।। প্রথম কলকাতা ।।
AI News Anchor: পরনে সুন্দর শাড়ি। সাজ খুবই সাধারণ, কিন্তু স্মার্ট। গড় গড় করে ইংরেজিতে খবর পড়ছেন সুন্দরী তরুণী, সুন্দর উচ্চারণ। নাম লিসা। সংবাদ পরিবেশনের ধরন দেখে হতবাক দর্শকরা। অনেকেই বাহবা দিচ্ছেন। আবার অনেকের মুখে যুদ্ধ জয়ের হাসি। ভাবছেন, হ্যাঁ তারা পেরেছেন। এই তরুণীকে মানুষ ভেবে ভুল করবেন না। প্রথম দেখাতেই আপনি কি বুঝতে পেরেছিলেন, এই সংবাদ পাঠিকা রক্তমাংসের মানুষ নন? প্রযুক্তির এমনই কামাল, যেখানে ধরতেই পারবেন না এই নিউজ অ্যাঙ্কর আদৌ মানুষ নাকি অন্য কিছু। ওড়িশার প্রথম বেসরকারি স্যাটেলাইট খবরের চ্যানেল ওটিভি তৈরি করল নতুন মাইলফলক। সামনে আনল এমন নিউজ অ্যাঙ্করকে যেটি সম্পূর্ণভাবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স দ্বারা পরিচালিত।
একটা সময় কিন্তু কম্পিউটারও আশ্চর্যজনক বিষয় ছিল। যত সময় বদলেছে ততই মানুষ ইন্টারনেটে বেশি করে সময় কাটাচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আজ সফলভাবে ওটিভি টেলিভিশন সাংবাদিকতায় ২৫ বছর পূর্ণ করল। সেই উপলক্ষ্যে ভুবনেশ্বরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওটিভি ওড়িশায় প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সংবাদ উপস্থাপক সামনে এনে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে। সবার সামনে লিসা নির্ভুল আর দক্ষতার সঙ্গে সংবাদ পরিবেশন করে। এক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়েছে এআই এবং এলএলএম এর মতো প্রযুক্তি। লিসা ভবিষ্যতের সংবাদ উপস্থাপন এবং গ্রহণের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে চলেছে। লিসা অনেক ভাষায় কথা বলতে দক্ষ। তবে ওটিভির নেটওয়ার্ক টেলিভিশন এবং ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য শুধুমাত্র উড়িয়া এবং ইংরেজিতে সংবাদ উপস্থাপন করবে। লিসাকে আগামীদিনের জন্য আরো দক্ষ করে তোলার চেষ্টা চলছে। শুধু টিভির পর্দায় নয়, লিসাকে দেখতে পাবেন ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোতে।
আসলে গোটাটাই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা অর্থাৎ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের জাদু। লিসাকে তৈরি করা হয়েছে কম্পিউটার অ্যালগোরিদমে। লিসাকে নিয়ে দেশ জুড়ে চলছে জোর চর্চা, আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে, তাহলে কি মানব মেধার জায়গায় খুব তাড়াতাড়ি এমন এআই চলে আসতে চলেছে? যেখানে কমে যাবে মানুষের দর, চলে যেতে পারে লক্ষ লক্ষ চাকরি। দিনের পর দিন যদি এআইএর দৌরাত্ম্য বাড়তে থাকে তাহলে কি হবে ভবিষ্যতে? বিপদের কোন আশঙ্কা রয়েছে? এআই মানেই চোখের নিমেষে জটিল কাজ সহজে করে ফেলবে। ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে ভয়াবহ ধস নামতে পারে। তলানিতে পৌঁছাতে পারে সৃজনশীলতা। এআই হয়ত অসাধারণ ছবি আঁকতে পারে, লিখতে পারে, পৃথিবীর যাবতীয় কঠিন কাজ সহজ করে দিতে পারে, কিন্তু মানুষের মত কি সৃষ্টিশীল হবে? আবার এআইয়ের চক্করে বদলে যেতে পারে মানুষের অভ্যাস। কমে যাবে চিন্তা ভাবনার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত নেওয়া ক্ষমতা। তাই এআই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করতে হবে প্রয়োজনে, অভ্যাস করলে মুশকিল। সময়ের সাথে এগোতে গেলে প্রযুক্তির হাত আপনাকে ধরতেই হবে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি কখনোই এআইকে বাদ দিতে পারেন না।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম