।। প্রথম কলকাতা ।।
ঝাঁকে ঝাঁকে ছুটে আসা রকেট-মর্টার নিষ্ক্রিয় হয় নিমেষে। এই খতরনাক ডিফেন্স সিস্টেম আছে ভারতের কাছেও। ক্ষেপণাস্ত্র হানা রুখে দিতে বিশ্বের কোন দেশের কাছে কিরকম নিরাপত্তা বলয়? চর্চার কেন্দ্রে ইজরায়েলের “আয়রন ডোম”। কম যায় না “আকাশ” ও। আকাশ আসলে কী? কোথায় ইনস্টল করা থাকে? কবে থেকে আকাশ বাঁচিয়ে আসছে ভারতকে? এই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই ভারতের রক্ষাকবচ, চীন-পাকিস্তান একেবারে দিশেহারা। “আয়রন ডোম” লোহার গম্বুজ, বারংবার বাঁচিয়ে দেয় ইজরাইলকে, আর “আকাশ” বাঁচিয়ে দেয় ভারতকে। এটাই ফ্যাক্ট।
প্রতিপক্ষ দেশ থেকে ছুটে আসা রকেটের অধিকাংশই এই আয়রন ডোমের সুরক্ষাবলয়ে এসে থমকে যায়। আয়রন ডোম আসলে একটা প্রতিরক্ষামূলক আচ্ছাদন, অদৃশ্য এক দেওয়াল। যা ইজরায়েলের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে। কিন্তু ভারতের ক্ষমতা আলাদাই লেভেলের। তাই ইসরাইলের থেকে আয়রন ডোম কেনে নি ভারত। চীন-পাকিস্তানকে হাতে গরমে পাল্টা দেওয়ার জন্য ভারত কিন্তু তৈরি। ৫০ থেকে ৮০ কিলোমিটার দূরত্বে শত্রুর যুদ্ধবিমান, ড্রোন ক্রুজ মিসাইলকে ধ্বংস করে দেয় ভারতের ডিফেন্স সিস্টেম “আকাশ”! “আকাশ” স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্ররোধী ব্যবস্থা, যা স্বয়ংক্রিয়ভাবেও কাজ করতে এক্সপার্ট। ভ্রাম্যমান জায়গা থেকেও ‘আকাশ’কে কন্ট্রোল করা যায়।ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ডিআরডিও-র সাহায্যে তৈরি হয়েছে ‘আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। শুধু আকাশ নয়, ভারত এবং ইজ়রায়েল যৌথ ভাবে তৈরি করেছে ‘বারাক-৮’। ইজ়রায়েলি সেনার পাশাপাশি ভারতের সেনাও এখন ক্ষেপণাস্ত্র হানা রুখতে ‘বারাক’-এর উপর ভরসা রাখছে।
আসলে, ফোর্বসের তথ্য বলছে, আধুনিক সমরাস্ত্রের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর সব দেশের কাছেই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। যেমন ইসরাইল এর “আয়রন ডোম”। এছাড়াও, উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা “এস-৪০০ ট্রাম্ফ” ও কম যায় না। যা তৈরি করেছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত একটি সংস্থা।বিশেষ পরিস্থিতিতে তিন ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারে এটি। শত্রু দেশের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সামনে তৈরি করতে পারে মজবুত প্রতিরোধও। অন্যদিকে, আমেরিকার ‘রেথিয়ন’ এবং ইজ়রায়েলের ‘রাফায়েল’ সংস্থা যৌথ ভাবে তৈরি করেছে ‘ডেভিডস স্লিং’ নামক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা। কোন দিক থেকে আক্রমণ ধেয়ে আসছে, তা আগাম টের পাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে “ডেভিডস স্লিং”-এর।
“থাড” ও মারাত্মক। ব্যবহার করার শুরুর দিন থেকে ১০০ শতাংশ সাফল্য পেয়েছে আমেরিকার প্রতিরক্ষা সংস্থার তৈরি ‘থাড’! ২০০ কিলোমিটার পাল্লা পর্যন্ত যে কোনও ক্ষেপণাস্ত্রকে মুহূর্তের মধ্যে ধ্বংস করে দেওয়ার ক্ষমতা থাডের! প্রতিটা অভিযানেই সফল “থাড”। চীনের হাতে রয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থা “হং কুই-৯”। হেলিকপ্টার, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, হেলিকপ্টারকে নিখুঁত ভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে এটি। জার্মানি, আমেরিকা এবং ইতালি যৌথ ভাবে তৈরি করেছে ‘মিডস’। যুদ্ধক্ষেত্রে যে কোনও ধরনের আক্রমণ প্রতিহত করার ক্ষমতা রয়েছে এটির। বিশেষজ্ঞদের মতে, শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা থাকলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই এড়ানো যায়। নিজের দেশকে সুরক্ষিত রাখা যায়। তাই, আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে ক্ষেপণাস্ত্রের যেমন বহুল ব্যবহার দেখা যাচ্ছে। তেমনই শত্রুদেশের ক্ষেপণাস্ত্র হানা রুখতে উন্নত ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থাও তৈরি রাখছে বিভিন্ন দেশ। যা কখনো কোনো দেশকে ধোকা দিতে পারে না। এখানেই এই ডিফেন্স সিস্টেম এর সাক্সেস।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম