।। প্রথম কলকাতা ।।
চীনের দৌড় কতদূর? এবার হারে হারে টের পাবে যুক্তরাষ্ট্র। ড্রোন রপ্তানিতে বিধিনিষেধ চীনের। বিশ্বজুড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার নামে যুক্তরাষ্ট্রকে ফাঁদে ফেলাই কি বেইজিং এর মূল টার্গেট? অনেক বড় ভুল হলো না তো? যুক্তরাষ্ট্রকে সবক শেখাতে গিয়ে বিপদে পড়বে না তো রাশিয়াও? কবে থেকে লাগু হবে বিধি নিষেধ? কোন অজুহাত দেখাচ্ছে বেইজিং? চীনের টিট ফর ট্যাট নীতিকে কিভাবে মোকাবেলা করবে পশ্চিমা বিশ্ব? বাইডেনের সামনে বড় পরীক্ষা। যুক্তরাষ্ট্র একাই পারে নাকি চারিদিকে বলাবলি, লেখালেখি হচ্ছে। ভুল করছে মার্কিনিরা, ওয়াশিংটন ও তার মিত্ররা চীনের প্রযুক্তি খাতকে দমিয়ে রাখতে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করে চলেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এটা একবারও ভাবছে না, যে চীনও একই ধরনের উদ্যোগ নিতে পারে। আর সেক্ষেত্রে পরিস্থিতি ঠিক কিরকম হতে পারে।
চিপ নির্মাণ সরঞ্জামের মতো প্রধান প্রধান প্রযুক্তিতে চীনের প্রবেশাধিকার নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। ওই নিষেধাজ্ঞার জবাবে চীনের দুর্লভ ধাতু রপ্তানিতে বিধিনিষেধের পর, এবার ড্রোন রপ্তানিতে চীনের বিধিনিষেধ। যে বিধিনিষেধের আওতায় রয়েছে কয়েক ধরনের ড্রোনের ইঞ্জিন, লেজার, যোগাযোগ সরঞ্জাম ও ড্রোন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে। দেখে নেবেন, এরপর হাহুতাশ করবে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু কুলকিনারা পাবে না। জানেন কেন এতো বড় পদক্ষেপ করলো চীন? বেইজিং বলছে, জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ সুরক্ষার খাতিরে এই পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। দায়িত্বশীল দেশ হিসেবে বিশ্বে শান্তি বজায় রাখার ক্ষেত্রে এটা করা জরুরি বলে মনে করছে চীন।
এটা ভুলে গেলে চলবে না চীন বিশ্বের অন্যতম ড্রোন উৎপাদনকারী দেশ। যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন বাজারে ড্রোন রপ্তানি করে থাকে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রি হওয়া ড্রোনের মধ্যে ৫০ শতাংশের বেশি চীনা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ডিজেআইয়ের তৈরি। এসব ড্রোনের যথেষ্ট জনপ্রিয়তাও রয়েছে। শুধুই কি তাই? বিভিন্ন সময় রিপোর্ট সামনে এসেছে, যে ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়া চীনা ড্রোন ব্যবহার করছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রকে বিপদে ফেলতে গিয়ে চীনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু রাশিয়াও বিপাকে পড়বে না তো? যদিও, পশ্চিমা মিডিয়ার এমন অভিযোগকে “ভিত্তিহীন” বলে বারংবার উড়িয়ে দিয়েছে বেইজিং। তবে, চীন যাই বলুক। এই সিদ্ধান্ত ভোক্তা পর্যায়েও প্রভাব ফেলবে। এছাড়া সামরিক উদ্দেশ্যে কোনো বেসামরিক ড্রোন রপ্তানি করা যাবে না।
ফলে বিপাকে পড়তে পারে যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশ। যদিও, চীনাভিত্তিক কোম্পানি ডিজেআই বলছে, তাঁরা কখনোই সামরিক কাজে ব্যবহারের জন্য পণ্য বা সরঞ্জাম তৈরি করিনি। কখনোই কোনো দেশে সামরিক সংঘাত বা যুদ্ধে ব্যবহারের জন্য তাদের পণ্য বাজারজাত বা বিক্রি করা হয়নি। কিন্তু, তারপরেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রযুক্তি জগতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের মধ্যে ড্রোন ও ড্রোন সরঞ্জাম রপ্তানির ওপর চীনের এই বিধিনিষেধ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় এফেক্ট ফেলতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাছাড়া, চীন যদি তাদের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থ রক্ষার্থে এই ধরনের বৈধ ও যৌক্তিক উদ্যোগ নিতে থাকে, তাহলে তা কতদিন ওয়াশিংটন উপেক্ষা করতে পারবে, সেটাও একটা বড় প্রশ্ন। এখন দেখার চীনের পাল্টা দিতে কোন পথে হাঁটে যুক্তরাষ্ট্র।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম