।। প্রথম কলকাতা ।।
একেই বলে স্বপ্নের অভিষেক। প্রথমবার বিশ্বকাপের মঞ্চে খেলতে নেমেই রাঙিয়ে দিয়ে গেলেন রিচার্লিসন। জোড়া গোল করে দলের জয়ে বড় অবদান রাখলেন। তাঁর জোড়া গোলের সুবাদেই কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ‘জি’ গ্রুপের ম্যাচে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে শুভ সূচনা করল রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। ২০১৪ সালে নেইমারের পর প্রথম ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার হিসেবে বিশ্বকাপের মঞ্চে জোড়া গোল করলেন রিচার্লিসন।
ম্যাচের শুরু থেকে একটু ছন্নছাড়া লাগলেও আস্তে আস্তে ছন্দে ফেরে ব্রাজিল। তবে চেনা ব্রাজিলকে খোলস থেকে বেড়াতে সময় লাগলো দ্বিতীয়ার্ধ পর্যন্ত। প্রথমার্ধে খেলা গোলশূন্য থাকলেও। দ্বিতীয়ার্ধে সাম্বা ফুটবলের ঝলক দেখল বিশ্ব ফুটবল। ৬২ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন রিচার্লিসন। এরপর ৭৩ মিনিটে চোখ ধাঁধানো বাই সাইকেল কিকে ব্যবধান বাড়ান ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। দ্বিতীয় গোলটি যে বিশ্বকাপের সেরা গোলের তালিকায় থাকবে তা বলাই যায়।
জয় দিয়ে অভিযান শুরু করলেও নেইমারের চোট ভাবাচ্ছে সেলকাওদের। ৭৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন ব্রাজিলের প্রাণভোমরা। ডাগ আউটে বসে কাঁদতে দেখা যায় নেইমারকে। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাঁর চোট কতটা গুরুতর তা জানতে ৪৮ ঘন্টা সময় লাগবে। তারপরেই বোঝা যাবে নেইমার পরের ম্যাচে খেলবেন কিনা। তবে দেখা গেছে নেইমারের পা ফুলে গেছে। অনেকেই আবার ধারণা করছেন নেইমারের এই চোট তাঁকে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে দিতে পারে। নেইমার আগামী ম্যাচে নামতে পারবেন কিনা তা সময় বলবে। তবে এদিন সার্বিয়ার বিরুদ্ধে গোল না পেলেও মাঠ জুড়ে আলো ছড়ালেন নেইমার। দেখা গেল সেই চেনা ছন্দে। ব্রাজিলের দুটি গোলেই নেইমারের ভূমিকা রয়েছে।