।। প্রথম কলকাতা ।।
ভারতের সব মোবাইলে হানা দেবে “নাবিক”। GPS-এর থেকেও নিঁখুত, জানেন রাস্তা চেনাতে কিভাবে সাহায্য করবে নাবিক? ভারতের চারদিক ঘিরে রয়েছে নাবিকের চোখ। ৮ টা কৃত্রিম উপগ্রহই ইম্পরট্যান্ট ফ্যাক্টর। আর্মির সুবিধা পাবে আম আদমি। আমেরিকাকে জবাব দেওয়ার বড় সুযোগ ভারতের হাতে। ৩৫টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের মারাত্মক ছক কষছে নয়া দিল্লি। এবার নাবিক থাকবে সর্বক্ষণ, আপনার সঙ্গে। আরও ভালো করে লোকেশন খুঁজে দিতে গাইড করবে আপনাকে। রাখবে চোখে, চোখে। নাবিক, পুরো কথা Navigation with Indian Constellation (NavIC)। ভারতের এই নিজস্ব স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম আগামী এক দেড় বছরের মধ্যে এই নাবিক আম-আদমির মোবাইলে চলে আসবে।
কাজ করে কীভাবে?
ভারতের ৮টি কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে কাজ করে নাবিক। ভারত ও ভারতের চারদিকে দেড় হাজার কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে নাবিকের চোখ। জিপিএসের চেয়েও অনেক বেশি নিখুঁত। নাবিক কোনও টার্গেটকে ৫ মিটারের মধ্যেই লোকেট করতে পারে। সেখানে জিএপএস কোনও টার্গেটকে তাঁর ২০ থেকে ২৫ মিটারের মধ্যে লোকেট করতে পারে। নাবিক এর পথ চলা কিন্তু অলরেডি শুরু হয়ে গেছে ভারতে।
কারা ব্যবহার করে?
এখন ভারতীয় সেনা এটা ব্যবহার করে। জিপিএসের চেয়ে অনেক বেশি নিখুঁত হওয়ায় ক্ষেপণাস্ত্রের ক্ষেত্রে সেনা নাবিকের উপরেই নির্ভরশীল। পরবর্তীতে সব মানুষের মোবাইলে এই নাবিক চলে এলে সব মানুষই এর সুবিধা পাবেন। মৎসজীবীদের সমুদ্র যাত্রা আরও নিরাপদ হবে। তবে, নাবিক এখনও লোকাল। অন্য দেশে কাজ করে না। সেখানে আমেরিকার জিপিএস কিন্তু, আন্তর্জাতিক। সব দেশেই কাজ করে। এর জন্য মহাকাশে রয়েছে আমেরিকার ৩০টি উপগ্রহ। তাই, নয়াদিল্লির টার্গেট নাবিকের চোখ প্রতিটা দেশে ছড়িয়ে দেওয়া। এর জন্য ৩৫টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপনের প্ল্যানও হয়ে গেছে।
নাবিক তৈরির পেছনের ইতিহাসটা কী?
১৯৯৯ সালে কার্গিলে ঢুকে পড়ে পাক হানাদাররা। পাহাড়ের উপরের উঁচুতে গা ঢাকা দিয়েছিল। সেইসময় তাঁদের লোকেট করতে হিমশিম খাচ্ছিল ভারতীয় সেনা। সেদিন আমেরিকার কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। কিন্তু সাহায্য করেননি বিল ক্লিন্টন। শেষমেষ ইজরায়েলের দেওয়া লেজার গাইডেড বোমায় পাক ঘাঁটি গুলো উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। তখনই ভাবনাটা সরকারের মাথায় এসেছিল। সবাই বুঝেছিলেন ভারতের নিজস্ব স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম থাকা দরকার। সেই মতো কাজও শুরু করে ইসরো। শুরু হয় ইন্ডিয়ান রিজিওন্যাল স্য়াটেলাইট সিস্টেম নামের নতুন প্রজেক্ট, লক্ষ্য ছিল নাবিক। ২০০৫ সালে প্ল্যান হয় দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হবে এই সিস্টেম। সেই মতো নাবিকের জন্য ধাপে ধাপে ৮টি স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠাতে খরচ হয় দেড় হাজার কোটি টাকা। ২০১৮ সালে নাবিকের পথ চলা শুরু।
আমেরিকার হাতে জিপিএস আছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হাতে রয়েছে গ্যালিলিও। রাশিয়ার রয়েছে নিজস্ব স্যাটেলাইট সিস্টেম গ্লোনাস। চিনের রয়েছে বাইডু। জাপান ব্যবহার করে কিউজেডএসএস। এই এলিট ক্লাবেরই ষষ্ঠ সদস্য দেশ ভারত। জবাব পাবে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম