।। প্রথম কলকাতা ।।
অবনতি ঘটবে বাংলাদেশের রাজনৈতিক এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির! আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু কেন? যুক্তরাষ্ট্রের গলায় বাংলাদেশের একগুচ্ছ প্রশংসা, অথচ ফাঁক থেকে যাচ্ছে বিশ্বাসে! নির্বাচন না মিটলে কিছুতেই শান্তি নেই। কেন বেছে বেছে বাংলাদেশের উপরেই যুক্তরাষ্ট্রের এত নজর? এই জটিলতায় দুই দেশের সম্পর্কে ভাঙন ধরবে না তো? বাংলাদেশকে নিয়ে কিসের এত ভয় যুক্তরাষ্ট্রের? চাইছে টা কি দেশটা?
বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়টা আর অভ্যন্তরীণ নেই, বেশ চর্চা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ নিয়ে একটা প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই প্রতিবেদনে প্রায় ১৬০টিরও বেশি দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ পরিবেশের কথা রয়েছে। খুব স্পষ্ট করে খুব সুন্দর ভাবে বাংলাদেশের সম্পর্কে বলেছে, দেশটা ঐতিহাসিকভাবে মধ্যপন্থী, শান্তিপূর্ণ, ধর্মনিরপেক্ষ এবং স্থিতিশীল একটা রাষ্ট্র। কিন্তু এখানেই থেকে গিয়েছে খটকা। বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষের দিকে কিংবা ২০২৪ সালের প্রথম দিকে সাধারণ নির্বাচনের সময় রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হতে পারে। প্রতিবেদনে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের পরিস্থিতিও তুলে ধরা হয়েছে।
শুধু বাংলাদেশ নয়, প্রত্যেক দেশেই অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার। গণতন্ত্রে রাজনৈতিক সহিংসতার কোন জায়গা নেই। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের নির্দিষ্ট কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষে কথাও বলছে না। যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র সমর্থন করছে বাংলাদেশের অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যকে। এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রধান উপ মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল। যদিও এই লক্ষ্য শুধু যুক্তরাষ্ট্রের নয়, বাংলাদেশী সরকারি কর্মকর্তা সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও। সবাই চান সুষ্ঠু নির্বাচন। বিষয়টা এখন দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভাইটাল দিক।
যুক্তরাষ্ট্র যে বারংবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে মাথা গলাচ্ছে, এটা জেনে গেছে গোটা বিশ্ব। এখানেই রয়েছে হাজারো প্রশ্ন। এর ফলে কি দুই দেশের সম্পর্কে ভাঙন ধরবে? নাকি সম্পর্কের চূড়ান্ত ফলাফল নির্ভর করছে নির্বাচনের উপর? নির্বাচন পরিস্থিতি অগ্নিমূর্তি হলে বড়সড় স্টেপ নেবে না তো যুক্তরাষ্ট্র? এই একগুচ্ছ প্রশ্ন ঘুরছে বিশেষজ্ঞ মহলের মধ্যে। চলছে নানান সমালোচনা আলোচনা।
যদিও দুই দেশের সম্পর্কে চিড় ধরার আপাতত কোন ইঙ্গিত নেই। বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার ঘাটতি কমাতে আইএমএফ এর থেকে ঋণ নিয়েছে। ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে দেশটা ৬ শতাংসেরেবেশি জিডিপি ধরে রেখেছে। যার কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানিগুলো বাংলাদেশ সম্পর্কে বেশ আগ্রহী। তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগও করতে চায়। দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে কৌশলগত অবস্থান আর শ্রমশক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশ। প্রশংসার সুরে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ধীরে ধীরে উন্নত হচ্ছে। সীমিত অর্থায়নে বহু সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠছে। পাশাপাশি দেশটা শ্রম, মেধা, সম্পত্তি অধিকারসহ পরিবেশের ক্ষেত্রে সময়ের উপযোগী নানান আইন প্রণয়ন করেছে। গত এক দশকে বাংলাদেশের অগ্নি নির্বাপন সহ নিরাপত্তা মান উন্নত হয়েছে ।
নির্বাচন সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণভাবে হোক তা বাংলাদেশও চায়, যুক্তরাষ্ট্রও চায়। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারে অশান্তি কখনই কাম্য নয়। বাংলাদেশও সুষ্ঠু পরিকল্পনার পথ ধরেই এগোবে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম