।। প্রথম কলকাতা ।।
Sri Lanka China: ভারতকে চিন নিয়ে মিথ্যা কথা বলছে শ্রীলঙ্কা! সাধু সাজার চেষ্টা। শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা থেকে নতুন প্ল্যান চিনের। জোরদার হচ্ছে অ্যাকশন ফ্রান্সে গিয়ে বিপদে পড়ে গেলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে। ভারতের থেকে ঠিক কি চাইছে কলম্বো? সামনে বন্ধুত্ব দেখিয়ে পেছনে শত্রুতার মতলব নেই তো? একটা খোলা সত্যিকে মিথ্যে কেন বলে দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে, নাকি এবার চিনের বুলি ফুটছে শ্রীলঙ্কার মুখে সাবধান রয়েছে ভারত। শ্রীলঙ্কার আর্থিক সঙ্কট মেটেনি এখনও। হাল ফেরাতে বড় ঘোষণা করেছে বিশ্ব ব্যাংক। কিন্তু শ্রীলঙ্কা বোধহয় এবার ভারতের সান্নিধ্য চায় মোদীর সান্নিধ্য চায় বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
বর্তমানে ব্রিটেন ও ফ্রান্স সফরে রয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংঘে। সেখানে তিনি বললেন হাম্বানটোটা বন্দরের চিনের ঘাঁটি নয়। শ্রীলঙ্কার বেজিংয়ের সঙ্গে কোনওধরণের সামরিক চুক্তি হয়নি এবং একইসঙ্গে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য কলম্বো তাদের দেশকে ভারতের শত্রুদের ঘাঁটি হয়ে উঠতে দেবে না। বিক্রমাসিংঘের এমন মন্তব্যের সঙ্গে সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে তাহলে। ভারতের ইন্টালিজেন্সের রিপোর্ট কি ভুল ছিল? ২০২২ ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও দ্য ইউয়ান ওয়াং ৫ নামের চিনা জাহাজ ভেড়ে শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা বন্দরে। রিপোর্ট ছিল চিনের ওই জাহাজ গুপ্তচরবৃত্তির কাজও করে থাকে। শ্রীলঙ্কার বন্দরে এই জাহাজের আগমন রীতিমত মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়াল নয়া দিল্লির। কারণ, গোয়েন্দাদের দাবি ছিল এই জাহাজের মাধ্যমে ভারতের গোপন তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হতেই পারে।
শুধু তথ্য হাতানো নয় শ্রীলঙ্কার হাত ধরে ভারতীয় মহাসাগরে ওপর চিনের এই আধিপত্য বিস্তার কোনওদিনই মেনে নেবে না ভারত। শ্রীলঙ্কা কি ভুলে গিয়েছিল তাদের দেশ দেউলিয়া হওয়ার পর প্রথম সাহায্যটাই এসেছিল ভারতের কাছ থেকে। কিন্তু এখন প্রশ্ন তাহলে এতকিছু পরো সাধু সাজার চেষ্টা কেন করছে শ্রীলঙ্কা? ২০১৭ সালে শ্রীলংকার দক্ষিণাঞ্চলীয় হাম্বানটোটায় ১১০ কোটি ডলারের বিনিময়ে গভীর সমুদ্রবন্দরের নিয়ন্ত্রণ এবং উন্নয়নের জন্য চিনের সাথে একটি চুক্তি করে শ্রীলঙ্কা। ৯৯ বছরের জন্য লিজও দেওয়া হয় বেজিংকে। এমনকি পরে এর জন্য অনুশোচনা করতেও শোনা যায় প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শ্রীলঙ্কা নতুন সরকার কূটনীতিটা ভালো করেই বোঝে৷ তাই ভারত এমূহুর্তে বিশ্বের যে স্থানে রয়েছে তাতে শ্রীলঙ্কা কোনওদিনও চাইবে না ভারতের সঙ্গে খারাপ হোক তাদের সম্পর্ক। শুধু তাই নয় ২০২২ শে যখন পথে বসে গিয়েছিল কলম্বো তখন জানুয়ারি থেকে জুলাই ২০২২ ৩.৮ বিলিয়ন ডলারের লোন ভারত দেয় শ্রীলঙ্কাকে। এছাড়া জরুরী ওষুধপত্র ও ক্রেডিট লাইনও শ্রীলঙ্কাকে দিয়েছিল ভারত। সেখানে তথ্য বলছে চিনের ঋণ ছিল ৭৬ মিলিয়ন ডলারের লোন দিয়েছিল। অনেকেই বলছে আসলে খারাপ সময়ই শ্রীলঙ্কার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় বেজিং। কিন্তু আসলেই কি শ্রীলঙ্কা যা বলল সেটা সত্যি? বর্তমানে দ্বীপরাষ্ট্রটির যা অবস্থা তাতে চিনের মতো শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো কি দুর্বল শ্রীলঙ্কা পক্ষের সম্ভব? বড় প্রশ্ন উঠছে। ভারত এ নিয়ে এখন কোনও প্রতিক্রিয়া না দেয়নি তবে গোটা বিষয়ে নজর রেখেছে দিল্লি৷
খবরে থাকুন, ফলো করুন আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায়
সব খবর সবার আগে, আমরা খবরে প্রথম