।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh Coast Guard: সমুদ্র উপকূলে শত্রুদের যম, বাংলাদেশের কোস্টগার্ড। সহ্য করে না জলদস্যুদের দাপট। চালায় তীক্ষ্ণ নজরদারি। প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে শুরু করে শত্রুদের আস্ফালন, সবকিছুতেই রুখে দাঁড়ায়। মৃত্যু ভয় এদের কাছে তুচ্ছ। অন্যের প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে গভীর সমুদ্রে। লক্ষ্য একটাই, মানুষের বন্ধু হয়ে ওঠা। বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড ঠিক কতটা শক্তিশালী, জানেন? হাতে রয়েছে কোন কোন অস্ত্র? এরা সেনাবাহিনীর থেকে কম কিছু নয়।
বাংলাদেশকে ঘিরে রেখেছে নীল জলরাশি। এই সুনীল অর্থনীতির সুরক্ষা প্রদানে অতন্ত্র প্রহরী বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। যার প্রত্যেক সদস্য দায়িত্ব পালন করেন সততা এবং বিশ্বাসের সঙ্গে। ১৯৯৫ সালে পরিবেশ দূষণ প্রতিরোধ, সমুদ্র বন্দর নিরাপত্তা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এই বাহিনী তৈরি হলেও বর্তমানে কাজের তালিকাটা অনেকটা লম্বা। শুধু উপকূল রক্ষায় নয়, সমুদ্রপথে মানব এবং মাদক পাচার নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্যিক জাহাজে চুরি রোধ, সুনীল অর্থনীতির দেখভাল, সীমান্তে টহল, উদ্ধার অভিযান থেকে শুরু করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ কিংবা সামুদ্রিক দুর্ঘটনায় ঝাঁপিয়ে পড়ে বাংলাদেশের কোস্টগার্ড। প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার অবৈধ জিনিস আটক করে, রক্ষা করে বনজ সম্পদ। জলদস্যুদের হাত থেকে রক্ষা করে জেলেদের। মৎস্য সম্পদ রক্ষা, জাটকা নিধন এবং মা ইলিশ আহরণ বন্ধেও সাফল্যের সঙ্গে কাজ করে চলেছে এই বাহিনী।
গত ১ দশকে এই বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে ১৫৪ টি আধুনিক এবং দ্রুতগতির বিভিন্ন আকারের জাহাজ থেকে শুরু করে নৌ যান। এছাড়াও আছে নিজস্ব ইয়ার্ডে তৈরি অত্যাধুনিক দশ মিটার রেসকিউ বোট, জাপানের কুড়ি মিটার রেসকিউ বোট এবং চারটি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল। জাহাজ গুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজের জন্য রয়েছে আধুনিক ডকইয়ার্ড। প্রায় ৯০ টিরও বেশি বিভিন্ন শ্রেণীর বোট সহ রয়েছে প্রায় ৫৪ টি আউট পোস্ট স্টেশন। এছাড়াও আছে অভ্যন্তরীণ টহল জাহাজ, টাগবোট, ভাসমান ক্রেন। বর্তমানে বাংলাদেশের কোস্ট গার্ডে যে নতুন জাহাজ যুক্ত হয়েছে তা আধুনিক যন্ত্রপাতি, সেন্সর এবং নজরদারি রাডার দ্বারা সাজানো। জাহাজগুলোর নজরদারি ক্ষমতা প্রায় ৯৬ নটিক্যাল মাইল এবং কামানের পাল্লা প্রায় ৪ কিলোমিটার। নিরাপত্তা জাহাজের পাশাপাশি মোতায়েন রয়েছে বিশেষ জাহাজ, যা সাগরে পড়া তেল শুষে নেয়। দূষণ থেকে বাঁচায় গভীর সমুদ্রকে। সমুদ্র উপকূলীয় নিরাপত্তা জোরদার করতে বাহিনীতে রয়েছে হেলিকপ্টারও। এছাড়াও, গভীর সমুদ্রে অফশোর পেট্রোল ভেসেল, হোভারক্রাফট, ২টি মেন্টাম ভার্সন হেলিকপ্টার, কয়েকটি উচ্চগতির জাহাজসহ একটি হাসপাতাল সুবিধা যুক্ত জাহাজ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ২০৩১থেকে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড হয়ে উঠবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, পরিপক্ক এবং আধুনিক একটা স্মার্ট বাহিনী।
বাংলাদেশের কোস্টগার্ড বাহিনীর মূল মন্ত্র সমুদ্রে অভিভাবকত্ব অর্জন। অর্থাৎ সমুদ্র এবং উপকূলীয় এলাকায় সাধারণ মানুষের সত্যিকারের বন্ধু হয়ে ওঠা। তাই তো বুক দিয়ে আগলে রেখেছে সমুদ্রকে। প্রিয় বন্ধু হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের মানুষের।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম