।। প্রথম কলকাতা ।।
Shiv Temple: শিবলিঙ্গ তো দেখেছেন। কিন্তু এক সঙ্গে এক কোটি শিবলিঙ্গ দেখেছেন কখনও! আমাদের দেশেই রয়েছে এমন জাগ্রত মন্দির। জানলে অবাক হবেন, এই মন্দিরে শিবলিঙ্গের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই মন্দিরে রয়েছে অবাক করা মাহাত্ম। কোটিলিঙ্গেশ্বর ধাম মন্দির।
দক্ষিণ ভারতের কর্ণাটকের কোলার জেলার একটি ছোট গ্রাম কমমাসান্দ্রে অবস্থিত এই মন্দির। এই মন্দির শিবলিঙ্গের আকারে তৈরি। এর উচ্চতা অবাক করার মতো। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু শিবলিঙ্গ ও মন্দির। এই শিবলিঙ্গের উচ্চতা একশো আট ফুট। আপনি দেখলে অবাক হবেন, এই মন্দিরের চারপাশে এক কোটিরও বেশি ছোট ছোট শিবলিঙ্গ রয়েছে। প্রতিদিন এখানে শিবলিঙ্গের সংখ্যা বাড়ছে। এর কারণ হল, ইচ্ছা পূর্ণ হলে ভক্তরা তাদের নামে এই মন্দিরে এক ফুট থেকে তিন ফুট পর্যন্ত শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন। শিবলিঙ্গ আকারে স্থাপিত এই মন্দিরের সামনে একটি বিশাল নন্দী মূর্তি রয়েছে। যার উচ্চতা পঁয়ত্রিশ ফুট এবং প্রস্থ চল্লিশ ফুট।
বিশাল একশো আট ফুট উঁচু শিবলিঙ্গের চারপাশে মাতৃদেবী, শ্রী গণেশ, শ্রী কুমারস্বামী এবং নন্দী মহারাজের মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তিগুলি এমনভাবে স্থাপন করা হয়েছে যেন তাঁরা তাঁদের আরাধ্য দেবতার পূজা করছে। মন্দির চত্বরে কোটিলিঙ্গেশ্বরের মূল মন্দির ছাড়াও রয়েছে এগারোটি মন্দির। যার মধ্যে রয়েছে পঞ্চমুখী গণপতির মন্দির, রাম-লক্ষ্মণ-সীতার মন্দির, বিষ্ণুজি এবং অন্নপূর্ণা মাতার মন্দির। প্রসিদ্ধ বিশ্বাস, ঋষি গৌতমের অভিশাপ এড়াতে ভগবান ইন্দ্র এই স্থানে একটি শিবলিঙ্গ নির্মাণ করেছিলেন। তাই এই স্থানটি কোটিলিঙ্গেশ্বর নামে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।
এই পবিত্র মন্দিরটি ১৯৮০ সালে সম্ভ শিব মূর্তি এবং তাঁর স্ত্রী ভি রুক্মিণী তৈরি করেছিলেন। এই স্থানে প্রথমে পাঁচটি শিবলিঙ্গ স্থাপন করা হয়। দ্বিতীয় দফায় একশ শিবলিঙ্গ এবং তারপর এক হাজার একশটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। আজ পর্যন্ত এখানে ১ কোটি শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। মন্দিরের ভেতর প্রবেশের সাথে সাথে ভক্তরা কোটিলিঙ্গেশ্বরের মূর্তির মধ্যে মহাদেবের দর্শন পান। লোককথা, শিবশঙ্কর কোটিলিঙ্গেশ্বর রূপে তাঁর ভক্তদের কষ্ট দূর করেন। বিশ্বাস, মন্দির প্রাঙ্গণে থাকা দুটি গাছে হলুদ সুতো বেঁধে রাখলে ভক্তদের সব ইচ্ছা পূরণ হয়। বিবাহের বাধা দূর হয়। দাম্পত্য জীবনের অধিকাংশ বাধা দূর হয়।
এখানে দরিদ্র পরিবারের মেয়েদের বিয়ে মন্দিরের পক্ষ থেকে বিনা পয়সায় করা হয়। সেই সাথে এখানে দূর-দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের থাকা, খাওয়া ও পানীয়ের যথাযথ ব্যবস্থা করা হয়। মহাশিবরাত্রির উৎসবে এখানে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম দেখা যায়। মেলা বসে। ওই দিন সারা বিশ্ব থেকে লাখ লাখ ভক্ত এই মন্দিরে আসেন এবং ভগবান শিবের পূজা করেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম