।। প্রথম কলকাতা ।।
Success Story: ছিল না কোনো কোচিং। প্রাইভেট চাকরি করতেন। কর্পোরেট দুনিয়ায় কাজের ব্যস্ততায় হাঁপিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু সাফল্যের স্বপ্ন দেখা ছাড়েননি। নিজের চেষ্টাতেই প্রথমবার ইউপিএসসির মতো বড় পরীক্ষায় বাজিমাত। এটা কি কম বড় কথা? যে পরীক্ষায় পাশ করতে মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে কোচিং নেন, বছরের পর বছর পরীক্ষা দেন, সেই পরীক্ষাতে একবারে সাফল্য পান ‘লেডি সিংহম’ আইপিএস মনজিল সাইনি। একাধিক জটিল তদন্ত যার কাছে জল ভাতের মতো। তার নাম শুনলে ভয়ে কাঁপে অপরাধীরা।
মনজিল সাইনির সাফল্যের গল্পটা চড়াই উতরাইয়ে ভরা। কোনরকম কোচিং ছাড়াই তিনি ২০০৫ সালের ব্যাচে ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিসেস অফিসার হন। তার সাকসেসের নেপথ্যে রয়েছে ব্যক্তিত্ব, কর্মদক্ষতা আর কাজের ক্ষেত্রে অসামান্য দায়িত্ববোধ। উত্তর প্রদেশ পুলিশ সার্কেলে তাকে সবাই চেনে লেডি সিংহম নামে। লখনৌতে তিনি প্রথম মহিলা সিনিয়র সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ অফিসার। লখনৌতে দায়িত্ব থাকার আগে তিনি ইটাওয়াতে পোস্টিং ছিলেন। ২০০৮ সালে তদন্ত করে বিশাল কিডনি পাচার চক্র ফাঁস করেন, তাও মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যে। মাঝখানে রাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে তিনি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ডিআইজির দায়িত্ব সামলেছেন। ২০২১ সালে ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ডের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন।
তার স্বপ্ন সফল করার দৌড়টা শুরু হয়েছিল ছোটবেলায়। ভীষণ মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। স্কুলের পড়াশোনা শেষ করে ভর্তি হন সেন্ট স্টিফেন কলেজে। পছন্দের বিষয় ছিল পদার্থবিদ্যা। তারপর দিল্লি স্কুল অফ ইকোনমিক্সে পড়াশোনা করেন। সেখানে পান স্বর্ণপদক। পড়াশোনা শেষে কর্পোরেট জগতের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। টানা ৩ বছর চাকরি করেছেন। কিন্তু বেসরকারি কর্মক্ষেত্রে থাকাকালীন নিজের লক্ষ্য ভোলেননি। একদিন মনে মনে ঠিক করে নেন, সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসবেন। নিজের মতো করে শুরু করে দেন প্রস্তুতি। কোনো কোচিংয়ে ভর্তি হননি। প্রথমবার পরীক্ষায় বসে পাস করেন।
তার সফলতার কাহিনী আগামী দিনের পড়ুয়াদের অনুপ্রেরণা। তার মতো কর্তব্যপরায়ণ অফিসার ভারতবর্ষের গর্ব। ভারতবর্ষে এইরকম লেডি সিংহমের বড্ড প্রয়োজন।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম