।। প্রথম কলকাতা ।।
র্যাগিং কি শুধুই কলেজ, ইউনিভার্সিটি, অফিসের গন্ডিতে আটকে? কখনও ভেবে দেখেছেন আমরা প্রতিদিন কেউ না কেউ র্যাগিং- র শিকার হয়ে চলেছি। এই সমাজে নিজের ক্ষমতা, প্রভাব দেখিয়ে একশ্রেণীর মানুষ অন্য এক শ্রেণীকে অপমান করেই চলেছে। একটা দল মজা লুটবে ঠিকই কিন্তু অন্যদিকে কিছু মানুষের গোটা জীবনটা নষ্ট হয়ে যাবে। একটু মনে করে দেখুন আপনিও হয়তো অন্যকে দিয়ে এমন কিছু করতে বাধ্য করছেন যাতে তার মর্যাদাহানি হবে। লজ্জা করবে, অস্বস্তি হবে,অসম্মান হবে!আপনিও তাহলে কম অপরাধ করছেন না। নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেন তো? বিশিষ্ট সাইকোলজিস্ট ডক্টর অনুত্তমা বন্দোপাধ্যায় নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় যা লিখেছেন তা আপনাকে ভাবাতে বাধ্য “যে বাংলায় ঝরঝরে নয়, তাকে পাঁচজনের সামনে গীতাঞ্জলী পড়তে বললেও সেটা র্যাগিং”
আচ্ছা কখনও ভেবে দেখেছেন? যে ছেলেটি বা মেয়েটি অঙ্কে ভীষণ কাঁচা তাঁকে মাধ্যমিকে অঙ্কে লেটার মার্কস পাওয়ার জন্য জোর করাটাও র্যাগিং। মোটা মেয়েটির বিয়ে দিতে গেলে এক মাসের মধ্যে রোগা হতে হবে। মেয়ে দেখতে আসার নাম করে ছেলের বাড়ির লোকজন ও মেয়েটাকে একরকম র্যাগিংই করে যায়। যে রান্না পারে না। তাকে হঠাৎ করে একটা গোটা বেলার রান্নার দায়িত্ব দেওয়াটাও র্যাগিংয়ের মধ্যেই পড়ে। সমাজের দুর্বল শ্রেণীর মানুষের উপর আরেক দল নিজের ইচ্ছে গুলোকে চাপিয়ে দিচ্ছে শুধুমাত্র মজা দেখবার জন্য। কেরামতি করে দেখাতে বলা হচ্ছে। এই ঝুঁকির জন্য কখনো জীবন চলে যাচ্ছে সেই হুঁশ থাকছে না কারোর।
কেউ মানিয়ে নিতে পারে! কেউ প্রতিবাদ করে উঠে। কেউ পারে না। দুর্বললেই আরো আকড়ে ধরে। যেখানে নিজের ক্ষমতা দেখানো আরো সহজ। এই মানুষগুলোর জন্যই পেরে উঠতে না পেরে কেউ ছুটিতে বাড়ি গিয়ে আবার কলেজে যেতে ভয় পায়। কেউ ভয়ে জড়সড় হয়ে ক্লাসরুমের কোণায় পরে থাকে। কেউ আবার মা কে ফোন করে বলে ওঠে ভয় করছে! এর শেষ কোথায় ?
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম