়িয়েছিল। সেই ইসলামাবাদ এবার কপাল চাপড়াচ্ছে। পাকিস্তান সরকারের তরফ থেকে কী সরাসরি কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল?
পাকিস্তানের জনতা ব্যঙ্গ করে বলছেন ভারত চাঁদে গেছে তো কি হয়েছে আমরাও তো চাঁদেই আছি। চাঁদে তো জল নেই, গ্যাস নেই, বিদ্যুত নেই পাকিস্তানের বহু এলাকাতেও এখন সেরকমই অবস্থা। তাহলে ভারতের দেখাদেখি হিংসে করে কী এবার পাকিস্তানও সুপারকোর উন্নতির জন্য লেগে পড়বে? সবথেকে বড় পয়েন্ট ফাওয়াদ চৌধুরী পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী যিনি চন্দ্রযান ২এর পর ঠাট্টা করেছিলেন ভারতের। এবার সেই ফাওয়াদ চৌধুরীর বড় পাল্টি। পাকিস্তানের মিডিয়াকে ইসরোর লাইভ ব্রডকাস্ট দেখানোর জন্য রীতিমত অনুরোধ করেন তিনি। পাকিস্তানীরা বলছেন, ‘আমাদের জমিটাই নড়বড়ে, চাঁদে পৌঁছব কী করে? অনেকের দাবি দেশভাগটা বোধহয় না হলেই ভালো হত।
১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠা হয় পাকিস্তানের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। ‘স্পেস অ্যান্ড আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন (সুপারকো)’ ড. আবদুস সালামের নেতৃত্বে এই গবেষণাকেন্দ্র শুরু হয়েছিল। কিন্তু, চীনের সাহায্য ছাড়া মহাকাশ গবেষণার উল্লেখযোগ্য কোনও পদক্ষেপ করেনি পাকিস্তান। পাকিস্তান ১৯৬২ সালে এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে রকেট রেহবার-১ উৎক্ষেপন করে। প্রথম দিকে এত এগিয়ে থাকার পরও ইসরো থেকে কয়েক কোটি গুণ পিছিয়ে সুপারকো। শিক্ষাখাতে তহবিল বরাদ্দের অভাব ও বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য হাসিলে সামরিক নেতৃত্বের বার বার হস্তক্ষেপের কারণে আজ এই হাল। এক্ষেত্রে মেধার নিরিখেও বেশ কিছুটা পিছিয়ে প্রতিবেশী এই দেশ।
ইসলামাবাদের মানুষ ভারতের এই সাফল্য দেখার পর প্ল্যাক্টিক্যাল কথাটাই কিন্তু তুলে ধরছে। তাদের দাবি, ‘সরকার যত দিন পর্যন্ত স্থিতিশীল না হচ্ছে তত দিন এসব হওয়া অনেক দূরের কথা। পাকিস্তানীদের ন্যূনতম প্রয়োজন আগে মেটানো হোক। তারপর তো উপগ্রহ ইত্যাদির কথা ভাবা যাবে। পাকিস্তান এখন অত্যন্ত গরিব। তাই আগে দেশকে বাঁচাক পাকিস্তান, তারপর এত বড় স্বপ্ন দেখার কথা ভাববে৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম