।। প্রথম কলকাতা ।।
শ্রীলঙ্কার POK এবার আসবে ভারতের হাতে? ভারতের ৯৫ শতাংশ মানুষ এর কথা জানেন না। নরেন্দ্র মোদী না বললে কেউ জানতেই পারত না কী ঘটেছিল সেখানে। ভারতের মৎস্যজীবীদের ওপর শ্রীলঙ্কার নেভির অত্যাচার একে আপনি কংগ্রেস আমলের ব্লান্ডার বলবেন? আজকের রিপোর্ট শোনার পর পর্দা খুলে যাবে বড় রহস্যের মোদীই ফেরাবেন শ্রীলঙ্কার কাচাথিভু তুমুল চর্চা। সামনে যার বিরোধিতা পেছনে হাত পাততে হচ্ছে তার কাছেই। শ্রীলঙ্কাকে হেলাতে একটা গোটা দ্বীপ উপহার। ভারতের যার মারাত্মক পরিণতি এখন ভুগতে হচ্ছে দিল্লিকে। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের কিছু রাজ্যকে। চীন পাকিস্তানে কথা তো জানেন। শ্রীলঙ্কার এই গোপন সত্যিটা তুলে ধরলেন একমাত্র নরেন্দ্র মোদী।
অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবি ভাষণে বিরোধীরা ওয়াক আউট করার ঠিক পরই মোদী তুলে ধরেন কাচাথিভু দ্বীপের কথা
মোদী মনে করিয়ে দেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীই ১৯৭৪ সালে ভারতের কাচাথিভু শ্রীলঙ্কাকে দিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া একটা শর্তও এখন মানে না কলম্বো। কেন দিয়েছিলেন গান্ধী এই দ্বীপ? ভারতের জন্য ভারতবাসীর জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল এই দ্বীপ। কাচাথিভুকে কি ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারে চীন? শ্রীলঙ্কা এ নিয়ে আর কোনও উচ্চবাচ্চ করে না কেন?প্রায়ই শোনা যায় কাচাথিবুতে ভারতের মৎস্যজীবীরা পা রাখলে হয়। তাদের ওপর গুলি চালায় শ্রীলঙ্কার নৌবাহিনী নয় তাদের আটকে রেখে দেওয়া হয়। একটা সিদ্ধান্ত কিন্তু যার ফলাফল আজ ভুগতে হচ্ছে।
২৮৫ একরের এই জনমানবহীন দ্বীপটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার মাঝে অবস্থিত। ভারত ও শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের জন্য মারাত্মক গুরুত্বপূর্ণ এই দ্বীপ, এখানে মাছ ধরার জাল শোকানো হয়। দ্বীপটির দৈর্ঘ্য ১.৬ কিলোমিটার এবং মাত্র ৩০০ মিটার চওড়া। রামেশ্বরমের উত্তর-পূর্বে অবস্থিত এই দ্বীপ। ভারতীয় উপকূল থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত কিন্তু শ্রীলঙ্কার জাফনা থেকে ৬২ কিলোমিটার দূরত্ব এই দ্বীপের। শ্রীলঙ্কা থেকে বোটে করে ৩ ঘন্টা সময় লাগে কাচাথিভুতে পৌছতে। কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ছিল নাকি জিওপলিটিক্যাল ক্রাইটেরিয়া কেন ততৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কাচাথিভুতে দিয়ে দিলেন? যে মোদী সরকারের দিনরাত বদনাম করছে তামিলনাডুর স্ট্যালিন সরকার সেই মোদীর কাছেই এখন হাত পাততে হচ্ছে কেন? ১৯২১ সালে ভারত ও শ্রীলঙ্কা উভয় দেশই মৎসজীবীদের জন্য জলসীমান্ত নির্ধারণের জন্য কাচাথিভুর উপরে নিজেদের অধিকার দাবি করে। শ্রীলঙ্কার তরফে যেমন সমীক্ষা করা হয় তেমনই ভারতে শাসনকারী ব্রিটিশদের এক প্রতিনিধি দল দাবি করে রামনাদ রাজাদের মালিকানার অধীনে পড়ে এই দ্বীপ। ১৯৭৪ সাল অবধি এই লড়াই চলে।
সেসময় শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী সিরিমাভো বান্দারানায়কের সঙ্গে মারাত্মক বন্ধুত্ব ছিল ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর। বিতর্ক রয়েছে সেই চক্করে নাকি এই দ্বীপ হেলায় উপহার দিয়ে দেন তিনি। ১৯৭৪ সালে ইন্দিরা গান্ধী ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে জলসীমান্ত নিয়ে বিবাদে ইতি টানতে ‘ইন্দো-শ্রীলঙ্কা সামুদ্রিক চুক্তি’ তৈরি করেন। ইন্দিরা গান্ধী মনে করেছিলেন, এই দ্বীপের বিশেষ কোনও গুরুত্ব নেই। এই দ্বীপের উপর থেকে ভারত নিজের অধিকার ছেড়ে দিলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গাঢ় হবে। সেই মতোই ১৯৭৬ সালের ২৩ মার্চ দুই দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। ভারত এই দ্বীপে নিজের অধিকার ছেড়ে দেয়। তবে শর্তে বলা হয়েছিল ভারতের মৎসজীবীরা। তাদের জাল শোকানোর জন্য এই দ্বীপে যেতে পারবে বিনা ভিসায় এই দ্বীপে ভারতবাসী যেতে পারবে।
বর্তমানে এই শর্তের কোনওটাই শ্রীলঙ্কা মানে না বরং উলঙ্ঘন করে। তামিলনাড়ু সরকার ১৯৯১ থেকে কাচাথিভু নিয়ে লড়ছে। জয়ললিতার সময় সুপ্রিম কোর্টেও জল গড়ায়, তবে সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমসিংঘে ভারত সফরে এসেছিলেন তাঁর সফরের ঠিক আগেই তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন কাচাথিভুকে ফের একবার ভারতের অন্তর্গত করার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে চিঠি লিখেছিলেন। তাহলে কি এবার কেন্দ্র সরকারে কাঁচাথিভুকে ফেরানোর কোনও স্টেপ নেবে? আলোচনা বহুমহলে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম