।। প্রথম কলকাতা ।।
এবার মহাকাশে মানুষ পাঠাবে ইসরো। ২০২৪ এ বিশ্ব দেখবে ইসরোর গগনযান মিশন। দেশীয় যানে ভারতীয় নভোশ্চরদের মহাকাশে পাঠাবে ভারত। জানেন, এই মিশনে রিস্ক কতটা? মহাকাশে বিপদ এলে, কিভাবে বাঁচাবে ক্রু এস্কেপ সিস্টেম? নৌবাহিনীর বড় ভূমিকা। কোনও সমস্যা হলে কিভাবে করা হবে উদ্ধার কাজ? কতদিনের মিশন? পৃথিবী থেকে কতদূর পর্যন্ত যাবে মহাকাশযান? ফিরে এসে কোথায় অবতরণ করবে? তলে তলে হয়ে গেল ট্রায়াল। মহাকাশ থেকে সমুদ্র, গগনযান মিশন ঘিরে ভারতজুড়ে তোলপাড়।
১৯৮৪ কাট টু ২০২৪। ৩৪ বছর পর ফের নজির গড়ার পথে ভারত। গগনযান মিশন ঘিরে বুক বাঁধছে ইসরো। ২০২৪ সালে নভোশ্চর নিয়ে ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪০০ কিলোমিটারে উচ্চতার কক্ষপথে তিন ভারতীয় মহাকাশচারীকে নিয়ে পৌঁছবে ‘গগনযান’। মিশনটি হবে তিনদিনের। তারপর ভারতীয় নভোশ্চরদের ফিরিয়ে আনা হবে পৃথিবীতে। মহাকাশ সফর শেষে মাঝ সমুদ্রে নামানো হবে মানুষবাহী ওই মহাকাশযানটিকে। সেখান থেকে নভোশ্চরদের উদ্ধার করে আনবে নৌবাহিনীর সদস্যরা। ভারতীয় মহাকাশচারী কল্পনা চাওলার পরিণতির কথা মাথায় রেখে নভোশ্চরদের কী ভাবে নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনতে হবে, সেই ব্যবস্থাও পাকা।
মহাকাশে কোনও দুর্ঘটনার হাত থেকে ভারতীয় মহাকাশচারীদের বাঁচাতে, ইমারজেন্সি সিচ্যুয়েশনে “ক্রু এস্কেপ সিস্টেম” এ ভরসা রাখছে ইসরো। কিভাবে কাজ করবে এই সিস্টেম? জেট বিমানের প্রযুক্তির থেকেও ‘ক্রু এস্কেপ সিস্টেম’ অনেক বেশি উন্নত, স্বয়ংক্রিয়। এই সিস্টেমে রকেটের সঙ্গে যুক্ত থাকা একটি প্রকোষ্ঠের মধ্যে থাকবেন মহাকাশচারীরা। কম্পিউটারে কোনও বিপদ চিহ্নিত করা গেলে সঙ্গে সঙ্গে মহাকাশচারীদের নিয়ে মূল যান থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে এই প্রকোষ্ঠ। প্যারাস্যুটের সাহায্যে মহাকাশচারীদের নিয়ে নিরাপদে অবতরণ করবে সমুদ্রে। এই প্রযুক্তি যাতে যে কোনও উচ্চতায় নিখুঁত ভাবে কাজ করতে পারে সেই দিকেও নজর রাখছে ইসরো।
গগনযান মিশন নিয়ে একের পর এক পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে ইসরোর গবেষণা কেন্দ্রে। কীভাবে নভোশ্চরদের উদ্ধার করা হবে তার দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রান ও কমপ্লিট করে ফেলেছে ইসরো ও ভারতীয় নৌবাহিনী। ২০ জুলাই বিশাখাপত্তনমের নাভাল কম্যান্ডে শুরু হয়েছিল এই ট্রায়াল প্রসেস। যে ‘ক্রু মডিউল মক-আপ’ ব্যবহার করা হয়েছে, তা টেস্টিং প্রক্রিয়ার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কোনও সমস্যার ক্ষেত্রে কীভাবে উদ্ধারকাজ করা হবে, তা ওরকম পরিস্থিতি তৈরি করে ঝালাই করা হয়েছে। ‘গগনযান’-এ থাকবে ৪৪০ নিউটনের একটি থ্রাস্ট সমন্বিত পাঁচটি তরল অ্যাপোজি মোটর ইঞ্জিন, ১০০ নিউটন থ্রাস্ট সমন্বিত ১৬টি রিয়্যাকশন কন্ট্রোল সিস্টেম থ্রাস্টার্স। ‘গগনযান’ মিশনের লক্ষ্য লো আর্থ অরবিটে নভোশ্চরদের পাঠানো। ভারতের দ্বারাও যে এই মিশন সম্ভব সেটাই এবার দেখবে দুনিয়া।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম