।। প্রথম কলকাতা ।।
Rock Salt Health Benefits: অতিরিক্ত সাদা লবণ মানেই বিষ, ঝাঁঝরা করে দেবে শরীর। কিন্তু যদি হয় বিট লবণ বা কালো লবণ? মিলবে প্রচুর সুফল, কমবে ওজন, মন থাকবে ফুরফুরে। সারবে হাজারো রোগ। কাজ করবে ম্যাজিকের মতো। প্রতিদিনের খাবারে এখন একটুখানি বিট লবণ রাখুন। তারপরে দেখুন এর কামাল। বিট লবণ ঠিক কতটা উপকারী? অতিরিক্ত খেলে ফল খারাপ হবে না তো? কি বলছেন বিশেষজ্ঞরা? একটু জানুন। বিট লবণ এর গুণ জানলে মাথা ঘুরে যাবে। হয়ত এখনই সাদা লবণ ছেড়ে এই লবণের দিকে ঝুঁকবেন। খাবারের স্বাদ বাড়াতে লবণের বিকল্প নেই। কিন্তু সেই লবণই হয়ে উঠতে পারে মারাত্মক বিষ। অতিরিক্ত ব্যবহারে মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে শরীরে। উল্টে বিট লবণ বা কালো আপনাকে বাঁচাবে মারাত্মক রোগ থেকে।
অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি বমি ভাবের মতো নানান সমস্যায় কাজ করবে ম্যাজিকের মতো। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এটা নামেই লবণ কিন্তু সাদা লবণের মতো ক্ষতিকর নয়। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে বিশেষজ্ঞদের দাবি অনুযায়ী, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিস কিংবা পেট সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য বিট লবণ বেশ উপকারী। বিট লবণ রক্তের শর্করার পরিমাণ আর ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। খাবার হজম করার ক্ষমতা বাড়ায়। পেশির গঠন শক্ত করে। এতে এমন কিছু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান আছে, যা শরীরকে দূষণমুক্ত করে। অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল গুন শরীরকে বাঁচায় বিপ্পজনক ব্যাকটেরিয়া থেকে। শরীর সতেজ রাখে। হজমজনিত সমস্যা দূর করে। কোষে পুষ্টি সরবরাহ করে। এই লবণ গলার সংক্রমণ কমাতেও খুব উপকারী।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বিট লবণ ভালো কিন্তু কিছু ক্ষতিকারক উপাদান বহন করছে। এতে রয়েছে সোডিয়াম ক্লোরাইড, সোডিয়াম সালফেট, লোহা, ম্যাগনেসিয়াম, ফেরিক অক্সাইড, সালফেট আর ফ্লুরাইড। কোন ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পরিমাণে বিট লবণ খেলে শরীরে ফ্লুরাইডের বিষক্রিয়া হতে পারে। ফ্লুরাইড কিন্তু দাঁত আর হাড়ের জন্য ভীষণ ভালো, কিন্তু পরিমিত পরিমাণে। অতিরিক্ত হলেই বিষাক্ত হয়ে যাবে। তখন দাঁতের ক্ষতি হবে, চুল পড়ে যাবে, ওজন হ্রাস পাবে, ত্বকে প্রদাহ হবে একটা কথা অবশ্যই মনে রাখবেন, কোন জিনিসই মাত্রাতিরিক্ত ভালো নয়। বিট লবণ এর ভালো গুণ আছে বলে আপনি অতিরিক্ত পরিমাণে খাবেন তা কিন্তু কখনোই নয়। হিতে বিপরীত হতে পারে। বিট লবণ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসক কিংবা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম