।। প্রথম কলকাতা ।।
Indian Army snipers: শূন্য থেকে উড়ে আসা একটা গুলি ব্যাস খেল খতম। গিরগিটির সঙ্গে শিকারের বড় মিল রয়েছে এদের ইন্ডিয়ান আর্মির স্নাইপারদের কথা শুনেছেন। পাকিস্তান যমের মতো ভয় পায় এদের। কীভাবে ট্রেনিং হয় স্নাইপারদের? শুনলে আঁতকে উঠবেন। জলজ্যান্ত স্নাইপারদের স্নাইপার রাইফেলের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না৷ হলিউড বা বলিউড সিনেমায় প্রায়শয়ই দেখা যায় দূর থেকে তাক করে টার্গেটের খেল খতম করতে।
ভারতীয় সেনা স্নাইপার টিমে চান্স পাওয়া কোনও মামুলি ব্যাপার নয়। বিশ্বে ভারতীয় স্নাইপার টিমকে সমজে চলে অনেক শত্রু দেশই। ছত্রপতি শীবাজির নাম নিয়ে একবার রাইফেলের নলে চাপ কয়েক কিলোমিটার দূরে থাকা শত্রুর খুলি ওড়াবে একটাই গুলি। শুনতে বা দেখতে যতটা সোজা মনে হয়, বাস্তব ফ্যাক্ট সেটা নয়। আইএমআই গলিল, মাউজার এসপি৬৬, ড্রাগুনভ এসভিডি৫৯, ওএসভি ৯৬ ইন্ডিয়ান আর্মি ১০টা খতরনাক স্নাইপার রাইফেল মধ্যে থাকা এগুলো কার্যত অকেজো হয়ে যেত যদি স্নাইপারেরা না থাকতেন। মার্কোস, গেরিলা বাহিনীর কথা তো অনেক শুনলেন। প্রথম কলকাতা আজ জানাবে স্নাইপারদের অজানা কাহিনী।
স্নাইপার হলেন একজন সামরিক বা আধাসামরিক নিপুন লক্ষ্যবিদ। যিনি শত্রুর দৃষ্টিসীমার বাইরের অবস্থান থেকে লক্ষ্যভেদ অথবা শত্রুর উপর নজর রাখতে পারে। স্নাইপারদের দেওয়ার হয় বিশেষ প্রশিক্ষণ। প্রশিক্ষণ শুধু শারীরিক নয় প্রশিক্ষণ হয় মানসিকভাবেও। এদের হাত বিশেষ অস্ত্র হাই প্রেসিশন রাইফেল ও হাই ম্যাগনিফিকেশন অপটিকস দেওয়া হয়। ভূমি নীরিক্ষণ, ছদ্মবেশ, পর্যবেক্ষণ মাস্ট সঙ্গে মনোযোগ বা কনসানট্রেশন হতে হবে ১০০য় ১০০। জঙ্গল হোক বা সবুজে ঘেরা পাহাড় অথবা সাদা বরফ গিরিগিটি যেমন রং বদলায় তেমনই ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যায় স্নাইপাররা। স্নাইপারের বিশেষত্বই হল তা তাক করার ক্ষমতা। একটা গুলিও টার্গেট মিস হবে না কোনওমতে কোন পরিস্থিতিতে।
দেশের কোন বিশেষ জায়গায় হয় স্নাইপারদের ট্রেনিং?
স্নাইপার টিমে জয়েন করতে গেলে বিশেষ ক্ষমতা বা প্রতিভা থাকতে হয়। প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা বলেন একজন স্নাইপার হতে গেলে তার আইসাইট হতে হবে সবথেকে প্রখর, একেবারে ২০তে ২০। এই ট্রেনিংয়ে চান্স পাওয়া যায় একইসঙ্গে সঠিকভাবে রং চেনারও ক্ষমতা থাকতে হয়। হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদ ও মোহ ইনফ্যানটারি স্কুলে ট্রেনিং হয় ভারতীয় স্নাইপারদের। যে প্রতিভার কথা বললাম সেটা তো জাস্ট শুরু। একজন স্নাইপারকে জানতে হয় রাইফেলের সমস্ত খুঁটিনাটি রাইফেল সম্পর্কে চরম স্তরের জ্ঞান না থাকলে এই জোনে আসা বৃথা। হাতে যে রাইফেল থাকে তার ইন অ্যান্ড আউট সব ক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হতে হয়। ২০২২ সালেই ভারতীয় সেনা তাদের স্নাইপার বাহিনীর হাতে তুলে দেয় ফিনল্যান্ডে তৈরি অত্যাধুনিক রাইফেল সাকো .৩৩৮ টিআরজি-৪২ (Sako TRG-42 Sniper Rifle) যা কার্যকরভাবে দেড় কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
মার্কোস, গরুর বাহিনীতে থাকে সেনার একসে বর কর এক স্নাইপার। শুধু শারীরিক ফিটনেস নয় চূড়ান্ত মানসিক সক্ষমতা প্রয়োজন একজন স্নাইপার হতে গেলে। তার জন্যই ট্রেনিং পিরিয়ডে থাকে নানা মেন্টাল এক্সারসাইজ। ধূমপান ও কোনও ধরণের সুরায় হাতও লাগাতে পারেন না কোন পারফেক্ট স্নাইপাররা। এতে মেন্টাল স্টেবিলিটির গন্ডগোল হয়। মারাত্মক ফোকাসড ও চূড়ান্ত কনসনট্রেশন নিয়েই ফিল্ডে নামেন একজন স্নাইপার তারপর একটা ফায়ারিং আর খেল খতম।
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম