।। প্রথম কলকাতা ।।
মৃতের চিতা থেকে ছাই এনে সন্তুষ্ট করা হয় মহাদেবকে। শিবের এই মন্দির নাকি তৈরি করেছিলেন স্বয়ং ব্রহ্মা দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি। দর্শনে ভাগ্যের চাকা বদলে যাবে আপনার। অর্থ সঙ্কট থেকে মিলবে মুক্তি। এখানে মহাদেবের আরতি দেখার সুযোগ সহজে মেলে না কেন এত বিখ্যাত এই শিব মন্দির? কেনই বা এই মন্দিরকে এত পবিত্র বলে মানা হয়? কয়েকহাজার বছর পুরনো মহাদেব ধামে লুকিয়ে কোন রহস্য?
গুজরাটের সোমনাথ মন্দির, অন্ধ্রপ্রদেশের মল্লিকার্জুন মন্দিরে বা উত্তরাখণ্ডের কেদারনাথ নয়। মহাদেবের আসল রূপ দেখতে পারেব এই মন্দিরে পা রাখলে। মধ্যপ্রদেশের মহাকালেশ্বর মন্দির শিবের অনেক রূপের মধ্যে একটি রূপ মহাকাল। মহাকাল মানে মৃত্যুর দেবতা। বিশ্বাস শিবের দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি রয়েছে এই মহাকালেশ্বর মন্দিরে। মহাদেবের এই মন্দিরে ভস্ম আরতি কী হয় জানেন? দেবাদিবের লীলায় গায়ে কাঁটা দেবে।
মহাকালেশ্বর মন্দিরের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হল ভস্ম আরতি। কয়েক হাজার বছরের নিয়ম এখনও পালন হয়ে আসছে। মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার প্রক্রিয়া সহজ নয়। মধু-চন্দন মাখিয়ে প্রথমে শিবলিঙ্গের দুধ স্নান হয়। এরপর চিতা থেকে ছাই তুলে এনে একটা সময়ে এই মন্দিরে হত ভস্ম আরতি। সেই রীতিতে বদল না এলেও ভস্ম আরতিতে এখন আর ব্যবহার হয় না চিতার ছাই। বিশেষ এই আরতির জন্য গোবর থেকে ছাই তৈরি করা হয়।
আরতি শুরুর আগে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় শিবলিঙ্গ। তারপর ছাই ভর্তি একটি থালা লিঙ্গের উপর দোলান মন্দিরের প্রধান পুরোহিত যার জেরে ছাইয়ে ঢেকে যায় গোটা গর্ভগৃহ আরতির সময় কাউকে গর্ভগৃহে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। শিবকেই উজ্জয়িনীতে প্রধান দেবতা হিসাবে পুজো করা হয়। লোককথা অনুযায়ী, শিব এই শহরের রাজা ছিলেন। এই শহরে রয়েছে প্রাচীন রাম ঘাট। কুম্ভ মেলা উপলক্ষে প্রতি ১২ বছর অন্তর প্রচুর ভক্তরা আসেন। এছাড়াও মহাকালের টানে প্রতিদিন পুর্ণার্থ্যীদের ভিড় লেগেই থাকে।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম