।। প্রথম কলকাতা ।।
Bangladesh: সামরিক অস্ত্রে পাওয়ারফুল বাংলাদেশ, নতুন রূপে সাজছে নৌ বাহিনী, যুক্ত হচ্ছে একের পর এক অত্যাধুনিক অস্ত্র। কোন যুদ্ধের প্রস্তুতি? বাংলাদেশের নৌবাহিনী কতটা শক্তিধর জানেন? পিছিয়ে বহু দেশ। কিন্তু যুদ্ধের কোন ইচ্ছাই নেই বাংলাদেশের। ব্যাপারটা কি? দেশটা কি যুদ্ধে ভীষণ ভয় পায়? বাংলাদেশের নৌবাহিনীর ক্ষমতা জানলে অবাক হবেন। হাতে আছে বিধ্বংসী মারাত্মক অস্ত্র।
বাংলাদেশের কাছে বিপুল সমুদ্র সম্পদ রয়েছে। তাই অর্থনীতি আর পর্যটন শিল্পের বিকাশের ক্ষেত্রে নৌবাহিনী ভীষণ ইম্পরট্যান্ট। বাংলাদেশের নৌবাহিনী এখন পরিণত হয়েছে স্মার্ট বাহিনীতে। যুক্ত হচ্ছে নতুন অস্ত্র, নতুন প্রযুক্তি। সাগরে নজরদারি, নিরাপত্তা জোরদার করতে দেশটা হেলিকপ্টার কিনছে, কয়েকটা যুদ্ধ জাহাজও বানাচ্ছে। পটুয়াখালীতে তৈরি হয়েছে নৌ বাহিনীর বিশাল ঘাঁটি।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ২০২৩ সালের রিপোর্ট বলছে, গোটা বিশ্বের সামরিক শক্তির হিসেবে ৪০তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে। বর্তমানে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীতে সক্রিয় সেনার সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ ৭৫ হাজার। ট্যাঙ্কের সংখ্যা প্রায় ২৮১টি। সামরিক যান রয়েছে প্রায় ১৩ হাজারের বেশি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর রকেট আর্টিলারি। নৌবাহিনীর সদস্য সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজারের কাছে। বাংলাদেশের নৌ বাহিনী প্রচন্ড শক্তিশালী। নৌবাহিনীতে জাহাজের মধ্যে ৭ টা ফ্রিগেট, এর মধ্যে বিএনএস বঙ্গবন্ধু সব থেকে আক্রমণাত্মক এবং মিসাইল বহন করে। এছাড়াও রয়েছে ছয়টা করভেট, দুটো সাবমেরিন, পাঁচটা মাইন ওয়ারফেয়ার, টহল নৌ যান প্রায় ৩০ টি। এত শক্তিশালী বাহিনী কিন্তু শ্রীলঙ্কা নেপাল কিংবা ভুটানের মতো দেশগুলোর কাছে নেই।
বাংলাদেশের নৌ বাহিনীকে শক্তিশালী করতে যুক্ত হয়েছে ওমর ফারুক আর আবু উবাইদাহ নামক দুটো যুদ্ধ জাহাজ। যেখানে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তির কামান, মাটি থেকে আকাশে কিংবা মাটি থেকে মাটিতে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র ছোঁড়া যাবে। এছাড়া রয়েছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রকেট ফায়ার কন্ট্রোল সিস্টেম,র্যাডার জ্যামিং সিস্টেম, অত্যাধুনিক সারভাইলেন্স র্যাডার সহ প্রচুর অস্ত্র। জানলে আশ্চর্য হবেন, এই জাহাজ কিন্তু যুদ্ধের কাজে না, বাংলাদেশ ব্যবহার করে সন্ত্রাস আর জল দস্যু দমনে, চোরাচালানকারী বিরোধী নানান অপারেশন পরিচালনায়, সমুদ্রে উদ্ধার তৎপরতার মতো কাজে। বাংলাদেশের সামরিক শক্তির গর্ব বাংলাদেশের নৌবাহিনী। ধীরে ধীরে প্রশিক্ষণ পেশাদারিত্বে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ এবং শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে।
দেশটা শুধুমাত্র স্বাধীনতা আর সার্বভৌম রক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে শক্তপোক্ত করছে। অন্য দেশের সঙ্গে যুদ্ধ জড়ানোর কোন ইচ্ছা নেই। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন শেখ হাসিনা। হ্যাঁ এটাই বাংলাদেশ। কোন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ চায়না, রক্ত চায় না। দেশটা চাইলেই মায়ানমারের যুদ্ধের উস্কানি অনেকদিন আগেই বন্ধ করতে পারত। চাইলেই প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে কিম জং উনের মতো অস্ত্র প্রদর্শন করতে পারত। কিন্তু এসবের কিচ্ছু করেনি। যখন বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর রাষ্ট্রগুলো অস্ত্রের প্রদর্শন দেখাতে ব্যস্ত, মানুষ মারতে নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কারে মেতেছে, তখন বাংলাদেশের এমন পদক্ষেপকে কুর্নিশ জানতে হয়। ক্ষমতার আস্ফালন নয়, দেশটা চায় শুধুই বন্ধুত্ব।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম